ছবিটি প্রতীকী এবং ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।
#Say_no_to_Rape
#ধর্ষণ #এবার_তোরা_পশু_হ
এই নিন্দনীয় কাজটি কি শুধু নারীর গোপনাঙ্গের সাথেই ধর্ষক দোপেয়ে গুলো করছে নাকি অন্য ভাবেও সম্ভব এ নিয়ে বিস্তারিত লেখব একদিন।
আজ একটি ভিডিও দেখলাম, যেখানে এক তরুনি তার হোলি খেলার বর্ণনা দিচ্ছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার ভাষাকে রুপান্তর করলে যা দাড়ায় তা মোটামুটি এমন যে “আজ সে অনেক মজা করেছে। এতো ভিড় সেই ভিড়ে এতো জন তার শরীরের স্পর্শকাতর সহ অন্য সকল অংশে রঙ মেখে দিয়েছে তা সে ধারণা করতেও পারছে না। যদিও এটা কিছুটা কষ্ট তাকে দিয়েছে কিন্তু এতে করে সে যে আনন্দ উপভোগ করেছে তা কষ্টের তুলনাতে কিছু না”
এই মেয়েটি কি ধর্ষণের শিকার না? এই মেয়েটির যে এই ধর্ষণ নিয়ে কোন কষ্ট নেই সেটা কি আমাদের সমাজের ধর্ষণ কামী রূপ কে তুলে ধরে না? হোলি হিন্দুদের ধর্মীয় একটি উৎসব। আমি যত টুকুন হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানি এই অনুষ্ঠানে এমনভাবে এক ললনার সারা অঙ্গে রঙ মাখানোর কোন কথা নেই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে হিন্দু ধর্ম এভাবে এক জন নারীর দেহে হাত দেয়াকে স্বাধীন করে দিয়েছে তাহলে কথা দিলাম নিজের সর্বাপেক্ষা প্রিয় কাজ লেই লেখা লেখি ছেড়ে দিব।
তাহলে হোলির নামে কেন এসব হচ্ছে? কারন ধর্ষক মনা দোপেয়ে প্রানি গুলো সর্বদাই ধর্ষণ করার মানসে থাকে কখনো সরাসরি কখনো ছলে কিংবা কৌশলে। আর হোলির এই রূপ তাদেরই নিজেদের তৈরি করা। যে রুপে নারী ধর্ষিত হবে কিন্তু সেটাকে সে উপভোগ মনে করে আনন্দ পাবে।
গড়ে বাংলাদেশে দৈনিক ৪-৫ টি জোরপূর্বক ধর্ষণ পত্রিকার খবরে আসে। আরে আড়ালে আবডালের এই ধর্ষণের কথা ধরলে দৈনিক হয়ত ১০০ এর মত ধর্ষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে। শুধু ধর্ষণের শাস্তি দিয়েই এ সকল ধর্ষণ ঠেকানো যাবে না। এগুলো ঠেকানোর জন্য ধর্ষণ কামী দোপেয়ে প্রানি গুলোর সূক্ষ্ম জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে হবে নারী পুরুষ সকলকে। তা না হলে এগুলো বৃথা আস্ফালন ছাড়া আর কিছুই নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭