somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তার জন্য একরাশ ঘৃণা

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শফিক রেহমান পালাতে চেয়েছিলেন, পারেননি। 104 জন সাংবাদিকের হাতে চাকরিচু্যতির নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে, সাড়ে 4শ সংবাদকর্মীকে বেকার বানিয়ে আধুনিকতার খোলসে আপাদমসত্দক স্বার্থপর এই মানুষটি দেশ ছেড়ে ভাগতে চেয়েছিলেন এমিরেটস এয়ারে। যায়াযায়দিনের বিুব্ধ সাংবাদিকরা তাকে বিমান থেকে টেনে নামিয়েছেন। তার পকেটে পাওয়া গেছে আরো 3 টি এয়ারের টিকেট। মজার ব্যাপারটি হলো, শফিক রেহমান যাদেরকে চাকরিচু্যত করেছেন, তারা নয়, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই, যাদের চাকরি তিনি খাতা-কলমে খাননি। খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমার 3 দিনের সহকর্মীদের অনেকের কাছেই ফোন করে জানলাম, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে চাপ আসছে শফিক রেহমানকে যেতে দেয়ার জন্য।
ব্যক্তিগভাবে আমি শফিক রেহমানকে অপছন্দ নয়, রীতিমতো ঘৃণা করি। তিনি কোন রাজনীতি করেন, কার ভাষণ লিখে দেন, বিশ্বকাপ দেখা নিয়ে কার সাাৎকার ছাপেন, কাকে রাণী বানান, কাকে নোবেল দেন, মঈন-মিলার কী সম্পর্ক দাঁড় করান, সে নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার আপত্তি তার শঠতায়। তিনি যায়যায়দিনে বু্যরো প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখন যে সাংবাদিকতা চলছে তা ব্যাকডেটেড। তিনি সেটাকে আপগ্রেটেড করতে চান! তার মতে, মানুষ জানতে চায়, হোটেল এ্যাথেনা নামটি কেনো হলো? মানুষ এখন আর দুঃখের কাসুন্দি পড়তে চায় না। বুঝুন অবস্থাটা, তার কাছে সাধারণ মানুষের বঞ্চনার চেয়ে একটি রাজকীয় হোটেলের নামের হেতু অনুসন্ধান মহান সাংবাদিকতার কাতারে পড়ে গেলো। আমি সেদিনই সিদ্ধানত্দ নিয়ে যোগ দেয়ার 3 দিনের মাথায় যায়াযায়দিন ছেড়ে পুরানো কর্মস্থলে ফিরি।
শফিক রেহমানের লেখায় কৌশল আছে অনেক, পড়তে মন্দও নয়। কিন্তু তার অনেক লেখাই শালীনতার সীমারেখা ছাড়িয়ে চলে যায়। মানুষকে (বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বাম নেতাদের) ধুতে ধুতে তিনি এমন অবস্থায় নিয়ে আসেন যে তখন মনে হয়, শফিক রেহমানের ইচ্ছেটা বোধহয় ছিলো অন্যকিছু! রাজনীতির ঘরে বুদ্ধি বেচে টুপাইস কামিয়ে নেয়ার েেত্র তার চেয়ে সফল আর কেউ কি হতে পেরেছে! সব মানুষের কাছে গ্রহণীয় একটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিককে মুহূর্তেই তিনি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বন্দনাগীতিপত্র বানিয়ে ফেললেন! অথচ আমাদের দেশে ভালো সাপ্তাহিকের কতো না অভাব! শফিক রেহমান এভাবে পাঠকের সঙ্গে বেঈমানি করলেন কীভাবে! শফিক রেহমান নিজে গর্ব করে বলেন, 'আমার যায়যায়দিনে একমাত্র আবেদ খান ছাড়া দেশের আর সব বড় লেখকদের লেখাই কখনো না কখনো ছাপা হয়েছে।' পত্রিকার চরিত্রে প্রকট দলবাজী ফুটিয়ে তুলে শফিক রেহমান সেই লেখকদেরও অপমান করেছেন।
হয়তো একসময় সব আলোচনা ফুরোলে শফিক রেহমান আবার কোনো নতুন ধান্দায় আত্মনিয়োগ করবেন। আমরা ভুলে যাবো, যারা ব্যথা পেয়েছেন তারা হয়তো ভুলবেন না। কিন্তু যারা ব্যথা পাননি তারা আবারো ছুটে যাবো শফিক রেহমানের কাছে। হতেও পারে। কিন্তু যদি মনে রাখি, এই শফিক রেহমানই সেই লোক যিনি এর আগেও যায়যায়দিন প্রতিদিন নামে এক ট্যাবলয়েড বের করে কয়েকশ সংবাদকর্মীকে বেকার করেছে, তাহলে কি মন্দ হয়? আমরা যদি না ভুলি, এই শফিক রেহমান আবার নতুন করে সাড়ে 4 শ সংবাদকর্মীর জীবন বিপণ্ন করে তুলেছেন, তাহলে ক্যামন হয়? আসলে ইতিহাস কি এই ভণ্ডটাকে কখনো ভুলবে? তার জন্য কি বরাবর একরাশ থুথু আর ঘৃণাই জমা হয়ে থাকবে না? যুগ যুগ ধরে আর কেউ না বলুক, অনত্দতঃ আমি শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের গণশত্রু বলে চিহ্নিত করবো। একই কথা আমি বলেই যাবো, দিনের পর দিন...।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৪:০৭
৩০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

NVR (No Visa Required) এর জন্য জেনে রাখা দরকার

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
×