নগরায়নের এই যুগে আত্মকেন্দ্রিকতার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছি আমরা । একই ফ্ল্যাট বা মহল্লায় থেকে আমরা কেউ কাউকে চিনি না । সব কিছু এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আজ মহাকৌশলী । হৃদয়ের টানে আত্মীয়, বন্ধু প্রতিবেশীর খোঁজ নেওয়া, পাশে থাকা তো দূরের কাজ তাদের সু সময় দেখে হিংসে করার সময়টুকু আজ আমাদের নেই ।
আমরা যেন সেই পানির পোকা, যে পানির উপর দিয়ে হেটে চলে কিন্তু পায়ে পানি লাগায় না । তাই আসুন, চেষ্টা করি একবার জীবনে ডুব দেওয়ার । খুঁজে আনি তৃপ্তির কিছু মুক্তো ।
তৃপ্তি নিয়ে আসুন প্রতিদিনেঃ
রিকশা ঠিক করেছেন কোথাও যাবেন ? যাওয়ার পর দিন না ২/৫ টি টাকা বাড়িয়ে । একজন মানুষ হয়ে অন্য আরেকজনের ভার বহন করে টেনে নিয়ে চলে এরা । তাদের মনে একটু তৃপ্তি দিলে আপনার সারা দিনে তৃপ্তি ছড়িয়ে পড়বে ।
বাজারে আপনার পাশে অনেক লোক থাকে যাদের ক্রয় ক্ষমতা আপনার থেকে কয়েকশ গুণ কম । চিনতে পারছেন না ? ভাল করে তাকান, কোন এক অন্ধ ভিক্ষুক দুই দুই টাকার অনেকগুলো ভাংতি নোট দিয়ে এক ভাগ ছোট মাছ কিনছে কিংবা ঝোলানো মাংসের দিকে তাকিয়ে কোন অসহায় মা। দিন না আপনার মাছ মাংস থেকে একটুখানি । অথবা তার কেনা আড়াইশ গ্রাম পিয়াজের দামটা না হয় আজ আপনিই দিন ।
আইসক্রিমের গাড়ি কিংবা বেলুনওয়ালার গাড়ির পাশে দাড়িয়ে ম্লানমুখো পয়সাহীন শিশু? তার ছোট আনন্দটা না হয় আজ আপনিই কিনে দিন !
পুরনো বন্ধু আত্মীয় স্বজনদের কয়েকজনকে আজ ফোন করুন না । সাহায্য করুন অচেনাকে । অপ্রত্যাশিত উপহার দিন স্বল্প পরিচিতদের।
তৃপ্তি ছড়িয়ে যাক প্রতি নিঃশ্বাসে ।
শুধু সতর্কতা একটাই আপনার ডান হাতের দানের কথা যেন বাম হাত না জানে ।