শিরোনাম দেখেই মাথা গরম হয়ে গেলো নাকি? আরে ভাই, রাগ কেন করছেন। লেখাটা তো আগে একবার চোখ বুলান। অদ্ভূত দেশ আমাদের। অদ্ভূত জাতি আমরা। যখন যেই ইস্যূ পাই মেতে উঠি তাই নিয়ে।
উইকিপিডিয়া ঘাটতে গিয়ে ব্যাপারটা আরও একবার হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। পেশাগত কারনে মাঝে মাঝেই বিস্তর ঘাটাঘাটি করতে হয় নানা বিষয় নিয়ে, আপডেট জামানার হাতিয়ার নেট-ই একমাত্র সম্বল, প্রয়োজনের তাগিদে যখনই দেশের কোন বিখ্যাত মানুষদের নিয়ে কাজ করতে যাই তখনই বাধে বিপত্তি।
লালু-ভূলু, মমতাজ, মখা-সখা সহ হাল আমলের ভূঁইফোড় পাবলিক আর বলিউডের শরমবিহীন গরম তারকারা কখন ক’ইঞ্চি কাপড় উঠিয়ে কাকে কাকে কখন সুড়সুড়ি দিয়েছেন তার সচিত্র তথ্য তথা সকল পরিসংখ্যান পাওয়া যায় চোখের পলকেই। দু’একজন জাতীয় নেতাদের ছবি দিয়ে বোঝাই অজস্র ওয়েব পেইজ।
অথচ দেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক সুরকার, রাজনীতিবিদদের নেই কোন মান সম্মত ছবি, অথবা নাম মাত্র ডকুমেন্টরী। আরে ভাই দেশটা কী কেবল দুই নেতা আর তাদের উত্তরাধীকারি দুই নেত্রীর? বাংলাদেশ নামক দেশটা পৃথিবীতে রয়েছে কেবল দুই দল আর দু নেতা-নেত্রীর জন্যই। দেশটা কি সমান ভাবে নওয়াব আলী, হোসেন সোহরওয়ার্দী, মওলানা ভাষানী, আব্দুল আলীম, জসিমউদ্দিনে’রও না? কেন তাদের একটা তথ্য জানতে, একটা ভালো ছবি পেতে হতে হবে গলদ ঘর্ম।
ইন্ডিয়ার বাসি খবর হেডলাইন হয় আমাদের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায়। কেনরে ভাই আমরা কি এতই পঁচে গেছি?
নতুন প্রজন্মের ছেলেরা আর কি পাবে যখন আমরাই টিভি ষ্টেশনে খুজে পাইনা আমাদের একপুরুষ আগের গুণী মানুষ মানুষগুলোর তথ্যগুলো। প্রশ্ন হলো এসবের মূল দায়িত্বটা কার?
কাছের এক বন্ধু একদিন আক্ষেপ করে বলেছিলো, চল কেউ না আগালেও আমরাই শুরূ করি। উত্তর দিয়েছিলাম এক ঘটি পানি দিয়ে বালতি ভরা যায়; পুকুর অথবা নদী না ....
আমাদের মহান সরকার এবং তথাকথিত নিতীনির্ধারককেরা আর কতকাল কানে তুলো আর পিঠে কুলো বেধে পাবলিকের টাকায় কুলফি মালাই খাবেন। সময় বোধহয় এখনো আছে কাজে লাগেন। নইলে আর বেশি বাকি নাই কাল হয়তো আপনার নাতিই বাংলাদেশের ইতিহাস তো দুরে থাক বাংলা ঠিকমতো বলতেও পারবেনা। হিন্দী অথবা ইংলিশে বলে উঠবে
“ওয়াঠ ইস্ ভ্যাংঘাঢেঁষ ... “ভ্যাংঘাঢেঁষ কিয়া হ্যেঁই”