শাকিল, তেঁজগায়ের কোনাপাড়ায় বাবা মা ভাই বোন সহ ছোট্ট এ্কটি কক্ষে তার বেড়ে ওঠা। বাবা মাছ ব্যবসায়ী, মা গৃহিনী। টানা টানির সংসার তাদের। কিন্তু তাতেই আটকে নেই সে। এই বয়সেই শাকিল বুঝতে পেরেছে কষ্ট হলেও তাকে যেতে হবে অনেক দূর আর অনেক দুরের সেই পথটা খুব বেশি মসৃণও নয়। প্রয়োজন দৃঢ় প্রচেষ্টা, আর সাথে চাই সুশিক্ষা। আর তাই কষ্টটাকে সে মেনে নিয়েছে হাসিমুখে।
দারিদ্রের ঘোরটোপে থেকেও শাকিল হাতে তুলে নিয়েছে বই। আর সেই পড়া শোনা চালিয়ে যেতেই শাকিল হাতে তুলে নিয়েছে চায়ের ফ্লাক্স। সারাদিন স্কুল, দিন শেষে কোচিং আর তার পর গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার ফাকে ফাকে সে চা বিক্রী করে হাতির ঝিলে। আর তাতে একটু খানি হলেও লাঘব হয় খরচের বোঝা।
তিন ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার ই্চ্ছা শাকিলের মায়ের। আর তাই শাকিলের পড়াশোনায় অনুপ্রেরণা যোগান তার মা।
আর স্কুল শিক্ষকের ধারণা কষ্ট করে পড়াশোনা করার পরেও পাচ জন সাধারণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি অধ্যবসায়ী শাকিল।
কেবল মাত্র হাতিরঝিলেই শাকিলের মতো রয়েছে আরো অসংখ্য কর্মজীবি শিশু যারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে চায়। হয়তো একটুখানি ভালোবাসা আর আন্তরিকতা পেলেই বদলে ফেলতে পারে অনেক কিছুই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭