কবির সাথে দেখা হয়না অনেকদিন।
আগে দেখা হতো নিয়মিত।
সকালটাকে তিনি বিকেলের
চৌরাস্তায় নিয়ে যেতে পারতেন, তীব্র গ্রীষ্মে বর্ষা নামাতেন তুমুল তোড়ে।
রোদের আক্রোশে গা এলিয়ে তিনি
ভাসতেন জোছনাবিহারে।
শহরের অবাঞ্ছিত ধুলিকণায় তিনি লিখতেন বকুল আখ্যান ।
এই শহরে সন্ধ্যা নামলেই তিনি ভীষণ প্রেমে পড়তেন প্রেমিকার খোলা চুলে,
গরম চায়ের কাপে লেপ্টে দিতেন দুটো ঠোঁট
যেন সুতীব্র চুম্বনে!
কবির সাথে অনেকদিন দেখা হয়না।
মনে আছে শেষ দেখা হয়েছিল-
"বাটা সিগন্যাল থেকে তেলের মিলের গলি
এ শহরে নামে আচমকা গোধূলি ।"
তিনি খানিক চুপ করে থেকে বললেন, এতো অভিমান কেন কবি?
আমিও চুপ করে থেকে বলিনি কিছু ।
কবির সাথে দেখা হয়না ইদানীং।
দেখা হয়নি বহুদিন।
আসলে কবির সাথে কোনদিনই দেখা হয়নি স্বশরীরে!
না মাঠে না বিলাসবহুল শপিং কমপ্লেক্সে , এমন কি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট অফিসে।
কোথাও সেভাবে মুখোমুখি বসিনি
হাই হ্যালো যাবতীয় কুশলাদি বিনিময়, কোনটাই হয়ে ওঠেনি।
কারণ কবিদের সাথে সাক্ষাত হয় ভীষণ অভিমানে
আক্ষেপে, যাতনার তীব্রতায় , দ্রোহে আর আকাশ থেকে নেমে আসা অজস্র পংক্তিমালায়!
______
উৎসর্গঃ কবি জাহিদ অনিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩০