ইদানীং ব্লগে হাজিরা দেয়া হচ্ছে না। গতরাতে বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম। এমনিতেই ব্লগে সময় দিচ্ছি না তারপর আবার মোবাইল ভার্সনে ব্লগিং পোষায় না। মোবাইল ভার্সনে এক্সেস করতে হচ্ছে, ফুল ভার্সনে কোন ভাবেই যেতে পারছি না। গতকাল ফুল ভার্সনের পোষ্টের লিঙ্কে ক্লিক করলে ফুল ভার্সনে যাওয়া যাচ্ছি , আজ দেখছি সেভাবেও সম্ভব হচ্ছে না।
এটা কি আমারই সমস্যা নাকি সবাই এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?
আজ সম্ভবত এবারের মত শেষ সেহেরী খেয়ে ফেললাম। আগামীকাল শেষ ইফতার। আকাশে নতুন চাঁদ জ্বলজ্বল করতে। কিন্তু ছোটবেলার মত চাঁদ দেখার উৎকন্ঠা কিংবা প্রতিযোগিতা থাকবে না।
ঈদের চাঁদ দেখা আর ছোটবেলার ঈদ নিয়ে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ- সংবাদ পত্রের শিরোনামটাতে ইদানীং শরীরে শিহরিত তোলে না ঠিকই কিন্তু সেই সময়টাকে অনুভব করি ভীষণ।
অনুভব অনুভূতির শিহরণ টাইপের কিছুই ব্লগে পোষ্ট করা গেল না। ভীষণ ইচ্ছা ছিল।
ইচ্ছা ছিল ঈদের সাবান নিয়ে লিখি। আব্বা ঈদে তিন রকম সাবান কিনতেন। মেয়েদের জন্য কেমি, নিজের জন্য ইম্পেরিয়াল লেদার এর লাল রঙের প্যাকেট টা, আর আমার জন্য কিনতেন যে সাবানটা সেটার নাম গত তিনবছর ধরে মনে করার চেষ্টা করছি। মনে করতে পারছিলাম না বলে গত তিন বছর ধরে ঝুলে ছিল লেখাটা। শেষমেষ ভাবলাম সাবানের নাম বাদেই চালিয়ে দেব। ছোটবেলার অনেক কিছুই আমার মনে থাকে। কিন্তু এই সাবানের নামটা আর মনেই হলো না। অথচ ঈদের সকালে এই সাবানটা নাকের কাছে ধরতাম। গন্ধ নিতাম। চাচাত ভাইদের সাথে সাবানটা ভাগাভাগি করতাম। জেনেছিলাম ঈদ মানে ভাগাভাগি। আনন্দের ভাগাভাগি, সাবানের ভাগাভাগি, দুধ সেমাইয়ের ভাগাভাগি কিংবা ৭ টাকা দামের একটা কাঁচের বোতলের মিরিন্ডার ভাগাভাগি।
কতকিছুই মনে রইলো কিন্তু সেই ভাগাভাগি করে মাখা সাবানটার কথা কোন ভাবেই মনে রইলো না।
তবে এইবার ঈদে একটা লাল প্যাকেটের ইম্পেরিয়াল লেদার সাবান কিনবো ভেবেছি। ঈদের সকালে নাকের কাছে ধরবো, গন্ধ নিবো, গায়ে মাখবো।
দেখবো আব্বা আব্বা ভাব আসে কিনা। কারণ সাবানটাতো আব্বা মাখতেন। বাবা হয়েছি গত তিন বছর হলো। 'আব্বা' হতে পেরেছি কি?