অ্যালার্মের বিরক্তিকর শব্দ বন্ধ করে_ঘুম জড়ানো চোখেই অতঃপর প্রাতরাশ সেরে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ । ভার্সিটির নতুন জীবন,বন্ধু-বান্ধব,আর ঢাকা শহরের এই আদি অভিজাত এলাকাটা ভালোই লাগছে । যদিও তখন পর্যন্ত কেউই সেই অর্থে বন্ধু হয়ে ওঠেনি উপরন্তু ক্লাসের সব ছেলেগুলোকে মনে হচ্ছিল যেন অতি উৎসাহী রোমিও আর মেয়েগুলোকে ততোধিক রক্ষণশীল !
মেয়েদের সাথে সকালের প্রথম দেখায় হাই-হ্যালো এবং ক্লাস শেষে বিদায় বলা ছাড়া আর তেমন কোন আলাপ হতো না । এ যেন সকালে পোশাক পরার সময় একবার আন্ডারওয়্যার পরিধান করা এবং বিকেলে বাসায় এসে তা খুলে ফেলার সময়ে আরেকবার গোচরীভূত হওয়া । সদ্য পরিচিত হওয়া ক্লাসের এই মেয়েদের সাথে এই বিশেষ ধরনের সম্পর্কের সে নাম দিয়েছে তাই ‘অন্তর্বাসীয় সম্পর্ক’ !
সময় গড়িয়ে যায় দ্রুতলয়ে । নতুন ক্লাসমেটরা একসময় বন্ধু হয়ে ওঠে আর ‘অন্তর্বাসীয় সম্পর্কও’ ধীরে ধীরে রূপ নেয় অন্তরঙ্গ সম্পর্কে । এক সময় ফেলে আসা চার বছরের হাজারো ঘটনার তারকারা জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে স্মৃতির আকাশে ।
ভার্সিটির প্রথম দিকের ওরিয়েন্টেশনের সেই রজনীগন্ধার সুবাস আজও যেন ভেঁসে আসে নীরব কোন বিকেলের স্মৃতি বিভ্রমে !
মনে পরে যায় মঞ্চ নাটকে চুল দাঁড়ি পাকা সেই বোকা বুড়োর গল্প কিংবা হস্তলিখিত দেয়ালিকার বর্ণিল ক্যানভাসে স্বপ্ন বোনা কবিতার উঠোন, চিঠির সোঁদা গন্ধ ! আর কখনও মনে পরে যায় আবেগ মন্দ্রিত ছন্দে সেই কোরাস গাওয়ার স্মৃতি !
মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে¬_ সে দিন ভরা সাঁঝে,
যেতে যেতে দুয়ার হতে_ কী ভেবে ফিরালে মুখখানি-
কী কথা ছিল যে মনে ।।
........................................................................
........................................................................
বারেক তোমায় শুধাবারে চাই বিদায়কালে কী বল নাই,
সে কি রয়ে গেল গো_ সিক্ত যুঁথীর গন্ধবেদনে..............।।
উৎসর্গঃ সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি !
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৩