"পশ্চিমারা মোস্তফা কামাল আতারতুর্কের মাধ্যমে ইসলামের সাথে প্রকাশ্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। মোস্তফা কামাল সেদিন দম্ভ ভরে খেলাফত বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়,খলীফা ও তার সভাসদকে ইস্তাম্বুল ও তুরস্ক থেকে বের করে দেয়,ইসলামের প্রতীকসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, আরবী ভাষার আযান দেয়া নিষিদ্ধ করে।আরবীর স্থলে ল্যাটিন ভাষার আযান দিতে বাধ্য করে,প্রকাশ্যে হিজাব পড়ে চলতে বিধিনিষেধ আরোপ করে, সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানে মাথা ঢেকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি,সরকারের পুলিশ বাহিনী হিজাব ও ওড়না পরা মহিলাদের কাছে থেকে তাদের হিজাব ও ওড়না ছিনিয়ে নিত,অধিকন্তু ছিঁড়েও ফেলত,হজ্ব নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং এ নিষেধ ২৪ বছর বলবৎ থাকে। তুরস্কের লোকেরা হজ্ব করার অনুমতি পায় ১৯৪৬ এর পর। অর্থাৎ মুসলমান তুর্কীদের অন্তরে ইসলামী অনুভূতি আছে কিনা তা আমেরিকা পরীক্ষা করে দেখার পর।
মসজিদকে যাদুঘরে রুপান্তরিত করা হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে অধিক সুন্দর মসজিদ ‘আয়া ছুফিয়া’ কে যাদুঘরে রুপান্তরিত করা হয় এবং তাতে নামায নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। এ মসজিদ পৃথিবীতে ইসলামী স্থাপত্যকলার অন্যতম উপহার বলে বিবেচিত হত। এখনো পর্যন্ত এ মসজিদে নামায নিষিদ্ধ।এটাকে পূর্বের বাঘ পূজারী তুর্কীদের মাথার খুলি ও হাড্ডি সংরক্ষণের জন্য যাদুঘরে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
এ সময় মোস্তফা কামাল আলেমদের এক মহাসমাবেশের আহবান করে তাদের কাছে রাষ্ট্র থেকে দ্বীনকে পৃথকীকরণ ও খেলাফত বিলুপ্তির বিষয়টি পেশ করে। আলেমগণ তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ফলে সে তাদের যাকে পায় হত্যা করে এবং যারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা পালিয়ে যায়।
ইসলামের প্রতি তার এ শত্রুতা যারা দ্বীনকে উপলব্ধি করে, তাদের সামনে সুস্পষ্ট থাকে। সে বাস্তবেই দ্বীনকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন রাখে এবং জামাআতে নামায পড়ার উপর পর্যন্ত বিধি নিষেধ আরোপ করে।"
লেখাটির লিংক..... http://on.fb.me/1hJnjoq
বইটি ডাউনলোড করুন এই লিংকে (পিডিএফ ফরম্যাট) .... http://bit.ly/1wVL2x5
আর টেক্সট ফরম্যাটে বিভিন্ন পর্বে বইটি পেতে #দাউদ_ইব্রাহিম ভাইয়ের এই পোস্টে ক্লিক করুন..... http://on.fb.me/1rqKM69

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




