দিনটার কোন সময় জ্ঞান নেই। ঘণ্টার কাঁটা, মিনিটের কাঁটা, সেকেন্ডের কাঁটা কিছুই নেই। তাই সে চিরন্তন। শুধু মনে আছে, কৃষ্ণচূড়া খুঁজতে গিয়েছিলাম কৃষ্ণচূড়া বিহীন একটা দিনে। এক চিলতে রক্তিম লালেরও দেখা পাইনি, তাতে কি? হাতের উপর একটা হাত তো ছিলো! বেসামাল উড়নচণ্ডী এই মনটাকে চোখ পাকিয়ে না সামলে, ছেরে দিয়েছিলো উপচে পড়া আকাশের নিচে। মনটা তখন শূন্যে বসে, পা দুলিয়ে বাদাম চিবিয়েছে, আবার হংসমিথুন হয়ে জলেও ভেসেছে।
চা-কফির কোন নেশা নেই লোকটার, তারপরও রাস্তার পাঁশের লেবু চায়ে চুমুক দিয়ে হাসে, আর, এই চা খোর উড়নচণ্ডী মনটার চা খওয়া দেখে। কেন হাসে, কেন দেখে আর পাঁশে দাড়িয়ে বেস্বাদ ঠেকা চায়ে কেনো চুমুক দেয় কে যানে???
তবে, গত আট বর্ষে আজ একটা উপহার দিয়েছে বটে!!! খন্ড খন্ড নয়, পুরো আস্ত একটা দিন। উপহারের গায়ে লেখা ছিল ‘আজকের দিনটা তোমার’। দিনটার ভিতরে ছিল একটা চিরকুট, ‘যেখানে খুশি হারিয়ে যাও, তবে আমি তোমার সাথে যাচ্ছি না, আমি গেলে ছোট ছোট মুখ গুলোকে সামলাবে কে?’
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭