somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্যা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"অনন্যা "
......
"বিকেল ৩টায় কণক স্যারের কাছে
প্রাইভেটে যাব ।। প্রতিদিন ২ নম্বর
গেইট
থেকে টেম্পুতে করে যেতে হয় আজও
তার
ব্যাতিক্রম হয়নি । তবে আজ একটু দেরি
হয়ে গেছে এখন প্রায় ২.৪৫ বাজে ।
কি
আর করার খালি একটা টেম্পুতে বসে
পড়লাম । চোখের পলকেই টেম্পুর সব
সিট
বুকিং হয়ে গেল শুধু আমার পাশের
সিট
টাই খালি ছিল । টেম্পু Start দিবে এই
মুহূর্তেই কোথা থেকে একটি মেয়ে
এসে
আমার পাশে বসে গেল !!!! মনে মনে
ভাবলাম এ কি এটা কি হলো ???
মেয়েটা বসার আর কোন জায়গা
পেলনা
। শেষমেষ আমার পাশে একটা
মেয়ে !!!!
অবশ্য তারই বা কি দোষ জায়গা
খালি
থাকলে বসবেনা, সেও হয়ত আমার
পাশে
বসতে চায়নি, তারও হয়ত প্রাইভেটে
যেতে late হচ্ছিল । তবুও শরমে মুখ আমার
মুখ লাল হয়ে গেল । টেম্পু Start দেয়া
শুরু
করল । মাঝে মাঝে মেয়ের হাতের
কয়েকটা গুতা খাচ্ছিলাম । কখনো
কখনো
মেয়েটি গতির স্থিতিশীলতার সূত্র
মেনে আমার দিকে ঢলে পড়ছিল ।
নিজেকে খুব অস্বস্তি লাগছিল ।
মেয়ের
দিকে তখনো তাকাই নি । তবে বুজতে
পারছিলাম সে fb চালাতে ব্যাস্ত ।
সামনে বসা লোকগুলোর খেয়ে
দেয়ে আর
কাজ নেয়, সেই কখন থেকে আমার
পাশে
বসা মেয়েটির দিকে অপলক দৃষ্টিতে
তাকিয়েই আছে, চোখ আর নামায়ই
না ।
এইভাবে করতে করতে ১০ মিনিট পর
চকবাজার পৌছলাম, এতক্ষণ পর
নিজেকে
মুক্ত মনে হলো । মেয়েটার দিকে
এইবার
লক্ষ করলাম আর যা দেখলাম তা
দেখেই
আমি পুরা হতভম্ভ ! আরে এই তো সেই
মেয়ে যার নাম রোজ বন্ধুমহলে শুনি !!!
নাম "অনন্যা" !! রুপে যেমন অনন্যা,
চালচলনেও ঠিক তাই । চোখে চশমা ।
ছড়িয়ে দেয়া চুল, ওয়াও এত সুন্দর
মেয়ে
পৃথিবিতে আছে !! শত শত ছেলে ওর
উপর
ক্রাস তার মধ্যে আমিও একজন । শত শত
ছেলের কথা ভাবলে চলবেনা
নিজের
কথা আগে । মেয়েটাকে পটানোর
অনেক
চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি । অথচ
আজ
সেই মেয়েই কিনা আমার পাশে এসে
ধরা দিল আর আমি আগলে রাখতে
পারলাম না !!! সুযোগতো আর বার বার
আসেনা । অবশ্য সুযোগ পেলেও কি ,
না
পেলেও কি ! মেয়েটি প্রেমের
ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী না । এই
পর্যন্ত
না হলেও ৩০টা ছেলে তাকে
প্রপোজ
করেছে আর সেই মেয়ে সুন্দর করে
রিজেক্ট করে দিয়েছে । আমি করলে
আমার কপালও হয়ত এমন হবে । থাক বাদই
দিলাম লিস্ট থেকে । না জানি আরও
কত
অনন্যা দুনিয়াতে আছে ! এমন অনন্যা
খুজে পাব কিনা তাও জানিনা ।
তবে এই
অনন্যা তো আমার চোখটাকেই অনন্যা
বানিয়ে দিয়েছে । চোখ বুজলেই সে
আমার সামনে এসে ধরা দেয় । জানি
তাকে হয়ত পাবোনা তবুও পাওয়ার
স্বপ্ন
নিয়েই বেঁচে আছি । আগে যদি
জানতাম
টেম্পুতে বসে বসে এই মেয়ের হাতের
গুতা খাচ্ছি, তাহলেতো আমি তখনই
Gold
হয়ে যেতাম অনেকটা পরশ পাথরের মত

আহা, কি অনন্যাস্পর্শ "
.........."ঠিক এইভাবেই আমার
ডায়েরিতে
লেখা গল্পটা আমার বাবা জোড়ে
জোড়ে পড়ে মা,চাচা-চাচীকে
শুনাচ্ছিল আর হাসছিল । আর আমি মুখ
লাল করে উনাদের সামনে দাড়িয়ে
আছি, ইচ্ছা করছিল একটা বোরকা পরে
নিজেকে ঢেকে রাখতে । এত লজ্জা
জীবনে কখনো পাইনি !! আমি ভুল করে
ডায়েরিটা খুলে টিভি দেখতে চলে
গিয়েছিলাম । আর আমার বাবা সুন্দর
করে ডায়েরিটা খুলে "অনন্যা"
গল্পটা
শুনাচ্ছিল । বাবার থেকে অনেকবার
ডায়েরিটা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা
করেছি কিন্তু পারিনি । মা-বাবার
সামনে এমন পরিস্থিতে পড়ব কখনই
ভাবিনি । এখন কিছু বলেও তো লাভ
নেয়
ডায়েরিতে লিখা সব গল্পইতো পড়ে
ফেলল । । আমি খুব হতাশ ! তখনই বাবা
বলে উঠল
-" তোর লিখাটা খুব অনন্যা-সাধারণ"
-বাবা,অনন্যা না । অনন্য-সাধারণ ।
- আরে না কি বলিস, অনন্যা-সাধারণ !!
.... বুজতে পারছি বাবাও কথায় কথায়
আমাকে বাশ দিচ্ছে । চাচা-চাচীর ও
ব্যতিক্রম নেয় কথায় কথায় " কিরে
অনন্যার কি খবর ? "
....হায়রে অনন্যা তুমি তো মোদের
পরিবারটাকেই করেছ " অনন্যা " "
......
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×