somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রিয় ১০ টি বই এর মাঝে একটি ( ধারাবাহিক-২য় পর্ব)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভেবেছিলাম গজেন্দ্র কুমার মিত্রের ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথমটি হতে কিছু অনবদ্য অংশের পরিচয় দিয়েই আর বাকী দু'খন্ডের পরিচয়ের পালা সাঙ্গ করে দেবো। আর ২য় ভালোলাগার বইটি নিয়ে লিখতে শুরু করবো। কিন্তু এই তিনটি বই এর মুগ্ধতার রেশ এতটাই বেশি যে আরও বাকী দুটি খন্ড হতে আলাদা ভাবে ভালোলাগাগুলি শেয়ার না করে ঠিক শান্তি পাচ্ছি না।

এই ট্রিলজীর ২য় উপন্যাসটির নাম "উপকন্ঠে"। তবে "উপকন্ঠে" নিয়ে বলার আগে "কলকাতার কাছেই" বইটি হতে শ্যামার শেষ জীবনের শ্যামা হয়ে ওঠার সেই অদ্ভুত চরিত্রের সাথে এর আগের পর্বে যে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি তার কিছুটা বিবরন বা ব্যাখা দেওয়াটা বুঝি অপরিহার্য্য।

সরকারবাড়ির পুজোরী বামুনের চাকুরীটা নরেন নিলেও সেই চাকুরীতে তার গাফিলতির শেষ ছিলোনা। প্রায় দিনই ছন্নছাড়া ভবঘুরে নরেন বাড়ি থেকে পালিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়াতো তার হদিস কেউ কখনও জানতোনা। এই করে করে শ্যামা কয়েক বছর কাটালো সে সরকার বাড়ীর প্রকান্ড বাগানের এক কামরায়। তার বড় ছেলে হেম এক সময় আট বছরে পড়লো। ও পৈতে নিয়ে যজমানী শুরু করলো। যেখানে একটা বছরও কাটবার কথা ছিলোনা সেখানে এত কাল কি করে কাটলো ভেবে পায়না শ্যামা।

প্রকান্ড বাগানের মাঝে ছিলো তাদের সেই একরত্তি আবাস। কাজেই বাগানের পাকা তাল, আতা, নোনা, নারকেল, পেঁপে কলা- চুরি করে করে ক্ষুন্নিবিত্তির নিমিত্তে সেসব সংগ্রহ করতো শ্যামা। শুধু শ্যামাই কেনো- হেম, মহা( শ্যামার মেয়ে মহাশ্বেতা) সবাই। সেটা আর গোপন ছিলোনা।- সরকাররা সবাই জানতো। চলতো শুধুই লুকোচুরি খেলা। সরকারবাড়ির নাতনী মানে মেয়ে পিটকীর ছেলেটা ছিলো সবচাইতে বড় শত্রু। সে প্রায় সারাদিনই বাগানে বসে থাকতো।ওদের কারো টিকিটা দেখলেও নাকি কান্না শুরু করতো-ওঁ মা দেখো, আবারও ঐ বামুনগুলো এসেছে চুরি করতে- ওঁ মা-

আর ছোট্ট মহা ওদের কাছে শুনে শুনেই গালাগাল দিতে শিখেছিলো, সে আধো আধো কন্ঠেই আঙ্গুল মটকে শাপ দিত- হতচ্ছাড়া ছেলে মরেও না- মর -মর-

এইভাবে চলে টানাটানি। বামুনের ছেলে বলে রেয়াৎ করেনা কেউ। যখন ধরা পড়ে চোরের মার খায়। শ্যামা দিনের আলোয় চেষ্টা করে না- রাত্রীর অন্ধকারে গা ঢেকে ঘুরে বেড়ায় নিশাচরী প্রেতিনীর মত। আগে আগে সরকারেররা ভয় পেতো, সত্যি সত্যি "অন্যিদেবতা" মনে করে চিৎকার করে রামনাম করতে করতে দৌড়ত,অন্ধকারের মধ্যে সাদা কাপড় পরা ওকে দেখে- কিন্তু ক্রমে কথাটা জানাজানি হয়ে পড়ায় তারাও নির্ভয়ে বেরোয় বাগানে। তাল কি নারকেল পড়ার শব্দ হলেই দু'দলে চলে প্রতিযোগিতা- কে আগে আসতে পারে। সরকারদের ছেলেমেয়েরাও নির্ভয়ে বেরিয়ে আসে- বামনী তো আছেই বাগানে, ভয় কিসের?

তবুও কষ্টের শেষ নেই শ্যামার। চুরি ধরা পড়ার শাস্তির ছিলো নব নব রুপ। শ্যামা অন্তরালে থেকে অসহায়ভাবে মাথা খুঁড়ে কপাল ফুলিয়ে ফেলে শুধু। একদিন বা হাত পা বেঁধে গাঁয়ে আলকুশী ঘষে দেওয়া হয়, আরেকদিন হয়তো বিছুটি ঘষে জল ঢেলে দেওয়া হয় গাঁয়ে।সবচেয়ে কষ্ট হয়েছিলো শ্যামার সেদিন, যেদিন সত্যিই অপরের বাগান থেকে চেয়ে আনা একটা নোনার জন্য মহাশ্বেতাকে শীতের বিকেলে পুকুরের জলে ডুবিয়ে ওর মাথায় পা দিয়ে চেপে রইলেন অক্ষয়বাবু স্বয়ং, চোর বলেই ধরে নিলেন, কোনো কথাই বিশ্বাস করলেন না।

খবর পেয়ে ছুটে আসলেন শ্যামা। কখনও এই সব চুরির শাস্তি নিয়ে কোনো কথা বলেনি সে কিন্তু আজ মেয়ের নীল হয়ে ওঠা মুখের দিকে চেয়ে আর সইতে পারলোনা সে। বলে ফেললো, ফল তো কত পাখ পাখালি, কাকে বাদুড়ে ভামে খেয়ে যাচ্ছে, নাহয় খেলেই বামুনের ছেলেমেয়েরা দুটো........। তাই বলে বামুনের কুমারী মেয়ের মাথায় পা? মা সতীরাণী এর বিচার করবেন।

এর পর সত্যিই সেদিন রাতে অক্ষয় সরকারের নাতনীটার বিষম জ্বর হলো। ভয়ে পেয়ে গেলেন তারা।ক্ষমা চাইলেন, একটা রফাও করলেন-বাগানে যা নারকেল পাতা পড়বে, গাছ ঝাড়িয়ে যা কেটে ফেলা হবে সব পাবে শ্যামা--- আর জ্বালানী পাতা অর্ধেক অর্ধেক---- সেই শুরু হ'ল শ্যামা ঠাকরুনের পাতা জমানো।

উপরে এত গুলো কথা লেখার কারণ যারা আমার এ লেখা মন দিয়ে পড়ছেন তাদের নিশ্চয় মনে আছে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও কুঁজো হয়ে সারাদিনমান বাগানে হেঁটে হেঁটে পাতা কুড়িয়ে জমিয়ে চলেছেন শ্যামা। এই সেই অভ্যাসের ইতিহাসের শুরু। সামান্য শুকনো পাতা যা জ্বাল ধরাতে সাহায্য করে সম্বলহীন শ্যামার কাছে সেও ছিলো হিরকসম মূল্যবান। একটা সময় ছেলেকে দিয়ে অফিস থেকে শিশি বোতল চুরি করাতেও অনুপ্রানিত করে শ্যামা। সেসব শিশি বোতল জমায় খাটের তলায়। মুছে রাখে, গায়ে হাত বুলোয় যেন কোনো হাজার বছরের পুরোনো রাজার খনি হতে খুঁজে পাওয়া গুপ্তধন। তিল তিল করে জীবনযুদ্ধে লড়াই করে সঞ্চিত সম্বলে শ্যামা যেন এক সিন্ধু গড়ে তুলবার সংকল্প নিয়েছিলেন।

সংগ্রামী শ্যামার শ্বাসুড়ী হবার ব্যাপারটিও আমার কাছে বেশ চমকপ্রদ ব্যাপার। প্রথম যখন সরকারগিন্নী মঙ্গলা প্রস্তাব নিয়ে আসেন তার সাত বছরের মেয়ে মহাশ্বেতার জন্য বাইশ বছরের ছেলে অভয়পদ এর বিবাহের। অবাক হয়েছিলেন শ্যামা, আপত্তিও করেছিলেন। তবে পরবর্তী জীবনে অসম্ভব বিচক্ষন, বুদ্ধিমান, নিস্বার্থ, উপকারী বন্ধুটির মত সর্বক্ষন পাশে থেকেছেন এই বড় জামাইটি। বলতে গেলে তার সকল বিপদে আপদে উপকারে ও শেষ বয়সে একটি বাড়ির স্বপ্ন দেখার সহায়কও ছিলেন এই জামাইটি। তবে জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে সকল আবেগ শূন্য হয়ে গিয়েছিলো শ্যামার, কাজেই মাঝে মধ্যে এই জামাইটিকেও স্বার্থপর বা সন্দেহের চোখে দেখেছিলেন তিনি মনের কুটিরে অভাবে আঘাতে গড়ে ওঠা কুটিলতার কুঠুরীতে।

মহাশ্বেতার বিয়ের ঠিক তিনদিন আগে নরেন এসে পড়লো কোথা থেকে- একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবে। হাতে খানিকটা কচুপাতা জড়ানো হরিণের মাংস আর সের দুই ময়দা নিয়ে। সেই মাংস রাধবার আদেশ দিয়ে একটু জুড়িয়ে বসতেই তার চোখে পড়লো বিয়ের আয়োজনটা। ব্যাস শুরু হলো তার অকথ্য অশ্রাব্য গালাগাল, তার মেয়ের বিয়ে অথচ সে জানেনা কেনো।
তবুও শ্যামার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেনি, সে বুঝিয়ে বলবার চে্ষ্টা করেছিলো।-" তুমি কি বাড়িতে থাকো নাকি আমাদের খবর রাখো? তোমাকে বিয়ের কথা জানাবো কি.........."
-থাম হারামজাদী, ওসব লম্বা বাত রাখ। আমার মেয়ের বে' আমি দোবোনা দোবোনা। বলে পাঠা তাদের এখুনি যে, ওসব চলবেনা। তারপরও যদি করতে আসে তো এই নানদা রইলো, সবকটার মাথা যদি না ফাটিয়ে দিই তো আমার নাম নেই।

শেষে পুলিশের ভয় দেখিয়ে সে যাত্রা তার লম্ফ ঝম্ফ থামানো হলো তবে শোকে ,দুঃখে ও নির্মম ব্যাস্তবতায় শ্যামা চরিত্রের আরও একটি কঠোর দিক দেখতে পাই বিয়ের আগের দিন- এ কঠোরতা, এই নির্মম হৃদয় উপন্যাসে বার বার ফুটে উঠেছে। চরম বাস্তবতা শ্যামার হৃদয়ের কোমলতাটুকু শুষে নিয়ে করে তুলেছিলো রুক্ষ কঠিন।

মহার বিয়েতে যথার্থ পরিমান অর্থ যোগাড়ের চিন্তায় শ্যামার দুশ্চিন্তার শেষ নেই অথচ নরেনের থেকে কোনো কিছু আশা করেও লাভ নেই সে কপর্দকহীন মানুষ। কিন্তু পিটকীর সেজমেয়ের কাছে খবর পায় শ্যাামা যে স্নান করতে গিয়ে নরেন নাকি কোমর থেকে গেঁজে খুলে কিছু টাকা শুকুতে দিয়েছে। তখনকার মত কিছু আর উচ্চবাচ্য করেনা শ্যামা।

বিকেলের দিকে বিয়েরে নানা জোগাড় যন্ত্ররের সময় সোজাসুজি গিয়ে নরেনকে বলে"কৈ কুড়িটা টাকা দাওতো, আমি আর কিছুতেই পেরে উঠছি না। ময়দা ঘি এখনও সব বাকী। তবু তো মাছ মা কাল পুকুর থেকে ধরিয়ে দেবেন বলেছেন।"

বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ওঠে নরেন
-"টাকা! টাকা আমি কোথায় পাবো? এক পয়সা নেই আমার কাছে। ......আর ঘি কি হবে, তেলেভাজা লুচিই তো বেশ! কিংবা ভাত খাওয়াগে যা।বামুনবাড়ি তাতে দোষ নেই। পুজূরী বামুনের মেয়ের বিয়ে- তাতে আবার লুচি!"
শ্যামা নানাভাবে বুঝিয়েও ব্যার্থ হলেন।

নরেনের এক কথা-
"তবে মরগে যা। আমি কি জানি, লবাবী করতে হয় নিজের কোমরের বল বুঝে করবি।"

"কোমরের বল বুঝেই তো করছি। যা কিছু আমি তো করছি আর করছেন মা, তুমি যে এত জন্মদাতা পিতে বলে চেঁচাও- তা তুমি করলে কি শুনি? মেয়ে তোমার নয়?"

" মেয়ে আমার তো কি হয়েছে? আমি তো আর বিয়ে দিতে যাইনি। আমার যখন খ্যামতা হত তখন বিয়ে দিতুম। তুই কি আমার মত নিয়ে বিয়ে ঠিক করেছিলি? "


নানা মিথ্যে কথা্য ও ঝগড়া বিবাদে বিরক্ত হয়ে ওঠে শ্যামা। তবুও নরেন ছেলেমেয়ে ঠাকুর দেবতার নাম ধরে দিব্যি করে মিথ্যে বলতে থাকে। এক সময় অসহ্য হয়ে গিয়ে শ্যামা টান মেরে তার কোমর থেকে গেঁজে খুলতেই ছড়িয়ে পড়ে টাকা। শ্যামা এত বড় মিথ্যে আর সইতে পারেনা। সমাজ, সংসার, বিচার, বিবেচনা হারিয়ে দুঃখ ও হতাশায় সপাটে চড় মেরে বসে নরেনের গালে। যে প্রানান্ত চেষ্টা ও কষ্টে দিনাতিপাত করছে সে আর দায়িত্ব জ্ঞানহীন নরেনের দায়িত্ব হীনতার পরিচয় কোনো কিছুতেই বুঝি মেলাতে পারেনা শ্যামা।
বহুদিনের বহু সঞ্চিত ক্ষোভ,স্বামীর অমানুষিক আচরণের জন্য সমস্ত তিক্ততা যা ওর অন্তরে জমেছিলো এতকাল তা যেন ওকে ঐ চড়ের শক্তি ও প্রেরণা জোগালো নিজের অজ্ঞাতসারে, সম্পূর্ণ অতর্কিতে।
স্তম্ভিত হয়ে গেলো নরেন!

ভালোয় ভালো বিয়ে হলো মহাশ্বেতার। তাদের মতই আরেক হতদরিদ্রের ঘরে। তবে সরলতার প্রতীমা মহাশ্বেতা ছিলো কঠোর কঠিন শ্যামা চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। সবকিছুকেই খোলা ও সহজ মনে নিয়ে ফেলাটাই ছিলো তার চরিত্রের বৈশিষ্ঠ। পৃথিবীর অপার রহস্যে ছিলো তার অগাধ বিস্ময়! তাই শ্বসুরবাড়িতে ততটা দাম না পেলেও ভালোমানুষ হিসেবে সকলের মনেই ঠাই করে নিয়েছিলো সে। বিশেষ করে তার বয়সের তিন গুন বড় অসম্ভব ভালোমানুষ স্বামীটির প্রিয় মানুষ হিসেবেই মনে হয়েছে আমার তাকে। বড় সহজ সরল চরিত্রের হওয়ায় সংসারের বড় বউ হওয়া সত্বেও মেজবউ প্রমীলার কাছে গিন্নীতের লড়াই এ হেরে যায় সে বারবার। এমন ক্ষোভ তাকে সারাজীবন জ্বালিয়ে মেরেছে।

সেবার আশ্বিনের প্রথম থেকেই মহাশ্বেতার শরীরে একটা কি গন্ডগোল দেখা দিলো। দিনরাত গা বমি বমি করে , কেমন যেন ঢিশ ঢিশ করে শরীর- কিছুই ভালো লাগেনা।কেবল শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। দিনকতক এইভাবে যেতে যেতেই সত্যিকারের বমি শুরু হলো। যা খায় কিচ্ছু পেটে তলায় না। মহাশ্বেতার স্থির বিশ্বাস হলো এবার সে মারা যাবে।
স্বামীকে ডেকে একদিন বললেও, "হ্যাগো তোমরা কি ডাক্তার বদ্যি কিছুই দেখাবে না? আমি এমনি বেঘোরে মারা যাবো?"
ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে জড়িয়েই অভয়পদ সাড়া দিলো-" ও তুমি মরছো নাকি? তা তো জানতুম না।"
" -তা জানবে কি? আমি মলেই তো তোমার সুবিধে।আমি কালো পেঁচী- আমাকে তোমার মনে ধরেনি, তা কি আর আমি জানিনা? সেই জন্যেই তো তুমি আমার চিকিচ্ছে করাচ্ছো না। মরতে তর সইবেনা আর একটা বিয়ে করে আনবে।"
- "তা তো সত্যিই নইলে আমার চলবে কি করে?" পরক্ষনেই অভয়পদ নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মহাশ্বেতা অবাক হয়! বিস্মিত হয় মানুষটা তো এত খারাপ না । "

শ্বাসুড়িও নির্বিকার । অথচ এই মানুষটিও মহাকে কম ভালোবাসে বলে মনে হয়না।
অবশেষে একদিন না থাকতে পেরে শ্বাসুড়ীর মুখের উপরই বলে সে -
"মা আমাকে একবার বাপের বাড়ি পাঠাবেন?"
- তা কেনো পাঠাবোনা বৌমা? কিন্তু হঠাৎ এ খেয়াল কেনো গো বাছা?
- মনে হচ্চে তো আর বেশি দিন বাঁচবোনা।শেষ দেখা দেখে আসি। মুখখানাকে যতদূর সম্ভব গিন্নিবান্নির মত করে বলে মহা।
-ষাট ষাট ওমা কি অলুক্ষুনে কথা গা বৌমা। ষাট! তুমি মরতে যাবে কি দুঃখে মা। অ মেজবৌমা পাগলীর কথা শুনে যাও মা।

প্রমীলা এসে দাঁড়ায় কিন্তু কোনো কথা বলেনা। মুখে আঁচল দিয়ে ফুলে ফুলে হাসে। মহার হাড় জ্বালা করে ঐ হাসি দেখলে।
সে বলে-" আপনাদের আর কি মা? একটা বৌ যাবে আরেকটা আসবে।আমি তো আমার শরীর বুঝি .......... মায়ের কাছে গেলে মা যেমন করে হোক, দেনা করে হোক, ভিক্ষে করে হোক ডাক্তার দেখাবেন.........."

শ্বাসুড়ী রাগ করেন- "সে দরকার বুঝলে আমরাও দেখাবো মা। কিন্তু এ অবস্থায় বমি হবেনা! এ আবার কি ছিষ্টিছাড়া কথা বাছা?"

মাথাটা আরও গুলিয়ে যায় মহাশ্বেতার। প্রমীলা ওকে টানতে টানতে নিয়ে যায় রান্নাঘরে। তার পর গলায় আঁচল দিয়ে ওকে বারবার প্রনাম করে বলে -"ধন্যি বাবা ধন্যি দিদি। এই গড় করি তোমার পায়ে। সত্যি দিদি তোর জন্যে কোনদিন আমি হাসতে হাসতে পেট ফেটে মরে যাবো।" আরও রেগে যায় মহাশ্বেতা।

-"আ মর অমন করিস কেন? আমার যা হয়েছে আমিই বুঝি। আমি মরবো বলে সবার ফূরতি পড়ে গেছে খুব না? "

শেষে প্রমীলা ওকে বুঝিয়ে বলে ওলো-" নেকী তোমার ছেলে হবে ছেলে, বুঝেছো?"

অকস্মাৎৎ চোখের ওপর কালো পর্দা কেটে যায় তার। এক ঝলক আলো ও আশার দমকা বাতাস বয়ে যায় ওর মনের উপর দিয়ে। স্বীকার করতেই হয় মেজবউ অনেক জানে।

মহাশ্বেতা চরিত্রটি এক ভালোমানুষ বিস্ময় বালিকাবঁধুর রুপ নিয়েই জেগে থাকে হৃদয় মাঝে। শেষ বয়সে বুড়ো হয়ে যাওয়া পর্যন্তও যেন সেই বালিকার সরলতা কাটেনা তার।

এভাবে দ্বিতীয় খন্ড "উপকন্ঠে" মূলত উঠে এসেছে মহাশ্বেতা ও তার শ্বসুর বাড়ির নানা চরিত্র ও শ্যামার অন্যন্য সন্তানাদি ঐন্দ্রিলা, তরু, হেম কান্তিদের কথা। প্রথম খন্ড কলকাতার কাছেই শেষ হয় শ্যামার মা রাসমনি দেবীর মৃত্যুদৃশের মাঝে আর দ্বিতীয় খন্ডে আমরা দেখি নরেন এর মৃত্যু। শেষ পর্য্ন্ত অমন দূর্বিনীত দূর্দমনীয় নরেনের করুন মৃত্যু দৃশ্যের চিত্রায়নও চোখে জল আনে।

মহাশ্বেতার মেজ জা বাঁজা প্রমীলার সাথে দেবর দূর্গাপদের গোপন প্রনয়ের ব্যাপারটি যা একসময় দূর্গাপদের নতুন বউ এর চাপা কষ্টের ভেতরে ফুটে ওঠে তাও অবিস্মরণীয় এক অধ্যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয় প্রমীলা তার স্বভাবজাত সকল কলাকৌশল নিয়েও দূর্গাপদের বউ তরলার কাছে।।


এভাবেই গজেন্দ্রকুমার মিত্রের এই উপন্যাস রাসমনির তিন কন্যা কমলা, শ্যামা, উমা, কমলার একমাত্র সন্তান গোবিন্দ, তার দুই স্ত্রী, শ্যামার সন্তান সন্ততিদের ক্রম বর্ধমান পরিবারের নানা কাহিনী নি্র্ভর করে এগিয়ে গিয়েছে যার প্রতি মুহুর্তের বর্ননায় মুগ্ধ হতে হয়।

কঠোর কঠিন শ্যামা জীবনের প্রতি মুহুর্তে লড়াই করে চলেছিলেন। তার সাথে পেরে ওঠেনি কোনো মানুষ, রীতিনীতি, সমাজ বা সংস্কার। কি অপরিসীম দক্ষতায় নিজের সন্মান নিজে বাঁচিয়ে চলেছিলেন তিনি শত দারিদ্র, অসৎ পন্থা অবলম্বন করে বা অন্যকে কখনও কখনও বা ঠকিয়েও। তারপরও সব কিছুর পর আমরা দেখতে পাই তার বেঁচে থাকার লড়াই। হার না মানার মানষিকতা। মেয়ের বিয়েতে মাটির গেলাস কম পড়ায় রাতের আঁধারে একা একা লুকিয়ে মানুষের খাওয়া এঁটো গ্লাসগুলি মাটি দিয়ে মেজে নিয়ে ঝুঁড়ি ভর্তি করে ফেলে একা একা। কি অসাধারণ দৃঢ়তা। জগতের কোনো প্রতিকূলতাই যে মানুষকে দমাতে পারেনা যদি তার থাকে দৃঢ় মনোবল! তেমনি এক প্রতিকী চরিত্র বুঝি এই শ্যামা।

তবে এই লড়াইকারীর অনেক অনেকবারই সন্মুখীন হতে হয়েছে আরও কিছু দূর্বিনীত নারী চরিত্রের কাছে যার বর্ণনায় হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরেছে আমার।

তেমনি এক চরিত্র পূত্রবঁধু বিনতা। ( শেষ পর্ব "পৌষ ফাগুনের পালা" হতে)-
পা ছড়িয়ে বসে গল্প করছিলো বিনতা। নিতান্ত সাধারণভাবেই- শুধুমাত্র সামনের ব্যাক্তিটিকে শোনাতে- কিন্তু তাতেই তার কথাগুলো যে সামনের অন্তত দুবিঘের বাগান ছাড়িয়ে বাইরের রাস্তা পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহমাত্র ছিলোনা। চেঁচিয়ে এবং হাত পা নেড়ে ছাড়া যেন সে কথাই কইতে পারেনা।
এসম্বন্ধে বহুবার তাকে সতর্ক করেছেন শ্যামা, তিরস্কার করেছেন, কঠিন ব্যাঙ্গে বিঁধতে চেয়েছেন কিন্তু কোনো ফল হয়নি। প্রথম প্রথম মনে হয়েছিলো মেয়েটা বুঝি শুধুই বক্তার অর্থাৎ বেশি কথা বলে, বা সময়ে অসময়ে কারনে অকারনে কথা না কয়ে থাকতে পারেনা। ক্রমে ক্রমে দেখা গেলো গলাও তার কম নয়। আর নতুন বৌ এর যে অত চেঁচানো বা অত কথা বলা অশোভন এ কথাটাও মাথায় যায়না কিছুতে।

সেদিনও একটু আগে শ্যামা বলেছেন
"আমি তো ন'শো পঞ্চাশ ক্রোশ দূরে নেই বৌমা- সামনেই আছি তবে অত গলা বার করছো কেনো?...নতুন বৌ এর গলা পাশের লোকও অত ভালো শুনতে পাবেনা এই ছিলো আগেকার নিয়ম। বৌয়েরা শ্বসুর বাড়ি এসে একটু চড়া গলায় কথা বললে নিন্দে হত, বেহায়া বলতো সকলে। এখন অবশ্য ততটা নেই। এরই মধ্যে পাড়ায় বেহায়া নাম রটে গেছে তোমার। কেনো একটু আস্তে কথা বললে কি হয়? আমাকেই তো বলছো। ও পাড়ার ভগবতী গয়লাকে তো বলছো না বাছা।"

"ওমা দুটো কথা কইবো- তাও বর নয়, কোনো পরপুরুষ নয়- শ্বাসুড়ির সঙ্গে বসে কথা বলা- অত চেপেই বা বলবো কিসের জন্যে?বলি অন্যায় অপরাধ তো কিছু করছিনা। এতে আবার বেহায়া বলাবলির কি আছে?আর বলে যে বেটাবেটিরা বলবে তারা নিজেদের মুখেই পাইখানা বসাবে।তাদের কথা আমি গেরাহ্য করিনা। "

বলা বাহুল্য এবার গলা বরং আরও চড়া। যেন সে বেটাবেটিরা পথের ওপারে কোথাও বসে আছে। তাদের শুনিয়েই বলতে চায় সে।একটু দম নিয়ে সে আবারও বললো, "আপনি কিন্তু বেশ বলেন মাইরি। হি হি হাসি পাই আমার শুনলে! বললেন কিনা, নতুন বৌ কথা বলবে পাশের লোকও শুনতে পাবেনা। হি হি তবে আর কথা বলাই বা কিসের জন্যে, পাশের লোকও যদি না শুনতে পায়?কাউকে না কাউকে শোনাবার জন্যেই তো বলে মানুষ। সেকালে লোকগুলো অমনি বোকা ছিলো সব!"

তারপর প্রকান্ড একটা হাই তুলে বলে, "আর নতুনই বা কি? দেখতে দেখতে তো পেরায় এক বছর ঘুরে এলো, এখন তো আমি পুরোনোর সামিল, আমার তো ঘর সংসার বুঝে নেবার কথা এতদিনে।"

হাল ছেড়ে দেন শ্যামা।তিনি যেন কিছুতেই পেরে ওঠেন না এর সাথে। তার নিজের মেয়ে ঐন্দ্রিলা রুপেও যেমন মুখরাও তেমন। স্বয়ং নারদ মুনিও ভয় পায় তার মুখের সামনে দাঁড়াতে। কিন্তু এ বউ সবাইকে টেক্কা দিয়েছে। এর সঙ্গে কিছুতেই পেরে ওঠেন না তিনি।

আপন মনে একসময় কাজ করে যেতে যেতে নিতান্ত ভালো মানুষের মত প্রশ্ন করেন,
"আচ্ছা বউ মা তোমার নাড়ি কেটেছিলো কি দিয়ে জানো?"

" নাড়ি কেটেছিলো? আমার? কি দিয়ে- তার মানে? আপনি কি সব মজার মজার কথা বলেন না এক এক সময়! আমার নাড়ি কেটেছিলো কি দিয়ে তা আমি কেমন করে জানবো বলুন? তখন কি আমার জ্ঞান বুদ্ধি কিছু হয়েছে যে আমি দেখে রাখবো?"


" তা বটে। সত্যি কথাই তো। না তাই জিজ্ঞেসা করছিলুম আর কি।" আরও নিরীহ কন্ঠে বলেন শ্যামা।

কিন্তু ততক্ষনে বিনতার কৌতুহল তীব্র হয়ে উঠেছে। সে সামনের দিকে এগিয়ে এসে বলেন। "কেনো বলেন তো মা? ব্যাওরাটা কি?"

" না ঐ যে বলেনা? - পাতা চাঁচতে চাঁচতে বটির দিকে নজর রেখেই উত্তর দেন তিনি"যে চ্যাঁচানি দিয়ে নাড়ি কাটলে খুব চাঁছা ছোলা পরিষ্কার গলা হয়।তাই জিজ্ঞেসা করছিলুম আর কি। কথাটা হঠাৎ মনে পড়ে গেলো তাই।"

" ও আমার গলার কথা বলছেন? সব্বরক্ষে! আমি বলি কি না কি ব্যাপার!- তা কে জানে বাপু কি না কি দিয়ে চেঁছেছিলো।- মা জানতে পারে। আমি কোনোদিন মাকে জিজ্ঞেসাও করিনি।"

বলতে বলতেই কি একটা কথা মনে পড়ে উৎসাহিত হয়ে ওঠে যেন-"ওমা সে বুঝি জানেন না- অনেককাল, বোধ হয় ওমন চার পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমার কথাই ফোঁটেনি যে। ওরা তো ভয় পেয়েই গেছলো যে, বোধ হয় বোবাই হব, জন্মে আর কথা ফুটবেনা মুখে। মা নাকি খুব কান্নাকাটি করতো সে জন্যে। তারপর মার কান্না দেখেই হোক আর নিজের ধম্ম ভেবেই হোক কাকা কোন এক বড় ডাক্তারকে দেখিয়েছিলো, সে ডাক্তার এসে গলার মধ্যে কমনে কি চিরে দিতে তবে বুলি ফুটলো ।"
"তাই নাকি! তা সে কে ডাক্তার বৌমা? তার নাম কি?"
" কে জানে বাপু? আমি অতশত খবর রাখিনা, জিজ্ঞেসও করিনি কখনও। কাজ হয়ে বয়ে চুকে গেছে- নিশ্চিন্তি। অত কি- কি বিতেন্ত- তার চোদ্দ পুরুষের নিকেশে আমার কি দরকার?"
" তা তোমার মার মনে নেই? কি তোমার কাকার?.. একটা চিঠি লিখে দেখোনা.....নাম ঠিকানা কি আর এখনও বেঁচে আছেন কিনা?"
" তা লিখতে পারি। কিন্তু সে ডাক্তার দিয়ে আপনার এখন আবার কি হবে?কাকে দেখাবেন- বলাইকে?"
" না বলাইকে দেখাবো কেনো? তোমাকেই দেখাবো-।"
"আমাকে?"
ইষৎ ভ্রুকুটি করে তাকায় সে।এতক্ষনে বুঝি কি একটা সংশয় ঘনিয়ে আসে বিনতার মনে।
" দেখাবো এই জন্য যে , যিনি তোমার গলা চিরে বোল ফুটিয়েছিলেন,তিনিই এখন দেখে শুনে সেটা সেলাই করে আবার বোল বন্ধ করতে পারেন কিনা! তার জন্য যদি ষোল টাকা ভিজিট নেন সে ডাক্তার তো আমি দিতে রাজী আছি।"

দেখতে দেখতে ভীষন আকার ধারন করলো বিনতার মুখ। গলা আরও এক পর্দা চড়িয়ে তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠলো-" কেনো বলুনতো আমার বুলি বন্ধ করে দেবেন!কিসের জন্যে! এসব কি অলুক্ষুনে কথা বার্তা!আমি আপনার কি পাকা ধানে মই দিয়েছি শুনি! আমার কথা যদি এত খারাপ লাগে আমার সাথে কথা কইতে আসেন কেনো? কাল থেকে আর কথা কইবেন না।আমার কথা শুনতেও হবেনা।বলে না যাবে নগর না হবে ঝগড়-তাও অসহ্যি লাগে ভেন্ন করে দিন না। আপনার খারাপ লাগে বলে আমার কি মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে নাকি! ই--ল --লো! আবদার মন্দ নয়! উনি যেন সাক্ষাৎ ভগবান এলেন একেবারে, কিম্বা খড়দার মা গোঁসাই! ওকে তুষ্টি করতে জিব কেটে দেবো আমি। কেনো আমার গলার ওপরই বা এত নজর কেনো?নিজের মেয়েদের গলা কি কিছু কম নাকি? বট ঠাকুরজির গলা তো শুনি সেই রাসতলা থেকে শোনা যায়! মেজ ঠাকুরঝি যখন আসে তখন তো শুনেছি আরও এক কাঁঠি সরেস- কাক চিঁল বসতে পায়না বাড়িতে।- ওগো শুনেছি সব- চক্ষে নাই বা দেখলুম,কন্যেদের গুণ শুনতে আমার আর বাকী নেই এর মধ্যে কিছু। তার বেলা তো কিছু বলবার সাধ্যি হয়না। সে বুঝি সব ভালো! নিজের ময়লায় গন্ধ নেই - না? যত চোর দায়ে ধরা পড়লো বৌ বেটি হতচ্ছাড়ী! বাঃ বেশ তো, বেশ বিচের হলো!!!

ক্রমশ যেন রণ রঙ্গিনী মূর্তী ধারণ করে সে। চোখ দুটো জবা ফুলের মত লাল হয়ে ওঠে, মুখের দুই কষে কি যেন ফেনার মত। চুলগুলো যেন খানিকটা খাড়া হয়ে উঠেছে।ভদ্র ঘরের মেয়ের এমন উগ্র মূর্তী কখনও দেখেনি শ্যামা। বস্তি টস্তিতে ঝগড়া বাঁধলে হয়তো এমন দৃশ্য চোখে পড়ে...................ভয় পেয়ে যান শ্যামা.............

হা হা হা ...........................

শেষ বয়সে অন্ধের ষষ্ঠি নির্বোধ নাতী বলাইকেও শ্যামা আটকাতে পারেনা অথবা চায়না।বহুদিন আগে কোমলমতী শ্যামা একাকী যে দূর্গম জীবনের পথ চলা শুরু করেছিলেন, ঘাত প্রতিঘাতে হয়ে উঠেছিলেন রুঢ় কঠিন থেকে কঠিনতর তার সমাপ্তি কোথায় আমরা তা উপন্যাসের শেষে এসেও দেখতে পাইনা। উপন্যাসের শেষে এসেও আমরা দেখি সব হারিয়ে শেষ মুহুর্তেও জীবনের সকল পরাজয় বা নির্মম পরিনতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একলা টিকে থাকা এক অপরাজেয় বৃদ্ধা। শরীর বেঁকে গেছে, চোখের দৃষ্টি হারিয়ে গেছে তবুও তার মানষিকতার ঋজুতার এক অপার বিস্ময় নিয়েই উপন্যাসের শেষ হয়।

এর বহু পরে পড়া আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের 'দি ওল্ড ম্যান দ্য সী' এর সেই হার না মানা বৃদ্ধের সাথে শ্যামার কিছুটা মিল যেন খুঁজে পাই আমি............সে জীবন যুদ্ধের আরেক অপরাজি্ত সৈনিক..............

১০টি প্রিয় বই এর মাঝে একটি ( ১ম পর্ব)

দ্বিতীয় ভালোলাগার বইটি নিয়ে খুব শিঘ্রী আসবো...........ততক্ষনের জন্য শুভকামনা................


২৪টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×