কেউ ভাবতেই পারে, আমেরিকা ভারতের পক্ষে লাদাখে সৈন্য পাঠালে মদির বডি একেবারে সিক্স প্যাক হয়ে উঠবে ।
কাশ্মীর সীমান্তে এক ঠ্যাং উঁচিয়ে যেভাবে বায়ুত্যাগ করে মাঝে মাঝে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিতে চায়, সেভাবে চীনকেও উড়িয়ে দেবে ।
ব্যাপারটা কি আসলেই সেরকম ?
যদিও চীনের শত্রুও এখন কম নয় । জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনএশিয়া, মালয়শিয়া । এ ছাড়া হংকং এবং তাইওয়ান নিয়েও আছে সমস্যা ।
তবু অনেকেই মনে করে চীনকে ঘায়েল করা এত সহজ হবে না ।
একমাত্র বৃটেন ছাড়া ইউরোপের কোন দেশ এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেনি ।
সব চেয়ে বড় কথা হলো, চীনের সাথে কোন দেশের যুদ্ধ ঘোষণার আগে সামরিক বিষয়ের চেয়ে সে দেশের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আগে ভাবতে হবে । কারণ বর্তমান বিশ্বে চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কোন দেশের অর্থনীতিকে টিকে রাখা কঠিন ।
এটা ভারতও খুব ভাল করেই জানে । তাই কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দিয়ে কয়েকটা পুরানো চায়না টিভি, মোবাইল ভাংচুর করে জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ দেখানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত চীনের সাথে যুদ্ধে তা হালে পানি পাবে না ।
তাই, আপাতত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছু মানুষকে গরুচোর বানিয়ে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেই ভারতকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে । আর আমাদের আত্মা তো অনেক বড়, হত্যা করলেও আমরা বুকে জড়িয়ে ধরে রাখতে জানি ।
এত সহজে বন্ধুর উপর রাগ করি না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪১