করোনায় পয়তাল্লিশ মৃত্যুর সাথে আজ যোগ হয়েছে লঞ্চডুবিতে মারা যাওয়া আরো বত্রিশটা লাশ (এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী) ।
বাকী যারা নিখোঁজ রয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে তারাও জলের তলে সলিল সমাধী হয়েছে । তবে উদ্ধার অভিজান এখনো চলমান ।
প্রশ্নঃ কেন বড় লঞ্চটি ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দিল ? ছোট লঞ্চটি ফিটনেসবিহীন ছিল কি না, ঘাটের অবস্থা, জলের তোড়, লঞ্চে লঞ্চে শত্রুতা - এসব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্যে তৈরী হয়েছে তদন্ত কমিটি ।
যেমনটা এর আগেও অনেকবার হয়েছে । অবশ্য রিপোর্টের প্রতি বরাবরই আমাদের অনাগ্রহ থাকায় তা দেরীতে আসলেই সমস্যা নেই ।
নতুন খবর হলো, যারা এতদিন সাধারন সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, বুকব্যথা, মাজাব্যথা কিংবা হাত-পা ব্যথার জন্য দৌড়ে গিয়ে ফ্রিতে করোনা টেস্ট করানোর জন্য লম্বা সিরিয়াল দিত, এখন থেকে তাদেরকে আগে দু'শ টাকা বুথে জমা দিতে হবে ।
আর যারা বাসায় বসে স্যাম্পল দিবে তাদেরকে পাঁচ'শ টাকা করে দিতে হবে ।
কথা হলো, এই অভাব আর মহামারীর দিনে স্বল্প আয়ের নিঃস্ব মানুষেরা যদি দু'শ কিংবা পাঁচ'শ টাকা বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে উপসর্গ থাকার পরও করোনা পরীক্ষা না করায়, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যেতে বাধ্য । পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও কমে যাবে ।
এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্য আস্তে আস্তে কমে গেলে ধরে নিতে হবে করোনা আমাদের ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে এবং তখন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথাও চিন্তা করব ।
কারণ, এরপর যারা মারা যাবে তারা করোনা উপসর্গ নিয়ে মরবে । যেটা প্রথম থেকেই হয়ে আসছে । আর উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে তাকে করোনা আক্রান্ত মোট মৃত্যু সংখ্যার হিসাবের বাইরে রাখা সহজ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬