মৃত্যু, ভয়, আতংক ও আর্থিক সংকটের মধ্যে থেকেও যারা কোরবানী দেওয়ার নিয়ত পাকা করে ফেলেছে, তারা কোরবানী দেবেই ।
কারণ, তাদের এখনো সামর্থ আছে । তাছাড়া সামাজিক মর্যাদাও একটা ব্যাপার, যা কখনো কখনো ধর্মীয় নির্দেশনার চেয়েও বড় হয়ে উঠে ।
আর যাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে, তাদের কথা আলাদা । তাদের কোরবানীর চেয়ে বরাবরের মতই প্রদর্শনী বেশি হবে ।
আয় তো আয়'ই । বৈধ-অবৈধ্যের কথা আর এই জমানায় কে ভাবে ? যারা এখনো সুযোগ পায়নি, তারাই কেবল সততার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ।
ওসব অনেক দেখেছি !
তাই বলে আমাদের মানবিকতাটা এখনো একেবারে মরে যায়নি । আপনি বাজারের সব চেয়ে দামী, মোটা-তাজা গরু কিনে কিনে কোরবানীর নামে প্রদর্শনী করবেন - ভাল কথা । কিন্তু এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী বড়ই ক্রান্তিকাল পার করছে ।
করোনার সাথে যোগ হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা । অসংখ্য বেকার মানুষের সাথে যোগ হচ্ছে সহায়-সম্বলহীন কৃষক । পারলে এদের জন্যেও কিছু করুণ । এ জন্য কোরবানীর ব্যয় কিছু কমানো দরকার।
তবে দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, হাটে যেসব কোরবানীর গরু উঠছে, সেগুলোও কৃষকদের দীর্ঘ এক বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল । এসব গরুর পিছনে একজন কৃষক খরচ করেছে অনেক টাকা এবং শ্রম ।
তাই, এই দুঃসময়ে সামর্থবান খুব বেশি মানুষ যদি কোরবানীর পশু কেনা থেকে বিরত থাকে, তাহলে কৃষক ও ব্যাপারীরা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে ।
এটাও একটা ভাবনার বিষয় ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪২