somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

তারপর কি হবে

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মা বলতেন, ছেলেদের শ্লোগান যখন শোনা যেত স্কুলের দেয়ালের বাইরে, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই । মেয়েরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পরত। তারপর দেয়াল টপকে রাস্তায় মিছিলে সামিল।
প্রধান শিক্ষক খুবই কঠিন মানুষ। আসাদুজ্জামান নূরের মা ছিলেন প্রধান শিক্ষক। ভয় পেতেন প্রচণ্ড কিন্তু মিছিলের শব্দ শোনলে সে সব ভয় ভেঙ্গে রক্তে টগবগে জোয়ার আসত। সারা দিন পথে পথে রাস্ট্র ভাষা বাংলা চাওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসলে বাবার তিরস্কার পড়তে হবে না। স্কুলে গিয়ে ক্লাস না করে পথে পথে ঘুরে বেড়ানো। আসাদুজ্জামান নূরের বাবা, মাদের পাটের গোদাম ঘরে লুকিয়ে আছেন পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন। কারণ আন্দোলনের সামনের সারির মানুষ তিনি।
ক্লাস নাইনে পড়া মা লুকিয়ে থাকা মামার সাথে কথা বলে, বাবার তিরস্কার ভুলে যেতেন। পরের দিন আবারও মিছিলে মিছিলে শ্লোগানে মুখরিত করতেন রাজপথ।
কাল ভিডিওতে ছেলেটার কথা; সালাম বরকত রফিক বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন কি দারুণ কথা! ভিডিওটি দেখতে গিয়ে দুচোখে ধারা নেমেছে। শিহরন জেগেছে শরীর জুড়ে। মায়ের বলা এই গল্পটাই ফিরে এলো মনে অনেকদিন পরে।

প্রার্থক্য হচ্ছে, মায়ের সময় তারা বিদেশি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। আজ স্বাধীন দেশে নিয়ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্কুলের ছাত্ররা পথে নেমেছে।
তারা খুব ভালো করে শিখিয়ে দিচ্ছে কি ভাবে সঠিক কাগজ পত্র থাকলে গাড়ি চলবে। নয় তো পথে নামতে পারবে না গাড়ি। এটা খুব জরুরী একটা বিষয়। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই নিয়ম মেনে চলতে হবে প্রতিটি মানুষকে।
অথচ উপায়হীন মানুষ লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেস ছাড়া গাড়িতে চড়তে বাধ্য হচ্ছেন। অন্য দিকে ক্ষমতায় থাকা মানুষ কাগজপত্রের নিয়ম না মানা ড্রাইভারের হাতে তুলে দিয়েছেন গাড়ি। আরামে চলছেন কিন্তু তিনি নিজেও যে নিরাপদ নন। এই ধারনাটাই তাদের নাই।
বাচ্চারা খুব ভালো একটা কাজ করছে। নিয়মটা নিয়মের মতন পালন করা শিখিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু কথা হচ্ছে ওরা কতদিন এভাবে পরীক্ষা করবে? ওরা ফিরে গেলে উশৃঙ্খল ড্রাইভার হাসবে ব্যাঙ্গ করে ওদের। মন্ত্রী, পুলিশ, আমলা কামলা যাত্রী পরিবহণ বিনা কাগজে রাস্তায় বেনিয়মে আবার চলবে। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে চেক করার জন্য উৎকোচ আরো বেশী পাবে।
গাড়ির লাইসেন্স ফিটনেসের অফিস, যাদের কাজ হলো বছরের একটা সময়ে নোটিশ দিয়ে জানানো, গাড়ি ফিটনেস করা বা লাইসেন্স রিনিউ করার বিষয়ে। তারা সে কাজ গুলো করেন না। পুরানো স্টিকারের গাড়ি ধরে পুলিশ জরিমানা করে না। পথে চলা বন্ধ করে না।
সব কিছুই ব্যাক্তিগত লেন দেনের মাধ্যমে সুরাহা হয়ে যায় আর সাধারন মানুষের বিপদ নিয়ে পথে চলতে হয়।
লাইসেন্স এবং ফিটনেস অফিসের অফিসার অনেকের ব্যাংক ব্যালেন্স এখন উপরের দিকে উঠতে থাকবে।
থোর বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোর একই নিয়মে চলতে থাকবে। যদি না সত্যি কোন ভালো পদেক্ষেপ এই সময় সরকারের পক্ষ থেকে না নেয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×