দেশ নিয়ে খুব গর্ব করতে ইচছা করে। সব কিছু ভালো। খুব উন্নত হচ্ছে। বিদেশি মানুষদের কাছে আনন্দ নিয়ে বলতে ইচ্ছা করে এটা আমার দেশের পণ্য, দেখ কি ভালো।
কিন্তু যখন অন্য দেশের পণ্যের পাশাপাশি রাখি আমার দেশের পণ্য তখন চুরামির নোংরা পার্থক্য দেখে খুব খারাপ লাগে।
শহরে আগে একটা বাঙালির গ্রোসারী দোকান ছিল। অথচ এখন কত বাংলা গ্রোসারী।
দেশি মানুষরা দেশি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। অথচ একই পণ্যের দাম, অন্য দেশের গ্রোসারী বা সুপার স্টোর থেকেও দাম বেশি এই সব দেশি ভাইদের দোকানে।
দেশি ফজলি আম বলে, ম্যাক্সিকান আম অনেক দামে বিক্রি হয় । যখন একই রকম আম চাইনিজ দোকানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়।
ইলিশ বাঙালিদের সব চেয়ে প্রিয় মাছ মনে হয়। ইলিশের দাম দিনে দিনে হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। দোকানে কেটে আনলে কয়েক টুকরা দোকানেই থেকে যায়।
মোরগ কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে পাওয়া যায়, সব টুকরা নাই। রান থান টুকরো গুলো এমন ছোট করে কেটে ফেলে, না করে দেওয়ার পরও তখন বুঝার উপায় থাকে না ওখান থেকে কিছু মেরে দিয়েছে কাটতে কাটতে।
মিষ্টি কিনতে গিয়ে পেলাম তারিখ পেরিয়ে গেছে, তাও দোকানে সাজিয়ে রাখা। বিরিয়ানির প্যাকেটে বাড়তি দেওয়া হয় তেলাপোকা।
ইলিশের পেটের ভিতর যত্ন করে দেয়া থাকে শিশার টুকরা। দু তিনবার দোকানে নিয়ে দেখালাম। ওরা কোন উত্তর দিতে পারল না তবে আরো অনেকের অভিযোগ শুনেছি ইলিশের পেটে ভরে দেয়া কিছু পেয়েছেন। দোকানীর কিছু করার নাই এই অবস্থায়, এটা দেশি রফ্তানী কারীদের ওজন কম দেয়ার ফন্দি। দোকানী রফ্তানী কারীদের জানাতে পারে মানুষের অভিযোগ। কিন্তু নিজের ব্যবসার খাতিরে তারা চুপ করে থাকে, হয়ত।
চিংড়িতে ঢুকিয়ে দেয়া হয় পানি জাতিয় কিছু। আর ব্লগ বা কাটা মাছের উপরটা সুন্দর করে বড় মাছ বা বড় টুকরা দিয়ে সাজানো। নিচে ভাঙ্গা ছোট টুকরা। মাঝখানে অনেকটা করে বরফ দিয়ে ভরাট করা। চারশ গ্রামের দুইশ গ্রামই থাকে বরফ।
এই সব রফতানিকারী এখন বাংলাদোকান ছাড়িয়ে অন্য দোকানেও পৌঁছে গেছে। একটা চাইনিজ মাছের প্যাকেট আর একটা বাংলাদেশের মাছের প্যাকেট কিনে এনে পেলাম বিশাল পার্থক্য উপর দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার। চাইনিজরা যত নকল নিজের দেশেই করে বিদেশে নকল পাঠায় না। সব মাছ এক মাপের উপরে নিচে। বরফ দেয়া নেই বরং ফ্রোজেন করা আছে। আর বাংলাদেশের মাঝের ভিতরটা পুরাই ফোকলা,
উপরে সুন্দর সাইজের, সুন্দর সাজানো কয়েকটা বড় মাছ দেখেই কিনতে ইচছা করবে।
চাইনিজ এই মাছগুলো সব সমান । ছোট বড় পার্থক্য বা লুকানোর কোন চেষ্টা নেই ফাঁকি দেয়ার জন্য।
দুধের ভিতর পানি মিশানোর যে অংক শিখানো হয় স্কুলে, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত বাংলাদেশিরা সব খানেই চুরি করার চেষ্টা করে যেমন পারে।
দোকানিরা ওজনে কম দেয় শুনেছি ছোটবেলা থেকে। কিন্তু বড় বড় রফ্তানীকারীরাও যে এমন ওজন দেয়ায় চুরি করে তা দেখে শুনে, বাদ দিয়েছি বাংলা দোকান থেকে বাংলাদেশের পণ্য কেনা।
"I purchased Gordie Light Wash, 38 waist 34 leg, second pair, both pairs I ordered online from you, so weird first pair made in China, fit great, newest pair made in Bangeldesh so weird you suddenly made low ride, hip huggers for men, when I compared the pants, new ones from crotch to waist line is easily over a inch shorter. same jean, same style, same sizes two different fits and construction"
অন লাইনে কাপড়ের রিভিউ পড়ে যখন জানতে হয়, বিদেশিরাও বলছে সঠিক মাপ নাই কাপড়ের। তখন ধূলায় মিশে যায় আনন্দ। গার্মেন্টস ফ্যাক্টিরির বিশ্বের এক নম্বরে আসার ফাঁকিবাজি চেষ্টা জেনে, লজ্জা পাই। নিশ্চয় মালিকই মাপ ঠিক করে সেলাই করার অনুমতি দেয়। নয় তো এক ইঞ্চি কম করে সেলাই করতে পারে না কর্মি। চুরি করে অল্প একটু লাভের আশায় পুরো দেশের বদনাম করে একটুও লজ্জা পায় না বড়লোকেরা।
কিছুদিন আগে জানলাম ফলস লাগানোর নাম করে কাতান শাড়ি বদল করে দিয়ে দেয়, মিরপুর পল্লীতে। গহনা ঠিক করতে দিলে আসল রেখে সেরকম অন্যটা ধরিয়ে দেয় এটা আগেই শুনেছি।
সব কিছুতেই এত চুরি করে একটা দেশের উন্নতি হবে কি ভাবে। সব কিছুর প্রথম পাঠ , নৈতিকতায় গলদ যেখানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৫