somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

নাম সমাচার

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশী কারো সাথে প্রথম দেখা হলে বা ইনবক্সে, প্রায় একটা প্রশ্ন আসে, হোয়াট ইজ ইউর গুড নেম? এই প্রশ্ন শুনে হাসব না কি কাঁদব বিদেশিদের তো এমন প্রশ্ন শুনে আক্কেলগুড়ুম হয়। হা করে তাকিয়ে থাকে?
দোষটা অবশ্য প্রশ্নকর্তার নয়, দোষ বাংলা ভাষার। কারন বাংলা ভাষায় এমন প্রশ্ন ছোট বেলা থেকে শুনে অভ্যস্থ সবাই। ভালো নাম কি? আবার এভাবেও বলা হয় আসল নাম কি?
তার মানে যে নামটা বলা হলো সেটা ভালো না আসলও না। একটা ভালো এবং আসল নাম থাকতে হবে।
যারা ভালো ভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন না তারা আবার ইংরেজিতে কথা বলতে আসেন। তাও আবার সরাসরি বাংলার অনুবাদ করে। তাই প্রশ্ন হয়ে যায়, হোয়াট ইজ ইউর গুড নেম। বা রিয়েল নেম। তার মানে প্রশ্নকর্তা সরাসরি অভিযোগ করে বসছেন মিথ্যা নাম বলার। আসল না বলে ।
ইংরেজিতে কোন গুড নেম নাই। নিক নেম যে নামে ডাকা হয় ফ্যামেলি নেম যেটা পারিবারিক নাম। কখনো কারো মিডিল নেম থাকে । সে নামটাও পরিবারের কারো নাম থেকে আসে। গিভেন নেম যে নামটা দেয়া হয়েছে। আসলে এই শব্দটাই যুক্তিযুক্ত। যে নামটা একটি মানুষকে দেয়া হয়েছে সেটা তার নাম। সংক্ষিপ্ত ছোট আকারে নিক নেম বা ডাক নামে অনেককে ডাকা হয়।
বাংলা ভাষায় আমরা কখনো জিজ্ঞেস করি না কি নামে ডাকা হয়। প্রশ্ন হয় ভালো নাম কি?
বাংলাদেশের মানুষের আবার অনেকের চার পাঁচটা শব্দের নাম রাখার প্রবনতা। কোনটা যে প্রথম কোনটা পারিবারিক। কোনটা মিডিল নেম কিছুই বোঝার উপায় নেই। এতগুলো শব্দের বোঝা কেন চাপিয়ে দেয়া হয় বাচ্চাদের উপর।
কারো নাম যদি হয়: সুলতানা বিপাশা জাহান সোহেলী, তনিমা শিখা মল্লিকা প্রভাসি।
রাদাত মাহি মিল্লাত আলম, আবু মুবারক হোসেন টিপু, সরাফত মেহদী তোবারক তৌহিদ।
সবগুলো শব্দ দিয়েই তাকে ডাকা যায়। এখানে বাবা দাদার নামের তেমন প্রভাব বোঝা যায় না। এমন অদ্ভুত শব্দের বোঝা কেন অভিভাবক শিশুর উপর চাপিয়ে দেন বুঝতে পারি না। আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে ফর্ম ফিলাম করতে মাথা গুলিয়ে যায় হিমসিম লাগে এমন নাম নিয়ে। আজকাল আবার পরিবারের পুরুষ সদস্যের প্রথম নামটি পরিবারের স্ত্রী,সন্তান তাদের নামের সাথে লেজুড় জুড়ে দেন। আসলে এই যে প্রথম নামের সাথে শেষ নাম লাগানো এর কোন ধারাবাহিকতা নেই। একটা সময় হয়তো পারিবারিক কার্যকরনের সাথে সম্পর্কিত ছিল শেষ নামটি।
অনেকে হুট করে এক দুটো শব্দ ঝেড়ে ফেলে আকিকা দিয়ে ফেলেন নিজের। কিন্তু সমস্যা হয় যখন আর সব কগজ যেমন বার্থ সাটিফিকেট, স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট, বিয়ের কাবিন নামা এমন সব কাগজে আলাদা নাম হয়। তখন সব কাগজে এক নাম না হওয়ায় অসুবিধায় পরতে হয়। অনেকের ইমিগ্রেশন হয় না শুধু নাম ঠিক না থাকার জন্য।
ফার্স্ট নেম, মিডিল নেম বা ফ্যামেলি নেম আলাদা করতে মাথা চক্কর খায়। সবগুলোই নিক নেম বা ডাক নাম হতে পারে এমন নামের।
এখন আবার নামের বাহার হয়ে যাচ্ছে এমন; ধুষর আকাশ, বিষন্ন বিকাল। রাতের তারা। মায়া মরীচিকা । পুরুষ নারী যে কেউ হতে পারে এমন নামে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×