somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

হ্যাপী নিউ ইয়ার

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মেঘ, কুয়াশার ঘন আস্তরণে ঢাকা দিন, এমনদিন যেন বিষন্নতায় জড়িয়ে ধরে। মন খারাপের কথা না ভেবে যদি সুন্দর করে ভাবি রহস্যময় আধো আলো আঁধারীর খেলা চলছে সামনের দৃশ্য জুড়ে। যেন আগামী তিনশ পয়সট্টি দিনের নানা রকম বৈচিত্রের চিত্র দেখাচ্ছে দিনটি। তাহলে মন খারাপ হয় না বরং রহস্য উন্মোচনের ইচ্ছা জাগে। কৌতুহলি হয়ে জানতে ইচ্ছা করে কি আছে সামনে মেঘ, কুয়াশার গভীরে।
রূপালী পর্দার রহস্যময় ঘেরা টোপ উন্মোচনের ইচ্ছা জাগে। দূরে দূরে সারি সারি গাছের বন, ফাঁকা মাঠের ভিতর ঘরবাড়িগুলো রঙিন আলোর সাজে মনমুগ্ধকর, মায়াবী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কখনো একটা দুটো গাড়ির হেডলাইটের আলো দেখা যায় কুয়াশার আভরণের ভিতর দিয়ে। হঠাৎ কিছু বরফের বলও গড়িয়ে পরে। খানিক সময় সাদা হয়ে যায় জমিন। আবার বৃষ্টির ফোঁটা এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বরফের আস্তরণ। তুমুল বাতাস নেই ধীর শান্ত। বেশ উষ্ণ আবহাওয়া। আর অদ্ভুত ভাবে শীতের মধ্য গগনে এই উষ্ণতা একটি অদ্ভুত আচরণ প্রকৃতির। নতুন বৎসর শুরুর এক সপ্তাহ বেশ উষ্ণতায় কাটবে। গত পঁচাত্তর বছরে এমনটি হয়নি। শীতের সময়ে এতটা উষ্ণতা।
গতকাল বছর শেষের দিন কেটেছে অনেক ব্যস্ততায়। সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা ঘরবাড়ি যেন নতুনের সাথে দেখা হয় সুন্দরের সাথে। সাথে ছিল অনেকরকম খাবার তৈরির আয়োজন যেন ইচ্ছে মতন খাবার দাবার হাতের কাছেই থাকে বছর শুরুর দিনে। কোন কিছুর জন্য যেন আফসোস না হয়। ঘরে তৈরি সুস্বাদু খাবার আর তা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য।
এমনটা হয় তো সবাই ভবে না। নতুন বছর শুরু করার জন্য বন্ধু বা অনেক মানুষের সাথে শ্যাম্প্ইন খোলা হৈ চৈ মাতাল আনন্দে কাটিয়ে মাঝ দুপুর পর্যন্ত ঘুম। এমনটা অনেক করেছি কখনো এ জীবনে। আতশবাজী দেখতে যাওয়া। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পরিবার মিলে হৈ চৈ। বাঙালীদের বিদেশী স্টাইলে নাচাগানা দেখে মজা পেয়েছি অনেক ।
তবে এখন নিজের মতন প্রার্থণায় সুস্থতার কামনা করে ধীর স্থির কিছু কাজ করে কাটাতে চাই বছরের প্রথম দিন । যেন সারা বছর সুন্দর সুস্থির এবং আনন্দের হয় প্রথম দিনের মতন। যেমন ছোট বেলায় শিখে ছিলাম সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। বছরের প্রথম দিনটিও তো সকাল বছরের।
বিশ্ব জুড়ে সবাই ইংরেজি বৎসর ক্যালেন্ডার অনুসরন করে, নিজস্ব বর্ষপুঞ্জি থাকার পরও বিভিন্ন জাতি গুষ্টি। আর্ন্তজাতিক জীবন যাপন এখন আমাদের। তাই এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতেই হয়।
একটা প্রশ্ন জাগে আমার মনে, মাঝ রাতে কেন নতুন বৎসর শুরু হয় ইংরেজি বৎসরের। কেউ সন্ধ্যা বেলায় ঘুমিয়ে থাকে, ঘুমের মাঝে নতুন বৎসর শুরু হয়ে যায়। কেউ মাঝরাত পর্যন্ত জেগে থেকে হৈ চৈ আনন্দ করে সকালে ঘুমিয়ে নতুন বছর শুরু করে।
চন্দ্র বৎসর যে ভাবে শুরু হয়, সন্ধ্যাবেলা চাঁদ উঠার সাথে তাতেও আমাকে তেমন ভালোলাগায় জড়ায় না।
আমার সূর্য বৎসর যা বাঙালিরা উজ্জাপন করে সূর্যজাগার সাথে উঠে নতুন বস্ত্র পরে প্রার্থণা সঙ্গীত গেয়ে ভালো খাবার দাবার খেয়ে মেলায় গিয়ে ঘুরে ফিরে শখের জিনিস কিনে। মিঠাই, মন্ডা খেয়ে। চড়কিতে চড়ে। পাতার বাঁশি, মাটির পুতুল কিনে হালখাতার নতুন খাতা খুলে। বিকেলে নানা খেলার প্রতিযোগীতা। এই অতি সাধারন আনন্দ দিনভর করার মজাটাই বেশি ভালোলাগে।
যদিও সব কিছুতেই ফিউশন মিশে গেছে। নববর্ষের সাধারন উজ্জাপন তেমন নাই আর।
আতশবাজির ঝলকানী বাজে রাতদুপুরে পাশ্চাত্য অনুকরণে।
পাশ্চাত্য নিয়মে খোলা হয় শ্যাম্পেনও। তবে পাশ্চাত্য নিয়মে তাদের মতন শহরের আয়োজনে বিশেষ বিশেষ জায়গায় হয় আতশবাজী গণহারে সারা শহর জুড়ে আতশবাজী হয় না। আর ঘরবাড়ি গুলোও সাউন্ড প্রুফ। শব্দ দুষণে কারো ঘুম ভাঙ্গে না। শিশুরা চমকে উঠে ভয় পায় না। যাদের ইচ্ছা হয় দেখে, আনন্দ করে, যাদের ইচ্ছা হয় না তাদের দেখতে হয় না।
সময়ের হিসাবে আমি এখনও বৎসর শুরুর এক তারিখে আছি থাকব আরো অনেক ঘন্টা। অনেকে হয় তো এই সময়ে দ্বিতীয় দিনে ঢুকে পরছেন। তবে এটা আমার বৎসর শুরুর প্রথম তারিখের প্রথম পোষ্ট।
মানুষের জীবন সুন্দর হোক শুভেচ্ছা বন্ধুদের।


সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×