জন্ম জন্মান্তরে থাকিবা এই অন্তরে।
কি বা দোষে দয়াল গুরু গো, হারায়ে খুঁজি তোমারে
খালিদ হাসান মিলু শিল্পী
গীতিকার রোকসানা লেইস
সুর বেবী নাজনীন
খালিদ হাসান মিলু হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন। আজকের সময়ে অনেকেই উনার নাম শুনেননি। কিন্তু উনি অনেক জনপ্রিয় একজন শিল্পী ছিলেন। বাংলা আধুনিক গান গান গেয়ে শ্রোতার মনে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন।
কিন্তু অকাল মৃত্যু হয়েছিল উনার ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ পক্ষাঘাতে ভুগে মারা যান।
আগে আরেকটি গান দিয়েছিলাম।
এ দুটো গান একটি ক্যাসেটে তখন প্রকাশ পায় সময়টা ছিল ১৯৯৫ সাল। গানগুলো একজনের মাধ্যমে প্রকাশকের কাছে পৌঁছে ছিল। তিনি নিজের গান নিয়ে যাচ্ছিলেন দেয়ার জন্য প্রকাশকের কাছে যখন আমাকে বললেন। তখন হঠাৎ করে আমি আমার লেখা দুটো গান ধরিয়ে দিয়েছিলাম উনার হাতে। উনি নিতে চাননি প্রথমে। আমি এটুকু জোড় দিয়েছিলাম, উনারা পছন্দ না করলে গাওয়াবেন না। দিলে তো কোন সমস্যা নাই। তিনি তারপর পৌঁছে দিয়েছিলেন।
আমার কখনো শিল্পী বা সুরকার বা প্রকাশকের সাথে দেখা হয়নি। কখনো অনুরোধও করিনি গানগুলো গাওয়ানো বা সুর করার জন্য।
জানতাম না প্রচার হবে কি না। তবে এক সময় জানলাম আমার গানগুলো প্রচার পেয়েছে।
বেবী নাজনীনের সাথে পরবর্তিতে বেশ ভালো যোগাযোগ হয়েছিল।
ও বলতো, তুমি তো ভালো গান লিখো দিও আরো গান। সুর করব গান গাবো। ওর খুব মিষ্টি একটা গলা ছিল। আর ওর প্রথম ক্যাসেটের গানগুলো তো সারাদিন জপমালা হয়েছিল আমার কাছে, কত যে শুনতাম।
একজন শিল্পী গান করবে কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাঁচে কোথায় যে হারিয়ে গেলো মেয়েটা।
সময়গুলো কেমন লাগামহীন ঘোড়ার মতন ছুটে যেতে লাগল। হঠাৎ শুনলাম বেবী নাজনীনের সংসার থাকছে না। উল্টাপাল্টা সময় এমন সময়ে তার সাথে আর গান দেয়া নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়নি।
আমিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ থেকে দূরে অনেক দূরে । সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে।
যখন নিজস্ব পরিচয়ে লেখক সত্তায় কবিতা গল্প গানের ডালি ছড়িয়ে পপরিচিত হয়ে উঠছিলাম। সাত সমুদ্রের বাতাসে তখন সব দূরে সরে যেতে থাকল। জীবন যাপনের অন্যরকম প্রয়াস আর যোগাযোগের কঠিন অবস্থায় সম্পর্কগুলো ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে গেলো।
তবে মনের মধ্যে নিজের ভাবনা আরো বেশি সবল হলো। নিজের মতন লেখ চলতে থাকল।
কারো সাথে যোগাযোগ করে কখনো বললাম না। গাইবে আমার লেখা।
থাক কথা ইতিহাস। শুনুন গান
||জন্ম জন্মান্তরে]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৩