এত মোটিভেশনাল বক্তব্য এখন সবাই দিচ্ছে কোনটা রেখে কোনটা শুনি আর কোনটা যে ফলো করি ভাবলে হিসশিম খাই। মাঝে মাঝে দেখি একটা ফলো করছি আবার আরেকটাও ফলো করতে গিয়ে দুটোতে কেমন মারদাঙ্গা ভাব, দা কুড়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সামনা সামনি।
তেমনি কোন কোন খাবার মুখে তুলতে গিয়ে থেমে যাই । এটা কি খাওয়া ভালো নাকি এটাতে সমস্যা হবে। চির চেনা খাওয়া দাওয়া কেমন অচেনা হয়ে যায়।
ধনিয়া পাতা কামরাঙ্গা এভাকোডা, কফি, চা, মাছ, মাংস বা ডিম কি যে সমস্যা কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। একজন বলছে ডিম, মাছ মাংস খাওয়া ভালো চাল, গম আটা খাওয়ার চেয়ে। আবার কেউ বলছে প্রেটিন মানেই বিষ। যত পারো এভয়ড করো। শাক পাতা ঘাস খাওয়া ভালো।
জগাখিচুড়ি লেগে যায় মাথার ভিতর ভীষণ জট পাকায় ভালো মন্দের হিসাব নিকাশ।
ঘুরে ফিরে আবার শুনি খাওয়ার আগে কিছুটা সময় ব্যায় করে মোটিভেশন বক্তব্যগুলো। এখন নতুন করে আবার নতুন খাবার কই পাই তাই খিদার জ্বালায়। তারপর ভয়ে ভয়ে খেয়ে ফেলি কখনো কখনো নিষিদ্ধ খাবার উপায় নাই তাই।
তারপর আবার ভয়ে ভয়ে থাকি, কেমন হলো এটা যে খেলাম। ভুলভাল করে ভুলে গিয়ে কি থেকে কি খেলাম ভেবে হয়রান লাগে। আবারও স্পিচ শুনি কোনটা ভালো কোনটা মন্দ। ভুলভাল করে ভুলে গিয়ে কি থেকে কি খেলাম ভেবে হয়রান লাগে।
গবেষনাগার থেকে বের হয়েছে বিশাল গবেষনা পত্র সেগুলো প্রচার হচ্ছে জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দিতে। কেউ দিচ্ছে বিজ্ঞপন। কেউ দিচ্ছে ইউটিউব বক্তব্য। টিকটক, সর্ট ভিডিও কেউ বা আদি অকৃত্তিম লেখার মাধ্যমে। কতরকম প্রচার ব্যবস্থা। সে লেখা বা ভিডিও শুনতে শুনতে জীবনের দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পরে তারা বলছেন, তাদের লিঙ্ক সাবস্ক্রাইব করতে, শেষটুকু জানতে নয়তো অন্য জায়গায় যেতে হবে মূল বক্তব্য যার আসায় আছেন তা শুনতে। ওহ মাই গড, জিসাস কি যন্ত্রনা বাকিটা দেখার বা পড়ার জন্য ক্লিক ক্লিক ক্লিক চলতেই থাকে দীর্ঘ যাত্রা। আর শেষে সমাধান কিছু নেই। তাদের বানানো ধনন্তরী ঔষধ কিনতে হবে মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য । তাইলে কি হলো সময় গেলো এখন টাকাও যাবে। ধনন্তরী ঔষধে কাজ কি হবে। সেটা জানার জন্য রিভিউতে চোখ রাখা। সেটা যে তাদের নিজেদের প্রচার না, কি ভাবে বুঝবেন। উপায় নাই। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। হয় টাকা পাঠিয়ে দিবেন তাদের পে পলে নয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে যাবেন অবশেষে। সমাধান হলো না কিছু আগ্রহের।
আপনি কি ভেবেছেন এত সহজে গোপন কথা বলে দিবে আপনাকে। একটা থেকে অন্যটায় নিয়ে যাবে। আপনি ক্লিকাইতে থাকবেন তাদের ব্যাংকে টাকা ঢুকতে থাকবে।
এটা না হয় এক ধরনের ব্যবস্থা টাকা আয়ের কিন্তু অন্যের ঘরে লিঙ্ক ছেড়ে দিয়ে তা থেকে তার কম্পিউটার ফোন নষ্ট করে দেয়া সেটা আবার কেমন ব্যবস্থা। এক লিঙ্ক ক্লিক করার পরে রাশি রাশি ভাড়া ভাড়া ন্যাংটো মানুষের ছবি ছড়িয়ে পরতে শুরু করে জনে জনে।
যারা পাঠাল তাদের কিছুই হলো না। আপনাকে লোকে ভাবছে কি জঘন্যরে বাবা!! এসব ছবি পাঠাচ্ছে। কাণ্ড জ্ঞান হারিয়েছে বুঝি।
গবেষনা একজন করছেন, এক জিনিসের ভালো দিকটা অন্যজন করছেন তার খারাপটা। গবেষণািকিন্তু দুটোই। সঠিক বাছাই করার কাজ আপনার।
মানুষের জানার আগ্রহ আছে। জানারও শেষ নাই। নিজেকে জানতে তাই আমি কার মতন। আমার এ বছর কি কি হবে এসব লিঙ্কগুলোতেও সমানে ক্লিক পরতে থাকে। যতই তা থেকে সকল তথ্য অন্যের ঘরে চলে যাক না কেন অত গভীরে ভাবার সময় কই নিজেকে জানার চেষ্টাই বড়।
এত জানার ভিতর আরো লক্ষ করি।
ঘুরে ফিরে সব চলে যাচ্ছে প্রাচের ভালোলাগা পাশ্চাত্যর দিকে আর পশ্চাত্যে ভালোলাগা প্রাচের দিকে।
ফাস্টফুড, আধুনিক স্মার্ট খোলামেলা সম্পর্ক জীবন যখন ডাকছে প্রাচের মানুষকে।
পশ্চাত্যে তখন ঝুঁকছে, ইয়োগা বা যোগ ব্যায়াম, সিদ্ধি খাওয়ার বিশুদ্ধতা এবং ঝালখাওয়া সাথে কালো সাদা ছেড়ে জাঁকজমক রঙের পোষাক সাজসজ্জার দিকে এক জীবনের সঙ্গী নিয়ে থাকার ইচ্ছায়।
এক সময় ছিলেন শুধু ডেল কার্নেগী একজন। অথচ এখন উনার একই বক্তব্য হাজারো নয় কোটি মানুষ দিচ্ছেন। নানা রকম ভাবে। মোটিভেশন কতটা হলো আপনার আপনিই জানেন।
আরও মজার বিষয় শুধু এক ভাষায় না, নানা ভাবে না ভাষায় দেখতে শুনতে পাবেন একই বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১২