somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

থোর বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোর

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এত মোটিভেশনাল বক্তব্য এখন সবাই দিচ্ছে কোনটা রেখে কোনটা শুনি আর কোনটা যে ফলো করি ভাবলে হিসশিম খাই। মাঝে মাঝে দেখি একটা ফলো করছি আবার আরেকটাও ফলো করতে গিয়ে দুটোতে কেমন মারদাঙ্গা ভাব, দা কুড়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সামনা সামনি।
তেমনি কোন কোন খাবার মুখে তুলতে গিয়ে থেমে যাই । এটা কি খাওয়া ভালো নাকি এটাতে সমস্যা হবে। চির চেনা খাওয়া দাওয়া কেমন অচেনা হয়ে যায়।
ধনিয়া পাতা কামরাঙ্গা এভাকোডা, কফি, চা, মাছ, মাংস বা ডিম কি যে সমস্যা কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। একজন বলছে ডিম, মাছ মাংস খাওয়া ভালো চাল, গম আটা খাওয়ার চেয়ে। আবার কেউ বলছে প্রেটিন মানেই বিষ। যত পারো এভয়ড করো। শাক পাতা ঘাস খাওয়া ভালো।
জগাখিচুড়ি লেগে যায় মাথার ভিতর ভীষণ জট পাকায় ভালো মন্দের হিসাব নিকাশ।
ঘুরে ফিরে আবার শুনি খাওয়ার আগে কিছুটা সময় ব্যায় করে মোটিভেশন বক্তব্যগুলো। এখন নতুন করে আবার নতুন খাবার কই পাই তাই খিদার জ্বালায়। তারপর ভয়ে ভয়ে খেয়ে ফেলি কখনো কখনো নিষিদ্ধ খাবার উপায় নাই তাই।
তারপর আবার ভয়ে ভয়ে থাকি, কেমন হলো এটা যে খেলাম। ভুলভাল করে ভুলে গিয়ে কি থেকে কি খেলাম ভেবে হয়রান লাগে। আবারও স্পিচ শুনি কোনটা ভালো কোনটা মন্দ। ভুলভাল করে ভুলে গিয়ে কি থেকে কি খেলাম ভেবে হয়রান লাগে।
গবেষনাগার থেকে বের হয়েছে বিশাল গবেষনা পত্র সেগুলো প্রচার হচ্ছে জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দিতে। কেউ দিচ্ছে বিজ্ঞপন। কেউ দিচ্ছে ইউটিউব বক্তব্য। টিকটক, সর্ট ভিডিও কেউ বা আদি অকৃত্তিম লেখার মাধ্যমে। কতরকম প্রচার ব্যবস্থা। সে লেখা বা ভিডিও শুনতে শুনতে জীবনের দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পরে তারা বলছেন, তাদের লিঙ্ক সাবস্ক্রাইব করতে, শেষটুকু জানতে নয়তো অন্য জায়গায় যেতে হবে মূল বক্তব্য যার আসায় আছেন তা শুনতে। ওহ মাই গড, জিসাস কি যন্ত্রনা বাকিটা দেখার বা পড়ার জন্য ক্লিক ক্লিক ক্লিক চলতেই থাকে দীর্ঘ যাত্রা। আর শেষে সমাধান কিছু নেই। তাদের বানানো ধনন্তরী ঔষধ কিনতে হবে মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য । তাইলে কি হলো সময় গেলো এখন টাকাও যাবে। ধনন্তরী ঔষধে কাজ কি হবে। সেটা জানার জন্য রিভিউতে চোখ রাখা। সেটা যে তাদের নিজেদের প্রচার না, কি ভাবে বুঝবেন। উপায় নাই। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। হয় টাকা পাঠিয়ে দিবেন তাদের পে পলে নয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে যাবেন অবশেষে। সমাধান হলো না কিছু আগ্রহের।
আপনি কি ভেবেছেন এত সহজে গোপন কথা বলে দিবে আপনাকে। একটা থেকে অন্যটায় নিয়ে যাবে। আপনি ক্লিকাইতে থাকবেন তাদের ব্যাংকে টাকা ঢুকতে থাকবে।
এটা না হয় এক ধরনের ব্যবস্থা টাকা আয়ের কিন্তু অন্যের ঘরে লিঙ্ক ছেড়ে দিয়ে তা থেকে তার কম্পিউটার ফোন নষ্ট করে দেয়া সেটা আবার কেমন ব্যবস্থা। এক লিঙ্ক ক্লিক করার পরে রাশি রাশি ভাড়া ভাড়া ন্যাংটো মানুষের ছবি ছড়িয়ে পরতে শুরু করে জনে জনে।
যারা পাঠাল তাদের কিছুই হলো না। আপনাকে লোকে ভাবছে কি জঘন্যরে বাবা!! এসব ছবি পাঠাচ্ছে। কাণ্ড জ্ঞান হারিয়েছে বুঝি।
গবেষনা একজন করছেন, এক জিনিসের ভালো দিকটা অন্যজন করছেন তার খারাপটা। গবেষণািকিন্তু দুটোই। সঠিক বাছাই করার কাজ আপনার।
মানুষের জানার আগ্রহ আছে। জানারও শেষ নাই। নিজেকে জানতে তাই আমি কার মতন। আমার এ বছর কি কি হবে এসব লিঙ্কগুলোতেও সমানে ক্লিক পরতে থাকে। যতই তা থেকে সকল তথ্য অন্যের ঘরে চলে যাক না কেন অত গভীরে ভাবার সময় কই নিজেকে জানার চেষ্টাই বড়।
এত জানার ভিতর আরো লক্ষ করি।
ঘুরে ফিরে সব চলে যাচ্ছে প্রাচের ভালোলাগা পাশ্চাত্যর দিকে আর পশ্চাত্যে ভালোলাগা প্রাচের দিকে।
ফাস্টফুড, আধুনিক স্মার্ট খোলামেলা সম্পর্ক জীবন যখন ডাকছে প্রাচের মানুষকে।
পশ্চাত্যে তখন ঝুঁকছে, ইয়োগা বা যোগ ব্যায়াম, সিদ্ধি খাওয়ার বিশুদ্ধতা এবং ঝালখাওয়া সাথে কালো সাদা ছেড়ে জাঁকজমক রঙের পোষাক সাজসজ্জার দিকে এক জীবনের সঙ্গী নিয়ে থাকার ইচ্ছায়।
এক সময় ছিলেন শুধু ডেল কার্নেগী একজন। অথচ এখন উনার একই বক্তব্য হাজারো নয় কোটি মানুষ দিচ্ছেন। নানা রকম ভাবে। মোটিভেশন কতটা হলো আপনার আপনিই জানেন।
আরও মজার বিষয় শুধু এক ভাষায় না, নানা ভাবে না ভাষায় দেখতে শুনতে পাবেন একই বিষয়।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১২
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×