somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

আকাশ দেখি

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আকাশের দিকে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়। কি বিশাল একটা ব্যাপার। যতটা দেখা যায় সে পর্যন্ত কতটা বিস্তৃত। যতটুকু সীমারেখা নিজের ঘরের তারচেয়ে কত বিশাল এই আকাশ, যার সবটাই উপভোগ করা যায় নিজের মতন। কোন দেশের সীমারেখায় তার ভাগ করা নেই। দিগন্ত পর্যন্ত কতদূর চোখ যায় । উপরে সূর্য, চাঁদ, গ্রহ, নক্ষত্র যেখানে সাজানো কতদূর পর্যন্ত চোখের দৃষ্টি যায় ততটাই নিজের মনে হয়।
মাঝে মাঝেই আকাশ দেখি। ঝকঝকে নীল আকাশ এক বিন্দু মেঘ নেই কোথাও । রোদের আলোয় চকমক করে। আবার মেঘ ভাসা আকাশ তাও ভালোলাগে।
আর সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে সূর্যদয়, সূর্যাস্তের সময়। কত রকমের রঙে সেজে উঠে। প্রকৃতির আঁকা এই ক্যানভাসগুলো প্রতিদিন হয় প্রতিদিন ভিন্ন রূপ, ভিন্ন বৈচিত্র এই ছবির।
শুধু কি তাই যখন মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। ঘন মেঘে ঢাকা আকাশ, আঁধার কালো চারপাশে তার রূপও কি কম কিছু।
আমি তো মুগ্ধ হয়ে দেখি ।
আজ সূর্য ডোবার সময়ের কিছু ছবি শেয়ার করলাম। যে ছবি আমি তুলেছি সেই সময়টা ভালোবেসে। হয় তো খুব সুন্দর কিছু হয়নি। আর আমি এও দেখেছি, যতই ছবিতে ধারন করি। প্রকৃতির আসল রূপ কিছুতেই ক্যামেরায় সঠিক ভাবে ধরা দেয় না।
চোখে যেমন দেখা যায়। অনেক সময় চলার পথে গাড়ি চালানোর সময় ছবি তুলেছি। খুব রিস্কি কাজ এই ভাবে ছবি তোলা। কিন্তু অনেক সময় অসাধারন যে রূপটা আমার চোখে পরে হাইওয়েতে চলতে গিয়ে সেটা আর কোথাও অন্য কোন জায়গা থেকে পাওয়া যাবে না। তাই অনেক সময় মোবাইল হতে নিয়ে একটা ক্লিক করে ফেলি। যদি পুলিশের চোখে ধরা পরি তবে বিশাল অঙ্কের ফাইন দিয়ে দিবে। এই ভয় নিয়েও অনেক সময় ছবি তুলে ফেলি। এই কাজটা আর করব না ভাবছি।
এই ছবিগুলো বেশ কিছুদিন ভিন্ন সময়ে তুলেছি। আমি অবাক হয়ে যাই এখনের মোবাইল ফোনের ক্ষমতা দেখে । কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে এইটুকুন ক্যামেরার লেন্স।
প্রথম ছবিটা একটা ধাঁধাঁ। দেখি কে বলতে পারেন এর ভিতর আকাশে কি দেখা যাচ্ছে?

এই পূর্ণিমার সন্ধ্যায় একদিকে পূব আকাশে চাঁদ উঠছিল অন্যপাশে পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবছে । যা
দেখে মনে হয় রবির কবিতা,
সন্ধ্যা ও প্রভাত
"এখানে নামল সন্ধ্যা। সূর্যদেব, কোন্‌ দেশে, কোন্‌ সমুদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল।
অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা, বাসরঘরের দ্বারের কাছে অবগুণ্ঠিতা নববধূর মতো; কোন্‌খানে ফুটল ভোরবেলাকার কনকচাঁপা।
জাগল কে। নিবিয়ে দিল সন্ধ্যায়-জ্বালানো দীপ, ফেলে দিল রাত্রে-গাঁথা সেঁউতিফুলের মালা।
এখানে একে একে দরজায় আগল পড়ল, সেখানে জানলা গেল খুলে। এখানে নৌকো ঘাটে বাঁধা, মাঝি ঘুমিয়ে; সেখানে পালে লেগেছে হাওয়া।
ওরা পান্থশালা থেকে বেরিয়ে পড়েছে, পুবের দিকে মুখ করে চলেছে; ওদের কপালে লেগেছে সকালের আলো, ওদের পারানির কড়ি এখনো ফুরোয় নি; ওদের জন্যে পথের ধারের জানলায় জানলায় কালো চোখের করুণ কামনা অনিমেষ চেয়ে আছে; রাস্তা ওদের সামনে নিমন্ত্রণের রাঙা চিঠি খুলে ধরলে, বললে, 'তোমাদের জন্যে সব প্রস্তুত।'
ওদের হৃৎপিণ্ডের রক্তের তালে তালে জয়ভেরী বেজে উঠল।
এখানে সবাই ধূসর আলোয় দিনের শেষ খেয়া পার হল।"







এই ছবিটায় যে ঝকঝকে উজ্জ্বল আলো দেখা যাচ্ছে এই তারাটির, নাম কার কার জানা?



সূর্যটা উইণ্ডমিলের আড়ালে লুকিয়ে আছে।


উইণ্ডমিলের আড়ালের সূর্যের লুকিয়ে থাকার সময়ে ছায়া পড়েছে জলে সেটাও অন্য রকম হয়ে আছে।



লাল হয়ে যাওয়া আকাশের ছবিটা গাড়ি চালাতে চালাতে তোলা। আর সূর্যটা বিশাল গোল থালা হয়ে যে রঙের গোলা ঢেলে দিয়েছে রাস্তা জুড়ে এমন দৃশ্য দেখে কি স্থির থাকা যায়, একটা ক্লিক না দিয়ে। দিয়েছিলাম বলেই তো এই অপূর্ব লাল সোনালি রঙের ছড়াছাড়ি মাখামাখি রাস্তার উপর এমন ছবি আপনাদেরও দেখাতে পারলাম।







সূর্য যখন পৃথিবীর অন্য প্রান্তে চলে যায় তখন আকাশটা নানা রঙে সেজে উঠে।
রোদের কারুকাজ মেঘের চূড়ায়।




সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×