শাহবাগ থেকে আমাদের আলটিমেটাম- ২৬ মার্চের মধ্যে বাংলার নাৎসি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করার। অথচ আজ ২৪ তারিখে পৌঁছে গেছি আমরা। আজ দিবাগত হয়ে যে রাত আসবে সেই রাত আমার আমাদের আত্মাকে গ্রাস কর। কালো আর কালো, আরও ঘন কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত হোক জনপদ। আরও গাঢ় অন্ধাকারে পতিত হোক এই বাংলা। তাও আবার ঘুঁরে দাঁড়াক সেই ভয়াল ২৫ মার্চের কথা মনে তুলে আমার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ১৮ কোটি মানুষ।
একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জনরায়ে নির্বাচিত একটি সরকার এখন জনতার দাবীকেই আমলে নিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে দেয়া আলটিমেটামের বিষয়ে সরকারের উল্লেখযোগ্য কোন তৎপরতাই আমাদের সামনে হাজির করতে পারেনি প্রশাসনিক কাঠামো। তাই ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবীতে আমরা আন্দোলনকারীরা আজ ২৪ মার্চ শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে একত্রিত হবো। আর অবশ্যই বিকেল ৫টার মধ্যে হাজির হয়ে যান আপনিও স্ববান্ধব। আর সন্ধ্যা ৬টায় আমরা মশাল মিছিল নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে কান ফাঁটিয়ে দেব সব পাক কাকের, দালালের আর রাষ্ট্রযন্ত্রে বসে থাকা সব উজবুক নেতার। যারা আমাদের-তরুণদের, আমাদের এই জনতার এই সময়ের এই দাবীকে গ্রাহ্য করছে না আমলে নিচ্ছে না।
যদি সরকার জামাত শিবিরের ৪ লাখ বাস্টার্ডের ভয়ে ভীত হয়ে থাকে তবে আসুন আমরা একই সঙ্গে আওয়াজ দেই আমরা আপামর বাঙালি এক দাবীতে চিৎকার করছি। বলুন আমাদের কজনকে শহীদ হতে হবে? বলুন আমাদের কজনকে নিজের কলজেটাকে খাবলে হাতের মুঠোয় পুরে আপনাদের-উজবুকদের সামনে মেলে ধরতে হবে? আমরা একাট্টা হয়ে তা দিতে প্রস্তুত। তাও আমার ৩০ লাখ শহীদের রক্তকে আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমকে অপমান করবেন না। তাহলে এই স্রোত এই তারুণ্য এই আগামী আপনাদেরকেও চিনে রাখবে। একটি দিনের জন্যও আপনারা তখন আমাদের তরুণদের আস্থা পাবেন না। তাই এখনই সময় দাঁড়াবার। এই মানুষ-এই স্রোত আওয়াজ তুলুন-চিৎকার করুন- বলুন- এখন সময় দাঁড়াবার-এখন সময় জামাত-শিবির-রাজাকার রুঁখে দেবার। ***জয় বাংলা***

আমাদের আলটিমেটামের বিপরীতে সরকারের এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং নিষ্ক্রিয়তার প্রতিত্তুরে আমরা আজ সন্ধ্যা থেকে মশাল মিছিল যোগ দিচ্ছি। আপনি আসছেন তো?
(((আরও সমন্বয় Click This Link এই লিংকে)))