somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইবিএল কাস্টমার কেয়ার !

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের কোন এক দিন, সকাল ১০:৩০। ঘুম থেকে উঠে নাস্তাও করি নাই, বাসার সবাই গ্রামের বাড়ি যাব ২/৩ দিনের জন্য। কিছু ক্যাশ ছিল, যা খালি বাসায় রাখা নিরাপদ মনে না করে ব্যাংকে জমা করে আসাটাই ভালো মনে করে বেরিয়ে পড়ি ব্যাংক এর পথে। বাসার কাছেই ব্যাংক। ২০১০ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইবিএল এর যে শাখা চট্টগ্রামে ওপেন হয়েছিল সেটাতে (ইচ্ছে করেই স্পেসিফাই করছিনা)।

১০:৪০, ব্যাংক এর দৃশ্য
খুব অল্পসংখ্যক গ্রাহক আছেন টেলারে, বিপরীতে তিনজন কর্মকর্তা। তিনজনই মহিলা। তাদের হাতের ডানপাশে টিভিতে আগের রাতে হওয়া লা-লিগার পুন:প্রচার চলতেছিল। তিনজনের দু'জন তাদের মত করে নিজেরা কি বিষয়ে কথা বলতেছেন, আমি সেদিকে ফোকাস করিনি। আমার হাতের সর্বডানের জনের সামনে ডিপোজিট স্লিপ আর টাকাগুলো রাখতেই উনি বলেন সর্ব বামের কাউন্টারে যেতে। গেলাম এবং মিনিট দুয়েক সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর ম্যাডামের নজরে আসলাম। ডিপোজিট স্লিপ আর টাকাগুলো হাতে নিয়ে আমার দিকে যেন একটু তাকালেন, তারপর ভ্রু কুঁচকে বললেন, "নোটের সংখ্যা লিখেন নাই কেন?"। এটা খুবই সিম্পল জিনিস। ধরেন ওখানে ১০ টাকার নোট ১০০টা ছিল ১০*১০০ মেশিনে গুনে লিখে দিলেই হয়। এত সিম্পল ব্যপার নিয়ে মাথা ঘামাইনা তাই উনার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমি টিভিতে খেলা দেখতেছিলাম।

১০:৫২ (আনুমানিক)
অনেক্ষণ ধরে নোটগুলো একটা একটা করে উনি পরীক্ষা করলেন। আমি খুব কুল ছিলাম, নিজের মত খেলা দেখতেছি যেটা লাইভ দেখি নাই। এবার ম্যাডামের নোট পরীক্ষা করা শেষ হল। এবার দুই ভ্রু আরো ভালো মতন কুঁচকিয়ে বললেন, "নোটগুলো এরেঞ্জ করে দেন নাই কেন? ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম জানেন না?" এইবার আর কুল থাকতে পারলাম না। আশেপাশের লোকজন না শুনে মত খুব চাপা স্বরে উনাকে জিজ্ঞেস করি, "ওয়াট ডিড ইউ জাস্ট সেইড? ওয়াট ডু ইউ থিংক, ওয়াই দিজ ব্যাংক পেয়িং ইউ ফর?" -ম্যাডাম এইবার ভ্যাবাচ্যাবা খেয়ে বোবা বনে গেছেন।

১০:৫৪ (আনুমানিক)
এর ধারাবাহিকতায় ফ্রেমে আসলেন পাশের জন।
-- ভাইয়া, আসলে উনি আপনাকে বুঝতে পারেন নি।
আমি: বি প্রফেসনাল, ম্যাম, আ'ম নট ইয়োর 'ভাইয়া'। দিজ ব্যাংক ইজ পেয়িং ইউ টু সার্ভ মি, নট টু গেট সারভিস ফ্রম মি।
-- আ'ম স্যরি, স্যার। ............ (আমার ডিপোজিট স্লিপ রেডি করতে করতে) আপনি কোথায় আছেন?
আমি: স্যরি, বুঝিনি.......
-- আপনি কি করেন?
আমি: আই থিংক ইটস নট রিলেটেড টু মাই পয়েন্ট, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
......... এতটুকু বলে বলে আমি ফিরে আসি।


ফিনিশিং
আমার যা দোষ ছিল: আমি ঘুম থেকে উঠামাত্র বাথরুম থেকে বেরিয়ে রাতের টিশার্ট আর ট্রাউজার্স পরে চলে গিয়েছিলাম। নোটের পরিমাণ ছিল রাউন্ড ফিগার তাই লিখার প্রয়োজন মনে করিনি। মেসিনে দিলেই বেরিয়ে যায় কয়টা নোট আছে। নোটগুলো সাজিয়ে রাখার মত টাইম ছিলনা আমার।
** ব্যাংক থেকে টাকা তুললে সেখানে বান্ডিলে কি সব নোট সাজানো থাকে? -উত্তর: না। তাহলে আমি কেন ব্যাংকে টাকা জমা করার সময় নোটগুলো সাজিয়ে দিব?
** সব মিলিয়ে আমার কাছে বান্ডিল ছিল তিনটা, যদি সমান অংকের টাকা বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম নোটে হত তাহলে নোটের বান্ডিলের সংখ্যা দাঁড়াত ২০ এ। এই নোটগুলো এরেঞ্জ করতে আমার কয় ঘন্টা লাগতে পারত? মানুষের কি আর কাজ নাই.......


এত সব লিখার কারণ হল, মানুষের সেবা পাওয়ার মানটা যাতে একটু বাড়ে। আমি জানি অনেক ব্যাংক এর কর্মকর্তা হয়তো আমার এই ব্লগ পড়বেন। রাগ না করে একবার ভাবুন তো, টাকা দিতে গিয়ে আপনাকে যদি এমন আক্রমণাত্বক আচরণের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে ঐ অবস্থায় আপনার কেমন লাগবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৭
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×