প্রেম, যৌনতা বাদে মাকালফল! এই যৌনতার ধরন নানান কিসিম এর। সেরকম একটা গল্প বলতে যাচ্ছি।
আমি তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।সে সময়কার কথা বলছি।আমার নানা বাড়িতে পরিচিত এক মামা ছিল। তাদের অবস্থা ভালো বলতে গেলে খুব বড় গৃহস্থ।তাদের গ্রামে একটা নামডাক ছিল এবং আছে। তিনি তেমন কাম কাইজ করতেন না। গায়ে বাতাস লাগিয়ে চলতেন আর এ পাড়া ও পাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন।
একদিন তার একটা স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ল।সেটা হলো, সে পাশের গ্রামের এক ভাবীর ঘরে আসা যাওয়া করতেন।সেই ভাবী আসলেই ছিল পরমাসুন্দরী।এক রাতে তিনি সেখানে অবস্থান করেন কিন্তু ভেজাল ঘটছে কে যেন বাহির থেকে শিকল দিয়ে দিছে।এখন ভোর এর দিকে দরজা খুলতে পারছেন না।এদিকে মানুষ বাহিরে জড়ো হয়ে গেছে।শেষমেশ তিনি অনেক কে রিকোয়েস্ট করে বের হন।এলাকার মানুষ পারলে মারতে যেতে চায়।ভদ্রমহিলার স্বামী বিদেশ থাকে।এ নিয়ে বহু ক্যাচাল শুরু হইল।তিনি কোনমতে প্রাণ নিয়া ফেরত আসেন।
সে সময় মানুষ ছিল পঞ্চায়েত নির্ভর বা গ্রামের শালিসি নির্ভর। তারা যা সিদ্ধান্ত দিবেন তাই যেন মেনে নেয়া হয়। সকলে করেও তাই।
থানা পুলিশ করতে যেতে চাইত না। টাকা পয়সা আবার যাতায়াতে কষ্ট। নানান চিন্তা করে আর কি!
এদিকে সেই নানার যেহেতু নামডাক ছিল। সে করল কি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার দের গোপনে বলে দিল তোমাগোরে খুশী কইরা দিমুনে আমার ইজ্জত টা বাঁচাও!
এগুলো আমার মায়ের কাছ থেকে শুনেছি বহু পরে।
যখন ঐ মামার ব্যাপারে খুব জানতে আগ্রহী হতাম বা সে সব চেয়ারম্যান, মেম্বার দের ব্যাপারে। অথবা আমার নানা কেন তাদের গালমন্দ করতেন? তখন মা এই ঘটনা বলতেন।
যাক সেসব কথা, শালিসের দিন পুরা উঠান ভর্তি মানুষ ছিল।বিচার বসছে মেম্বার এর উঠোনে।
দুই পক্ষের কথা শুনলেন চেয়ারম্যান, মেম্বার। তারা বলল, আমরা যতদুর জানতে পারলাম, সিকান্দার ( মামার নাম )
ঐ বাসায় যাতায়াত করত শরীফা বানুর বাসায়। সিকান্দার এর বন্ধু যেহেতু শরীফা বানুর স্বামী তাহলে বন্ধুর বাসায় বন্ধু আসা যাওয়া নিষেধ তো নয়?কি কন আপনারা? সকলে কইল হ ঠিক আছে।
এখন আরেক টা কথা বাইরে থেকে শিকল দিছে কে? তখন দুইজন নারীর নাম আসল। তাদেরকে চেয়ারম্যান, মেম্বার জিজ্ঞেস করল " তোমরা নিজ চোখে কিছু দেখছ?
" তাদের সোজা উত্তর " না। " তারা আরও বলল, সিকান্দার রাইতে সে ঘরে কেন রইল? তাই আমরা বাইরে থেকে শিকল দিয়া হাতেনাতে ধরছি।
চেয়ারম্যান বলল, আন্দাজে কাজ করছ। আপত্তিকর অবস্থায় ধরতা তাইলে বুঝতাম। এক ঘরে থাকলেই কি কাম করে? এছাড়া শরীফা বানুর শাশুড়ী কিছু নাকি দেহে নাই।আরও যতদুর জানি আমরা, তোমাগো লগে শরীফা বানুর জমি জিরাইত নিয়া ভেজাল আছে তাই তোমরা শত্রুতা কইরা এই কাম করছ? কি কন আপনারা? এখন জনতা মুখ চাওয়াচায়ি শুরু করল। উলটো ঐ মহিলারা পড়ল বিপদে। তখন চেয়ারম্যান মামাকে ডেকে দুইটা চড় দিয়া কইল, অসভ্য! বাঁদর! বাপ মায়ের ইজ্জত যায় ঐ কাম কেন করবা। আর আজ থাইকা ঐ গ্রামের আশ পাশে যাইবা না। বিচার শেষ!
পরে দুই মাসের মধ্যে সেই নানা তড়িঘড়ি করে মামা কে সৌদি পাঠায় দেয়।আসলেই কিন্তু ভেজাল ছিল। শরীফা বানু গর্ভবতী হয়ে যায় গোপনে এক হাসপাতালে যেয়ে ভ্রুন হত্যা করে সে সতি হয়ে যায়।পুরা কাজ মামা তার এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে করিয়ে নেয়। শরীফা বানুর টাটানো রুপ যৌবন ছিল তাই বেশী অসুবিধা হয় নাই। তার স্বামীর বক্তব্য ছিল " মানুষ বেশ্যা নিয়া ঘর করে না! তোমগো সমস্যা কি! "
যাক ওসব পুরনো কথা। এখনকার কথা বলি, এই যে বসুন্ধরার এম, ডি কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টা কিন্তু সন্দেহজনক!কেন পাওয়া যাচ্ছে না?এদিকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হয়ে গেছে।পেপারে মিডিয়াতে মুনিরাকে খানকি, মাগী, বেশ্যা বানিয়ে ফেলা হয়েছে অত্যন্ত সুকৌশলে।নাচের ভিডিও শেয়ার চলছে।
এত কিছুর ভীড়ে বিচার এর চেয়ারম্যান, মেম্বার গন গোপনে কোন বিমানে তুলে আনভীর কে বিদেশ পাঠিয়ে দেন নি তো! বসুন্ধরার মান ইজ্জত বলে কথা!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৩