
ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে যে
না,
তিনি কোন বিখ্যাত মুভির নয় নায়ক
কিংবা টাইটানিকের নাবিক
তিনি হচ্ছেন সদ্য প্রেমিক !
সে বাতাসে ধোঁয়া উড়িয়ে
ভেতরে নিকোটিন জমা করছে
রোজ এই সময়টায় আসে বারান্দায়
এরপর ঠোঁটে জনপ্রিয় কোন হিন্দি গান
জানে না সে
প্রেমের কত গান আছে বাংলায় !
ছেলেটি মাঝারি গোছের
গোল গলার টি শার্ট, জিন্স
মাঝেমধ্যে ট্রাউজার
লুংগী পড়ে কাপড় বদলায় দুই তিনবার
প্রেম তার একতরফা
ধীরে ধীরে ঢেউ ভেংগে
একলাই করছে কারবার ।
ছেলেটি ভাবে কখনো মেয়েটি
আরও কাছে আসতো যদি
রাখতো হাত কাঁদে
আর
ঠোঁট ঠোঁটের ভেতর রয়ে যেতো যদি
ইশ !
তবে এ অট্রালিকার শহরে বসন্ত ফুল ফুটে যেতো
কবিতার পাহাড়ে চাপা পড়ে যেতো দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি
মাথায় থাকতো না কে চালাচ্ছে দেশ
কে আঁকড়ে আছেন গদি !
ছেলেটির অবস্থা বড্ড খারাপ
জানে না জুয়ারি মেয়ের বাপ
মধ্যরাতে ফিরে ঘরে
নেয়না খবর বাকীরা কি করে ?
মা আছে ছয় মাস বেডে
রোজ খুক খুক কাশে
গোটা সংসার, পাঁচখানা পেট
দাওয়াই ডাক্তার খরচ
সব মেয়েটার কাঁদে।
অন্যের জামা সেলাই
রোজ টিউশনি
চোখ রাখে দৈনিকে চাকরির খবরে
রোদে খুব পোড়ে
যার স্পষ্ট ফর্সা দাগ
ব্রার স্ট্রাপ সরে গেলে নজরে পড়ে।
কোন এক বর্ষার সকালে
ছেলেটি পথ রোধ করে
হাতে লাল গোলাপ
প্রেম নিবেদন করে।
মেয়েটি হাসে
টোল পড়া গাল রক্ত লাল
মহল্লার জোয়ান পোলারা গোপনে ডাকে
এ বাজারের ভার্জিন খাসা মাল !
মেয়েটি উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে
হাঁট বাজারে কতক্ষণ ধরে ?
জিনিস পত্রের দামটাম আছে বেড়ে
ছেলেটি মাথা চুলকায়
ভীষণ ভড়কে যায় !
ছেলেটি মন ভোলানো করে কথা
আপনার চোখ ভীষণ সুন্দর এবং কালো
মেয়েটির সোজা উত্তর
আমার নেই হাত
নেই মাথা ব্যথা
স্রষ্টা দিয়েছেন কি আর করি বলো !
মেয়েটি কাছে এসে বলে,
দিওনা রুপে ডুব
ও ক্ষনস্থায়ী টিকেনা বেশীদিন
ছেলেটি নিরুপায় একদম চুপ।
ছেলেটি যেই করবে বাত
অমনি দুষ্ট মেঘ দিল ঝাঁপ
ছেলেটি মেলে ধরে ছাতা
মেয়েটি খোলা চুলে নাড়ায় মাথা
ছেলেটি রাখতে চায় চোখে চোখ
মেয়েটির শ্বাস বাড়ে বুক ধুকপুক।
ছেলেটি বলে,
তুমি চাইলে ধরব বাজি
জীবন দিতে খাড়া রাজি
বিশ্বাস করেই দেখো।
মেয়েটির গর্দান নোয়ানো হাসি
ছোট করে কাশি
ঘুরে দাঁড়ায়
যেতে যেতে বলে,
আগে তো মিয়া সাহেব !
বর্ষায় ভিজতে শেখো ।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২২।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



