সারাদিনের ক্লান্তিকে বিদায় জানিয়ে আসি বিছানায়
গা এলিয়ে নিজেকে জড়াই নানাবিধ ভাবনায়
প্রথম যে ভাবনাটার সাথে বোঝাপড়া করি
সে হচ্ছে
যদি সে ভালো আর না বাসে আমায়
কি হবে আমার?
তৎক্ষনাৎ নিজেকে দেখছি একজন কয়েদি
চারপাশে ঘন কুয়াশা
দম আটকে মরে যাবার জোগাড়
যেন সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্রী চেহারার হিটলার
সেই গ্যাসীয় চেম্বার
আশা নেই
ভরসা নেই
শ্বাস নেই
নিথর দেহ আমার
সমস্ত জগৎ এক পলকেই অন্ধকার।
ঘুম ছুটে যায়
অস্থিরতা ভর করে
গলা শুকিয়ে একদম কাঠ
আরো মনে হয় গোটা জীবন বেকার।
পরক্ষণেই পাশ বদল করি
দ্বিতীয় ভাবনাটা চলে আসে তড়িঘড়ি
সে হচ্ছে
এই যে রোজ কর্মস্থলে যাবার পুর্বে
তার মুখ পানে চেয়ে থাকি মুগ্ধ নয়নে
তখন থেমে যায় সময়
পুরো বিশ্ব অচল
কোথাও নেই যুদ্ধ কোলাহল
নেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
পন্য বয়কট
নেই কোন সংকট
নেই হাহাকার
সর্বত্র শান্তি
শান্তি অনুভব।
এ সময়
তৃতীয় ভাবনা ভীষণ রকমের ধাক্কা দেয়
সে হচ্ছে
যদি সে চুম্বন না খায় আর
যদি সে মিলনে না দেয় সাড়া
যদি সে বলে বসে
I am done
It’s over
কি হবে আমার?
তখন কেঁদে কেঁদে আমি
বরফ গলা নদী
চিরস্থায়ী ভাটা
যার নাই জোয়ার
দুকুলে ধু ধু বালি
নেই ঢেউ
নেই কেউ
আমিই একমাত্র আমার।
এ কি সম্ভব ?
না,
না,
ভাবতে চাই না আর
আমাকে তুমি আগলে রাখবে বুকের ভিতর
যেমন করে অর্থকড়ি ধরে রাখে
রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭