প্রথমেই আমি বাংলার সকল সংগ্রামী ভাই-বোনদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।প্রবাসী তাই আপনাদের সাথে শাহবাগ এ থাকতে পারছিনা। এটা আমার দুর্ভাগ্য যে দেশে জন্ম নিয়েছি দরকারের সময় তার পাশে থাকতে পারছিনা। ১৯৭১-এ আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, আমার নানা মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়েছেন। তাঁদের রক্ত আমার ধমনীতে।সেই ঋণ শোধ করাটা যে বড় দরকার।
আপনারা থেমে যাবেন না। আমরা সকল প্রবাসী সব সময় আপনাদের সাথে আছি। সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন বাংলার এই আন্দোলনের সঠিক বার্তা সারা বিশ্বে পৌছে। সেই সাথে এও বলতে চাই বাংলাদেশের সাধারন মানুষের এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে তা প্রতিহত করতে হবে। রাজনীতি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আমাদের কোন দরকার নেই। এরা মিথ্যবাদী, সুযোগ সন্ধানী এবং জারজদের বংশধর। ৪০ বছর ধরে এরা দেশের মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে। আর না।
আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে এসেও এরা নোংরা রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারেনা। কয়লা ধুইলেও ময়লা যায়না। এদের রক্তেই মিশে আছে ধান্দাবাজী এবং ধাপ্পাবাজী। তাই সাধারন মানুষের মাঝে এদের কোন স্থান নেই। এদেরকে বয়কট করুন। ৪০ বছর এদের দিকে মানুষ তাকিয়ে ছিল দিন বদলের আশায়। প্রতিদানে এরা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। সকল রাজনীতিবিদকে শাহবাগ চত্বরে নিষিদ্ধ ঘোষনা করুন। আমরা এই সকল মিথ্যেবাদীদের আর নেতৃত্বে দেখতে চাইনা। সময় এসেছে এদের অবসরে পাঠানোর। শাহবাগে এদের কিংবা এদের দালালদের দেখা মাত্রই এলাকাছাড়া করুন।
সকল রাজাকার কে প্রকাশ্যে ফাঁসী প্রদান করতে হবে। বলা যায়না, দেশ থেকে ভাগিয়ে দিয়ে বলবে ফাঁসী দেয়া হয়েছে। ।আমাদের বিজয় হবেই। জনগণ যখনই রাস্তায় নেমেছে, দাবী আদায় করে ছেড়েছে। ইতিহাস স্বাক্ষী।আন্দোলন চালিয়ে যান আপনারা। আশা করি আমিও আপনাদের সাথে খুব তাড়াতাড়ি যোগ দিতে পারব। রক্তের ঋণ শোধ করার এমন সুযোগ বার বার আসেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




