ইসলামী সালাফিজমের জনক ইবনে তাইমিয়ার ভাবশিষ্য হলো মওদুদী আর মওদুদীর ভাবশিষ্য হলো মওলানা ইলিয়াস।এই ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নে প্রাপ্ত মতবাদ হচ্ছে আজকের তবলীগ জামাত অথচ দিনের পর দিন এদের দেশব্যাপী প্রচার চালাতে দেয়া হয়েছে।অনুদানের অর্থে নির্মিত মসজিদগুলিতে তারা নিজেদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জঙ্গিরা বর্তমানে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অথচ পবিত্র কুরআনে এমন অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরী করা মসজিদ নিয়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই সাবধান করা আছে, এমনকি ঐসব মসজিদে রাসূলকে কোনোদিনই না দাড়ানোর আদেশ করেছেন স্বয়ং মহান আল্লাহপাক।
"আর যারা নির্মাণ করেছে মসজিদ জিদের বশে এবং কুফরীর তাড়নায় মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টির উদ্দেশ্যে এবং ঐ লোকের জন্য ঘাটি স্বরূপ যে পূর্ব থেকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করে আসছে, আর তারা অবশ্যই শপথ করবে যে, আমরা কেবল কল্যাণই চেয়েছি। পক্ষান্তরে আল্লাহ সাক্ষী যে, তারা সবাই মিথ্যুক।"
"আপনি কখনো সেখানে দাড়াবে না, যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত নয়, সেটিই আপনার দাঁড়াবার যোগ্য স্থান যেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন।"
(তওবাহ :১০৭,১০৮)।
অর্থাৎ কুরআন মতেই তাবলীগ জামাতের মসজিদ ভিত্তিক নেটওয়ার্কিং নিষিদ্ধ। আজ জঙ্গিরা আশ্রয় হিসেবে কিছু মসজিদকে ব্যবহার করছে, মানুষ হত্যা করে তারা মসজিদে গিয়ে চাপাতি পরিস্কার করছে, মসজিদের ভিতরে আশ্রয় নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালাচ্ছে! জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে না পারা এবং জঙ্গিদের স্হান পরিবর্তন ঠেকাতে না পারার কারণও তাবলীগ জামাত। তবলীগের দলের সাথে ছদ্মবেশে তারা সহজেই স্হান পরিবর্তন করতে পারছে।যদিও হজ্জ ছাড়া ইসলামে স্বীকৃত কোনো গণসমাবেশ নেই তারপরও প্রতি বছর হাজার খানেক বিদেশি জামাতিদের দেশে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বেদাত বিশ্ব ইজতেমা। সেই বিদেশিরা কোথায় যায় কতদিন থাকে তার কোনো নজরদারির বালাই নেই, অবশ্য আমাদের সেই জনবলও নেই।এই কারণেই ইজতেমা করার জন্য জায়গা দিতে একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশই সে সময় রাজি হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো পৃথিবীর যতগুলো দেশে তবলীগ জামাত আছে সেখানে জঙ্গিও আছে, যেসব দেশ তবলীগ জামায়াত বন্ধ করতে পেরেছে তারা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।