তুমি আজ অনেক ভালো আছো। তুমি না বলে তোমরা বলাটাই মনেহয় ঠিক হবে। তোমাদের নাম নাই কোন। নেই কোন পরিচয়। হ্যা, একটা পরিচয় আছে। পরজীবী অথবা পরগাছা। যে নাম টা তোমাদের পছন্দ হয়। অন্যের গায়ের উপর হেলান দিয়ে তোমাদের বেচে থাকতে হয়। নিজে কিছু করার মুরোদ নাই, তাই অন্য একজনের প্রভাবে বেচে থাকা, আর কি। তাই বলে নবীনের জোরে প্রবীনরাও আজকাল নায়ক সাজতে চায়, কি মজা। আসলে নায়ক সাজা টা তেমন কিছুই না, যদি নায়কগিরি করে সিনেমার পরিচালকদের সুনজরে আসা যায়, যদি বানরের মতো হাংকি পাংকি ড্যান্স দিয়ে পরিচালকদের সুরসুরি দেওয়া যায়, এতে যদি নিজের কিঞ্চিত পরিমাণ লাভ পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি? মান সম্মান তো হাতের ময়লা, বেশ কয়েকবার গেলে ক্ষতি কি তোমার? মনিবদের মায়াভরা পা একবার ঘাড়ের উপরটা ছুয়ে গেলে তো আবার তুমি বা তোমরা সমাজের সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব, তাই না ? মনে কি পড়ে, তোমার বা তোমাদের গলা ফুড়ে একবার বের হয়েছিল দেশ স্বাধীন করার কথা। বলেছিলে তোমরা এই তথাকথিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে কিছু করা দরকার। হ্যা, করছো। এখন তো খুবই মনযোগ দিয়ে তোমরা তোমাদের কাজ টা করছো। করছো সেই সিস্টেমের তেলবাজি। বেশ বেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়ার ফলে একটা টার্মের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। যদিও আমি খুবই খারাপ ছাত্রদের কাতারে একজন। টার্মটি হলো “ব্যাকডোর পলিসি”। সামনাসামনি কিছু করার সাহস তো তোমাদের নাই, তাই মনিবদের ছায়াতলে থেকে পা-চাটা কুত্তার মতো তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার আড়াল নিয়ে নিজের বা নিজেদের জন্য কিছু উচ্ছিষ্ট হাড্ডির ব্যবস্থা করার তালে ব্যস্ত আছো। ভালো, সেই হাড্ডি চিবিয়ে যদি কিছু করতে পারো। নিজেদের আত্মসম্মান যদি বৃদ্ধি করতে পারো। করো। করতে থাকো। জয় হোক তোমাদের।
বাহঃ বেশ ভালো গল্প লিখতে পারি তো আমি. .!! সুধীজনেরা কেউ আবার বাস্তবতার সাথে আমার কল্পনাটাকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না। আর কেউ করতে চাইলেও তা দয়া করে নিজ দায়িত্বে করবেন। সেক্ষেত্রে মনে হয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা ঠিক হবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




