টিকা নেয়ার চেয়ে টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে মানুষের ভিড় বেশি। বোঝায় যায় দেশের পরিস্থিতি কি! যদিও টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। সুনির্দিষ্ট ভাবে তারিখ পাওয়ার ব্যাপার আছে। সে হিসাবে সেখানেও একটা ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আবেদন করার এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও অনেকে মেসেজ পাচ্ছেন না। আবার এমন অনেকেই আছেন; যারা তারিখ পাওয়ার পরও সেন্টারে টিকা নিতে যাচ্ছেন না বা যাননি। পেটের ক্ষুধা মেটানো এখন মানুষের বড় চিন্তা।
সারাদেশে সিন্ডিকেট করে পণ্য পরিবহন খরচসহ সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সেটির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। মানুষকে নিরুপায় হয়ে টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে ভিড় করতে হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদে এমপিদের অধিকাংশ হচ্ছেন ব্যবসায়ী। তাহলে উনারা কাদের কথা বলেন, কাদের কে নিয়ে ভাবেন? জনগণের নাকি ব্যবসায়ীদের!
আমরা যদি এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ না খুঁজে বের করি; বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ না করি, প্রতিবাদ না জানায় সামনে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় যে নেমে আসবে; তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সহজ হিসাব হলো নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করা প্রায় ৭ কোটি মানুষ কি করবে! কি ভাবে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করবেন? নিশ্চয় বাধ্য হয়ে তাদেরকে ছিনতাই, লুটতারাজসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নেমে পড়তে হবে। যেমনটি ভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছাড়াও সামর্থ্যবান পরিবারকে এখন নিরুপায় হয়ে পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাড়াতে হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত যাচ্ছে; সেটি নতুন করে লিখলাম না। আগের লেখায় বিস্তারিত তুলে ধরেছি। তাছাড়া যারা অন্তত সৎ পথে আয় করে বাজার করে পরিবারের আহারের ব্যবস্থা করেন; তারা সকলেই জানেন বাজারে পণ্যের দাম কিভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাদের অনুভূতি, হিমশিম খাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরার কিছু নেই। বরং যারা ঘুষ, দুর্নীতি এবং মানুষের ওপর জুলুম করে অবৈধ পন্থায় উপার্জন করেন এবং সেই টাকা দিয়ে পরিবারের প্রয়োজন মেটান, মুখে হাসি ফোটান - তারাও বাজারের পরিস্থিতি অবগত হলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন ফিলিংস থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
গেলো আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসেও করোনার টিকা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও এখন তা কমে এসেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭