সূর্যমিঞা: বাংলাদেশে ইদানিং সামরিক বাহিনীর সমর্থনে এক শ্রেণীর নব্য কোলাবোরেটর বুদ্ধিজিবী দেখা যাচ্ছে। যেমন, সুজনের বদিউল আলম মজুমদার। এই সাথে যুক্ত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এই বদ. মজুমদার এখন সামরিক বাহিনী মদদপুষ্ট সরকারের অধীনে একটি সনদ নামক দাসখত দেবার পক্ষে ওকালতি করে আজ প্রথম আলোতে উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। এই গংরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের নীলনক্সার পক্ষে, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের ক্ষমতার নিজস্ব বলয় তৈরীর জন্য। এরা সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের থিংকট্যাংক হিসাবে কাজ করছে। আমরা সবাই দেশে শান্তি চাই, লুটপাটের রাজনীতি ও রাজাকারীর বিরুদ্ধে। কিন্ত সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বিকল্প মনে করার বিপক্ষে। ডোনারদের মদদপুষ্ট তথাকথিত সিভিল সোসাইটি এখন সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের দালাল হিসাবে ভূমিকা রাখছে। প্রয়াত আহমদ ছফা তাঁর বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস গ্রন্থে বলেন, বুদ্ধিজীবিরা যা বলেন তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এখন এই সব বুদ্ধিজীবিরা যা বলেন তা শুনলে বাংলাদশে স্হায়ীভাবে পরোক্ষ সামরিক শাসনে থাকবে। আরেক মদন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আব্দুল্লা আবু সাইদ। তিনিও সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন। এই সব এলিট বুদ্ধিবিচিরা চিরকালই বিভ্রান্ত এবং সাধারণ মানুষের বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছেন। সে উদাহরণ আর এখন তুলে ধরতে চাই না। হালুয়া রুটি দখলের সংগ্রামেরত তথাকাথিত বুদ্ধিজীবিরা শাসক লুটেরা শ্রেণীর মসীজীবি কুলি হিসাবে খেটে চলেছেন তাদের পক্ষে। ব্লগে মতি রাজাকারের কারাগার ভ্রমনের পাশাশি এসব তস্কর বুদ্ধিবিচিদেরও ভুমিকার পর্যালোচনা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০০৮ সকাল ৭:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






