পুরানো চিঠি আর ডায়রীর পাতা ঘাটতে গিয়ে চোখ আটকে গেল তোমার ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট কিছু কাগজ পত্রে, নিমিষেই চলে আসলো হাতের নাগালের মধ্যে............ তারপর থেকেই মনটা খারাপ, ভীষণ খারাপ.......। ভেবেছিলাম আর লিখবোনা, তারপর ও লোভ সামলাতে পারলাম না......
আর ভালো লাগছেনা, কেবল ই মনে হয় একটি অভিশপ্ত জীবন যাপন করছি। হুম ভুল পড়োনি, অভিশপ্তই তো। নাহলে কেন প্রাগইতিহাসিক কালের একটা ছোট্ট ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা আঁকড়ে ধরে পড়ে আছি আজ প্রায় ৬ বছর। না ভুল পড়োনি, যাই ঘটে থাকুক না কেনো পুরা ব্যাপারটাই তোমার কাছে তুচ্ছ ছিলো... এটা মেনে নেয়ার সৎসাহস তোমার আছে বলেই ধরে নিচ্ছি। আবার এও অবশ্য আমি মেনে নিচ্ছি যে তুমি এখন ভাব আমাদের ব্যার্থ সম্পর্ক টি নিয়ে, আমাকে নিয়ে। দাম্পত্য জীবনের অসংলগ্নতা ভুলে থাকার ব্যর্থ প্রয়াস থেকেই হয়তো!!!
মাঝে মাঝে কষ্টগুলো সব এতো অসয্য হয়ে উঠে......... সবাই বলে আমি নাকি দুঃখবিলাসি, সুখের মাঝে থেকেও, অন্ধের মতো হাতরে বেড়াই দুঃখ...... তাই কষ্টের বোঝাগুলো বুকের ভেতরে কঠিন শিলার মতো বসে আছে, আর আমি প্রতি মূহূর্তে হাঁস ফাঁস করছি বেঁচে থাকার যন্ত্রনায়। সাহসি মানুষের মতো পারিনা উড়িয়ে দিতে চাঁপা আগূনকে এক ফূৎকারে, ভিজে থাকা ছাইগূলো লেপ্টে থাকে আমার হৃদপিন্ডের প্রতিটি কোষে...............আর আমি ক্রমশঃ হয়ে উঠছি জলজ্যান্ত এক শব।
বাবা-মাকে খুশি করার জন্য যেদিন আমাকে অপ্রোয়োজনীয় কাগজের মতো দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার পাশের ডাস্টবিনে ফেলে গিয়েছিলে সেদিনই আমি জেনেছিলাম যে আমার আত্মার অনানুষ্টানিক মৃত্য হচ্ছে...... আবার মনের অজান্তেই এও জেনেছিলাম যে, তুমি আবার ফিরে আসবে তোমার জীবনের ব্যর্থ অধ্যায়গুলোর স্বাক্ষী করতে। স্বার্থপরতা মনের অজান্তেই সামনে চলে আসে অনেক সময়।
খুব ভালো থাকি যখন ভুলে থাকতে পারি!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




