প্রাচীন রোসাঙ্গ ভুমির সবুজাভ অরণ্য থেকে
জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর বন্য সৈন্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে
ইয়োমা পর্বত শৃঙ্গ অতিক্রম করে
অসংখ্য শরশয্যা মাড়িয়ে
নদী আর সাগর পেরিয়ে
যুবরাজ সুজা মাহমুদের
সফেদ ঘোড়াটি রক্তাক্ত শরীর নিয়ে
আমার আঙিনায় এসে দাড়িয়েছে।
তার গলায় পদ্মাবতীর ছেড়া জরির উড়না আর
কবি আলাওলের ধুসর পান্ডুলিপি।
চোখে অশ্রু .পিঠে রোহিঙ্গা শিশুদের বিদগ্ধ শবদেহ।
তার শরীর জুড়ে অহিংসতার সহিংস চিত্র।
লেজে আগুনের আঁচ আর মৃত পাখিদের পালক।
ম্রিয়মান কণ্ঠে নৃসংস তান্ডবের লোমহর্ষক বর্ণনা।
ঘোড়াটির চোখে -আকিয়াব.মংডু. গর্জনদিয়া.
ভুসিডং. সারপারা সহ অসংখ্য রক্তাক্ত জনপদের বিভৎস স্মৃতিচিন্হ।
সভ্যতার বিচূর্ণ রূপ।
যে ঘোড়াটি সুদীর্ঘ কাল ধরে সবুজাভ প্রান্তরে
স্বাধীন ভাবে বিচরণ করেছে
নরদানবের তাড়া খেয়ে সে এখন মৃত প্রায়।
চোখে মুখে ভয় আর শংকা
মানবতার এমন স্খলনে সন্ত্রস্ত ঘোড়াটি হতবাক।
তাই বারবার তার পায়ের ক্ষুরে লেগে থাকা
নোবেল শান্তি পদকের ভাঙা টুকরোটি
পেশাবে ভিজিয়ে দিচ্ছে ...।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০০