পাখির কাছে ফুলের কাছে মনটা যখন ছুটে
মন আঙিনায় তখন যেন, মায়াবী পর্দা দোলে উঠে।
কালের কলস ভেসে গেছে আজ লোক লোকান্তরে
কবির প্রয়াণে তুষের আগুন জ্বলে তাই অন্তরে।
বখতিয়ারের ঘোড়া এবং এক চক্ষু হরিণ
মরু মূষিকের উপত্যকায় কাঁদছে নদীর সতীন।
কবির আত্মবিশ্বাস আর কবির কররেখা
ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড়ে কখনও যাবেনা দেখা।
নিশিন্দা নারী যমুনাবতী বিবেকের বাতায়ন
নদীর ভেতরে নদী শুনবেনা কবির কথোপকথন।
বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ অথবা চরণ ধ্বনি
মিথ্যেবাদী রাখালের কথা শুনবেনা ত্রিবেণী।
উপমহাদেশ কেঁপে উঠবে না সাহসের সমাচারে
কাবিলের বোন জলবেশ্যা মারা যাবে অনাহারে।
জল অরণ্য আগন্তুক আর পিপাসার বালুচর
কবির সৃজন বেদনায় কেঁপে উঠবেনা চরাচর।
বারুদ গন্ধী মানুষের দেশে গন্ধ বনিক কবি
আলোক পুলক শিহরণে মনে আঁকবে না প্রিয় ছবি।
সেলাই করা মুখ নিয়ে আর বাংলার ক্রীতদাসী
দশ দিগন্তে উড়াল দিয়ে ছড়াবেনা মুখে হাসি।
তোমাকে হারিয়ে কুড়িয়ে পেয়েছি বলবেনা কেউ আর
তুমিই তৃষ্ণা তুমিই পিপাসা হে প্রিয় কবি আমার।
পানকৌড়ির রক্ত মাখা বন ময়ূরীর মুখ
তোমার গন্ধে ফুল ফুটেছে দেখে প্রাণে পাবে সুখ।
তোমার জন্য দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী ভর
সোনালী কাবিন বুকে নিয়ে শুধু কেঁদে যাবে অন্তর।
তোমার রক্তে তোমার গন্ধে চিন্তা চেতনা বোধ
শানিত করবে আমার মনন কবি আল মাহমুদ।
আমার সকল ভালোবাসা ভরে সফেদ রঙের খামে
ছড়িয়ে দিলাম সুনীল আকাশে হে কবি তোমার নামে।
ছায়ার সঙ্গে লড়াই করে করেছো জীবনযাপন
শান্তি প্রিয় শান্তি তোমাকে করুক আলিঙ্গন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩