গল্প:
অচেনা একটা ভয়
সাইয়িদ রফিকুল হক
মৌমিতা আজ তাড়াহুড়ো করে অফিসে পৌঁছে দেখল, এখনও কেউই আসেনি! এতে সে খুব বিস্মিত হল! অফিসে পৌঁছুতে আজ তার বেশ খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এখনও অফিসে কারও ছায়া পর্যন্ত নেই! শুধু বড়সাহেবের খাসপিয়ন জয়নালকে দেখা গেছে! আর কেউ নেই!
সে খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবতে লাগল―আজ তো অফিস-ছুটি থাকার কথা নয়! তার বুকের ভিতরে কেমন করে যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠল! আর বুকটা কাঁপতে থাকে অজানা একটা আশঙ্কায়!
সে খোঁজখবর নিতে লাগল। একটু পরেই সে বড়সাহেবের খাসপিয়নের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল, সবাই পিকনিকে গিয়েছে! কিন্তু, সে তো শুনেছিল, যাদের সেকশনে কাজ বেশি―এবার তারা পরে পিকনিকে যাবে! হঠাৎ এক রাতের মধ্যে এমন কী হল! একটু পরে সে বড়সাহেবের খাসপিয়নকেও আর কোথাও খুঁজে পেল না! সে চেয়ারে বসে একটা অচেনা ভয়ে মুষড়ে পড়ে যেন!
এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে বড়সাহেব অফিসে ঢুকলেন। আজ তাকে খুব ফ্রেশ আর রোম্যান্টিক হিরোর মত লাগছে!
তিনি মৌমিতাকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন, “অফিসে যাদের কাজ বেশি নেই―তাদের বার্ষিক বনভোজনে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ আমরা ক’জন কাজের মানুষ একসঙ্গে বসব। আর মন দিয়ে অফিসের জরুরি কাজগুলো শেষ করব।”
বড়সাহেব নিজের রুমে ঢুকতে গিয়ে হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালেন। তারপর মৌমিতার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে হেসে বললেন, “আপনি এখনই আমার রুমে চলে আসুন। আমরা এখানেই সারাদিন কাজ করব!”
মৌমিতা ভিতরে-ভিতরে ভয়ানক সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। তবুও সে বলে “স্যার, আর কে-কে আসবে?”
বড়সাহেব হেসে বললেন, “না-না। আর কেউ নয়। আমি আর আপনি!”
কথাটা শোনামাত্র মৌমিতা ছিটকে বেরিয়ে এল অফিস থেকে। সামনে তার বিয়ে!
সে জেনেশুনে...।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯