ছবি: বিবিসি
কানকথা ও গুজবে বিশ্বাস করে ধার্মিক হলে যা হয়:
সাবেক মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতের হত্যাকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "প্রেসিডেন্ট সাদাতকে কেন হত্যা করেছ তুমি?
হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ সে সেক্যুলার ছিল।"
বিচারক তখনই পরের প্রশ্নটি করলেন- "সেক্যুলার মানে কী?"
হত্যাকারী জানালো- "আমি জানি না।"
প্রয়াত মিশরীয় লিখক নাগিব মাহফুজকে ছুরি মেরে হত্যা-চেষ্টাকারীর একজনকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "নাগিব সাহেবকে তুমি ছুরিকাঘাত করেছ কেন?"
জবাবে সন্ত্রাসী বলেছিলো- "কারণ সে ধর্মবিরোধী 'চিলড্রেন অভ গেবালাবি' উপন্যাসটি লিখেছে।
বিচারক আগ্রহ দেখালেন- "উপন্যাসটি পড়েছ তুমি?"
অপরাধী জবাব দিয়েছিলো- "না।"
মিশরীয় সাহিত্যিক ফারাজ ফাউদাকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীটিকে বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন- "ফারাজ ফাউদাকে মেরে ফেললে কেন?"
হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ তার ঈমান নাই।"
বিচারক জানতে কৌতূহলী হলেন- "তুমি কিভাবে বুঝলে যে তাঁর ঈমান নেই?"
সন্ত্রাসীর জবাব ছিল- "তার বইগুলা পড়লেই সব বোঝা যায়।"
বিচারকের কৌতূহল বেড়ে গেলো- "তাঁর কোন্ বইটিতে তুমি তাঁর ঈমানহীনতার প্রমাণ পেলে?"
হত্যাকারী স্বীকার করলো- "বইয়ের নাম আমি জানি না। আমি পড়িনি ওসব।"
বিচারক বিস্মিত হলেন- "কেন পড়োনি?"
খুনীটি বলেছিলো- "আমি লিখতে-পড়তে জানি না।"
ঘৃণা, কখনোই জ্ঞানের মাধ্যমে ছড়ায় না। ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে অজ্ঞতার মাধ্যমে। সমাজ অজ্ঞতার খেসারত, অজ্ঞ করে রাখার খেসারত, এভাবেই দেয়।
শিরোনাম লিখেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক
কৃতজ্ঞতাস্বীকার:
Salah Uddin Ahmed Jewel অনুদিত,
#CRT 'রিয়্যেল আফ্রিকান বুকজ' থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯