somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুস্থ থাকতে রোজ খান গরম রসগোল্লা; মিষ্টি ওজন বারায় না কমায়ও

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গরম রসগোল্লা পাতে পড়লে কার না মন খুশিতে ভরে ওঠে? আবার ওজন বাড়ার ভয়ে মনে মনে কিন্তু কিন্তু। এ সব দোনামোনা এক্কেবারে ঝেড়়ে ফেলুন। জানেন কি গরম রসগোল্লার কত গুণ? শুধু তাই নয়, রোজ গরম রসগোল্লা খেলে ওজন তো বাড়েই না, বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। জেনে নিন গরম রসগোল্লার ১০ গুণ।

১। দাঁত ও হাড়ের যত্নে- রসগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হওয়ায় রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে। হাড় বা দাঁতের ক্ষতও রোধ করতে পারে রসগোল্লা। অস্টিওপরেসিস বা গাঁটে ব্যথা সারাতেও উপকারী গরম রসগোল্লা।

২। ইন্সট্যান্ট এনার্জি- দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরি মিটিয়ে ইন্সট্যান্ট এনার্জি জোগাতে পার রসগোল্লা। সারা দিনের খাটনির পর বা ওয়ার্কআউটের পর গরম রসগোল্লা খান।

৩। যন্ত্রণা উপশমে- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখে।

৪। দাঁতের ক্যাভিটি- রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকায় দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত থেকে রক্ষা পায়। ভিটামিন ডি ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। ওজন- রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে হজম ভাল হয়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৬। ক্যানসার- উচ্চমাত্রায় ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকার কারণে পেট, ব্রেস্ট, প্রস্টেট বা কোলন ক্যানসার রুখতে পারে রসগোল্লা।

৭। হার্ট- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৮। ইউরিনারি- রসগোল্লা ইউরিনারি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। ফলে সহজে কিনডি স্টোন হতে পারে না।

৯। রোগ প্রতিরোধ- রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে। সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থমা সারাতে উপকারী রসগোল্লা।

১০। শিশুদের জন্য- রসগোল্লা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে গরম রসগোল্লা।

সুত্রঃ বিদেশী পত্রিকা থেকে সংকলিত
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×