আপনার মালিকানাধীন বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে যেমন আপনি পারেন না আপনার সীমানা ঘেঁষে এগিয়ে যাওয়া মহল্লার রাস্তায় মূত্র ত্যাগ করতে তেমনি মহল্লার লোকজনেরও অধিকারে পড়ে না আপনার সীমানায় মূত্র ত্যাগ করা। এমনকি মহল্লার রাস্তায় অধিকার ফুটাতে গিয়ে মল-মূত্র ত্যাগে লিপ্ত হওয়া। যখন কেউ অন্যের অধিকার নষ্ট করে নিজের স্বাধীনতা আদায়ের মত পাগলামি করতে যায় তখনই সেখান থেকে উপরে ফেলা হয় স্বাধীনতার চারা। বর্তমান সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ ঠিক এমন অবস্থানে দাঁড়িয়ে রাজনীতির নাম করে অনায়াসে করে যাচ্ছে যত আছে অপরাজনীতি ও কুকর্ম।
ব্যাক্তি মামুনুল হক এখানে মুখ্য নয়। পরাধীনতার মাত্রা বিবেচনা করলে অনায়াসে বুঝে আসে বাংলাদেশের বর্তমান বেহাল অবস্থা। ব্যাক্তি মামুনুল হকের মত মানুষ যদি এরকম একটি স্পটে লাঞ্চিত হয় তবে আপনি আমি কতটুকুই বা নিরাপদ! হ্যা, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার অবস্থান বিবেচনায় রিসোর্টে যাওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু নিজ স্ত্রী হোক আর গার্ল ফ্রেন্ড হোক উভয়ের সম্মতিতে মনোরঞ্জন পূর্ণ করা দূষণীয় নয়। সেখানে বাধা প্রদান করা মানে তাদের অধিকার হরণ করা। আর এভাবেই রাষ্ট্রের পরাধীনতার সর্বোচ্চ মাত্রার প্রকাশ ঘটে।
আপনার মুক্তচিন্তার প্রকাশ যে দেশ আপনাকে নাস্তিকতার উপাধি দিয়ে জবাই জায়েজ হয় সেটাই বাংলাদেশ। হ্যা, বর্তমান বাংলাদেশে আপনার মুক্তচিন্তা অর্থ নিজ মৃত্যুকে দুয়ারে ডেকে আনা। অতীতে বিএনপির সময়ে বিএনপি জামাত বিরোধী কোন কথা বললেই মাথা কিংবা রগ যেত আর আওয়ামীলীগের আমলে জান কুরবান। স্বাধীন একটি দেশ কতটুকু পরাধীনতায় ডুবলে এই অবস্থা হয়? সেটাই প্রশ্ন!
যদিও এখানে স্বাধীনতার কথা বলছি বারবার কিন্তু তার চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় হচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা। যেখানে নেই আমাদের নিরাপত্তা সেখানে স্বাধীনতার আশা করা নিতান্তই বোকামি। হ্যা, এই বোকামিটাই আমি করছি। অন্তত সেইসব নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষি জনসাধারণের জন্য বোকামি তো করাই যায় যারা স্বাধীনতার জন্য প্রত্যেহ ভোরে মন্দিরে কপাল ঠোকে, মসজিদে হয় সেজদাবনত, কাঁধে বোঝা নিয়ে বেরিয়ে পরে জীবনের জন্য।
ছবিঃ নেট
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩