somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

How much benevolent religion is Islam for humanity?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


'মানবতার জন্য ইসলাম কতটুকু কল্যাণকামী?' প্রশ্নে মুসলিমরা একটু নড়েচড়ে বসবেন এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মুসলিমদের অধিকাংশই জন্মসূত্রে মুসলিম। সে কারণে অধিকাংশজন ধর্মের ব্যাপারে শুনা কথাকেই ইশ্বরের কথা বলে ধরে নেন। আর এই সুযোগে ধর্ম ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেন তাদের নিকট এক-একজন ইশ্বর।

ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক, ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আযহারী, মাওদুদী, আহলে হাদিস, ফুলতলী, রেজবী, আটরশী, মাইজভান্ডারি, দেওয়ানভাগীদের ভক্তরা সে কারণেই নিজেদের পীর/আমীরদের বিরুদ্ধে কোন সত্য কথাকেও সহজে মেনে নিতে পারে না। আর এই না মেনে নেওয়ার স্বাভাবিক বিষয়টাই সৃষ্টির প্রতি ইশ্বরের দাবী। ইশ্বর তার সৃষ্টির নিকট যেমন প্রাপ্তির আশা করেন পূজা, তেমনি আমাদের এইসব পীরেরা নিজেদের ভক্তকুলের কাছে দাবী করেন তাদের প্রতি একক বিশ্বাস। সৃষ্টিকর্তার প্রতি ইবাদতের নাম করে ভক্তদের থেকে তারা এই একক বিশ্বাস আদায় করে নেন অতি কৌশলে। এভাবে ধর্মভীরুর নাম করে সমাজে সৃষ্টি হয় ধর্মান্ধ। সে কারণেই আমরা দেখি, এই ধর্মান্ধ ভক্তরা নিজেদের ইশ্বরদের জন্য সত্য অস্বীকারের বিশ্বাসকে হৃদয়ে লালন করেন এবং নিজেদের ইশ্বরদের অপপ্রচারে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে বারবার অস্থিতিশীল করে তুলেন। কেহ তা করেন নিরবে, কেহ বা করেন হট্টগোলের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ ধর্ম পালন করতে গিয়ে এই যে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি(এইসব পীর/আমীর)কে ইশ্বর ভেবে ধর্ম পালন করে যাচ্ছেন তা কিন্তু ইসলাম নয়। এই পন্থা বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম ধর্মের নামে অসংখ্য অধর্ম সৃষ্টি হয়েছে আমাদের বাংলাদেশে। এই অধর্মের ভেতর কিন্তু মানবতার বেঁচে থাকা হয়ে উঠছে না। নিজেদের অধর্ম রক্ষায় এসকল আশেকানরা মানবতারিরোধী কত যে কুকর্ম করে চলেছেন তা বর্ণনাতীত। এরা খুবই অনায়াসে নিজদের কুধর্মের জন্য যে কাউকে জবাই করতে পারেন। তারা ইসলামের নাম করে, জিহাদের নাম করে মানুষের শান্তি কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজকে করে তুলে উত্তপ্ত, সুষ্ঠু মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী। এভাবেই তারা সুদীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে কেড়ে নিচ্ছে মানুষের স্বাধীনতা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ভিন্ন-ভিন্ন দলের প্রত্যেকে নিজেদের সাচ্চা মুসলিম দাবী করেন, তবে প্রকৃতার্থে এদের মধ্যে কে সাচ্চা মুসলিম তা বুঝা সাধারণের জন্য বিরাট দায়। মুখে মুসলিম দাবি করলেও বাস্তবে তারা যা করেন তা কিন্তু ইসলামের অংশ নয়। তারা ইসলামের নাম করে নিজেদের উগ্রতায় রাজপথে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দাঙ্গাফাসাদের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে অতিষ্ঠ করে তুলছেন। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অনুষ্ঠানে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায়। যদিও আমি আজ পর্যন্ত এদেরকে মানবতার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক হতে দেখি নি। যা দেখেছি তা তাদের নিজেদের মধ্যে ডাস্টবিনের কাদাছোড়াছোড়ি ছাড়া ব্যতিক্রম কিছু নয়। যদি তারা সত্যিকার অর্থেই ইসলামকে লালন করতেন, তবে কেন তারা নিজেদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলেন?

একটা গল্প দিয়ে শেষ করলে বুঝে আসবে তা খুব সহজে।
একবার সন্ত্রাসি জঙ্গিরা রাস্তায় এমন একটা গাড়ি থামায় যে গাড়ির ভিতরে এক খ্রিষ্টান দম্পতী ছিলেন। এরকম গাড়ি থামিয়ে নির্যাতন করা তাদের নিত্যকার আমল। তো জঙ্গিরা তাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে জিজ্ঞেস করল,
– মুসলমান নাকি?
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,
– হ্যাঁ।
এবার বুদ্ধি করে জিজ্ঞেস করল,
– কোরআনের একটা আয়াত বলো তো?
ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করে, বাইবেলের একটা বড় প্যারাগ্রাফ বলে গেলেন!
জঙ্গিরা খুশিতে গদগদকণ্ঠে বলল,
– আলহামদুলিল্লাহ.. তোমরা যেতে পারো।

গাড়িতে উঠে ভদ্রলোকের স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন,
– তোমার সাহস তো কম না... যদি জঙ্গিরা বুঝে যেত যে এটা কোরআনের কোন আয়াত না! তবে কী হতো একবার ভেবে দেখেছো?
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,
– যদি তারা আসলেই কোরআন জানতো, তাহলে আজ জঙ্গি হতো না।



ছবিঃ সামু

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৯
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×