তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের
বাংলাদেশ ব্যাংকে পদোন্নতিসহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে অনিয়মগ্রস্থ ও জামায়াত পন্থি কর্মকর্তারা। এ নিয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এর গভীর প্রভাব পড়ছে দেশের ব্যাংকিং খাতেও। জামায়াত পন্থি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের হাত থেকে নিস্তার পেতে ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
মো. আবুল কাশেম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য এলপিআর-এ যাওয়া নির্বাহী পরিচালক। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্যাবলি অতি উৎসাহী হয়ে প্রকাশ করে দেন। তিনি জামায়াত ঘেষা বিএনপি পন্থি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগার সেজে সুযোগ সুবিধা নেয়ার জোড় তৎপরতা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-৪ হতে যাচ্ছেন তিনি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি একাধীক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আবুল কাশেম বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সহ ওই পরিবারের অনেকের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে অতি উৎসাহী হয়ে ফাঁস করে দেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল কাশেমকে সরিয়ে দেয়ার জন্য গভর্নরকে নির্দেশ দেন। তবে বিভিন্ন করণে তিনি তার পদে বহাল থাকেন। এখন শুধু পদেই বহাল থাকা নয়। তিনি যথারীতি ডেপুটি গভর্নর হতে যাচ্ছেন। তিনি এলপিআর-এ গিয়েছেন গত সপ্তাহে। তবে এখন পর্যন্ত রুমের সামনে থাকা তার নেমপ্লেট নামানো হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী এলপিআরে যাবার পরের দিনই নামানোর কথা। এছাড়া এই রুমটি এখন নির্বাহী পিরিচালক-১ এর ব্যবহার করার কথা। তবে কেউ বসছেন না।
আবুল কাশেমকে ডেপুটি গভর্নর করার প্রস্তাব নিয়ে গভর্নর একাধীকবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয় নিয়ে আর তার কাছে না যাবার নির্দেশ দেন। এরপর আবুল কাশেম প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর মাধ্যমে লবিং শুরু করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বুঝাতে সক্ষম হন যে আবুল কাশেম তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত নয়। এদিকে তাকে ডেপুটি গভর্নর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি গেছে।
নির্বাহী পরিচালক থাকা অবস্থায় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ায় শাস্তি পেতে হয় তাকে। তিনি ২০০৯ সাল পর্যন্ত কৃষি ও এসএমই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তখন তিনি পিপলস লিজিংকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি অবৈধ লোন পাইয়ে দেন। ওই লোন এসএমই’র নামে নেয়া হলেও তা বিনিয়োগ হয় পুঁজিবাজারে। তদন্তে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে মানব সম্পদ বিভাগের (এইচআরডি) দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেও তিনি অনিয়ম করেন। একজন মহাব্যবস্থাপকের বার্ষিক গোপনীয় রিপোর্ট গুড থেকে উপরে উঠিয়ে এক্সিলেন্স করে নির্বাহী পরিচালক বানিয়ে দেন।
ম. মাহফুজুর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। স¤প্রতি মহাব্যবস্থাপক পদ থেকে পদোন্নতি নিয়ে নির্বাহী পরিচালক হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশি অভিযোগ অভিযুক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুতি, স্টান্ড রিলিজ সহ অনেক শাস্তি পেয়েছেন। তবে শক্তিশালী লবিং ও তেলবাজিতে দক্ষতা থাকায় বর্তমান পর্যায়ে আসতে পেরেছেন।
দুর্নীতির দায়ে আট বছর চাকরিচ্যুত অবস্থায় ছিলেন ম. মাহফুজুর রহমান। স্টান্ড রিলিজ হয়েছেন একাধীক বার। তিনি এন্টি মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তার দায়িত্বে রয়েছে হিউম্যান রিসোর্স বিভাগ ও ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের। তার বিরুদ্ধে প্রায় দুই ডজন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সদ্যবিদায়ী এন্টি মানি লন্ডারিং বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেমও তার বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র গভর্নরের নিকট জমা দিয়ে গেছেন। সিনিয়র তিন মহাব্যবস্থাপককে ডিঙ্গিয়ে নির্বাহী পরিচালক হয়েছেন মাহফুজ। সিনিয়র তিন কর্মকর্তা হলেন খুলনা অফিসের মহাব্যবস্থাপক আব্দুস সাত্তার, বরিশাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম ফজলুর রহমান এবং ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল হক।
ম. মাহফুজুর রহমান ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা রকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন। মাহফুজুর রহমানের নানা দুর্নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয় ২০০২ সালের ১০ অক্টোবর। এই সময়ে তিনি খুলনা শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসিবে কর্মরত ছিলেন। চিঠিটি ইস্যু করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অফিসার লুৎফর রহমান। এই চিঠিটি বর্তমানে মাহফুজুর রহমানের ব্যক্তিগত গোপনীয় প্রতিবেদনের ৫৪০ এবং ৫৪১ পৃষ্ঠায় রেকর্ড আছে। চিঠিটির পাঠানো হয়েছে খুলনার দুর্নীতি দমন ব্যুরোর বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার পরিদর্শকের কাছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাহফুজুর রহমান ১৯৮১ সালে এ ডি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তখন তিনি অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার ছিলেন। এ তথ্য গোপন করে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে কয়েক মাস উভয় ব্যাংক থেকে বেতন নেন।
১৯৯২ সালে অবৈধভাবে এনসিএল থেকে লাখ লাখ টাকা নিজ নামে ও তার মালিকানাধীন অফসেট প্রেসের নামে ঋণ গ্রহণ করেন। শেয়ার মার্কেটের কনসালটেন্ট এস সি এল নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হন। এইভাবে বেআইনিভাবে ঋণ গ্রহণ ও খেলাপি হবার ফলে চাকুরিচ্যুত হন। এখনও এনসিসি ব্যাংকে তার নামে লাখ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আছে যা মামলাধীন আছে।
২০০০ সালে সাবেক সরকারের স্পিকার আ. হামিদের তদবিরে সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনকে খুশি করে চাকরিতে পুনঃনিয়োগ পান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে তদবিরে পোস্টিং নিয়ে বহু দুর্নীতির আশ্রয় নেন। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আবার বহু ব্যবসা খোলেন। এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই বিভাগ থেকে তাকে রংপুর বদলি করে স্টান্ড রিলিজ করা হয়।
রিলিজ হবার পূর্বেই তিনি বহু ব্যবসার মালিক হন। বর্তমানে তিনি মধুমিতা সিনেমা হলের দোতলায় অবস্থিত শেয়ার বাজারের কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান এসসিএল, কিশোরগঞ্জে একটি কোল্ড স্টোরেজ, হাসপাতাল (কিনিক) ও একটি ঔষধ তৈরী ফ্যাক্টরির মালিক। স্ত্রীর নাম দেখিয়ে তিনি নিজেই সাইন করে এসব চালাচ্ছেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালে খুলনায় বদলি হয়ে তদবিরের জোড়ে ভুয়া একটি কাজের অসিলা দেখিয়ে ঢাকায় ডেপুটেশনে আসেন। এই সুযোগে তিনি তার শেয়ার ব্যবসার কাজ করেছেন ও প্রেসের ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ১৯৮১ সালে। দীর্ঘ ২১ বছর পর (এসএসসি পাশের ৩১ বছর পর) তিনি তার জন্ম তারিখ জালিয়াতি করে ব্যাংকের নিকট আবেদন পাঠিয়েছেন। সব জায়গায় জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৬ ছিল। তিনি টাকার বিনিময়ে সেটা ১ নভেম্বর ১৯৫৬ করতে চাচ্ছেন। এটা নৈতিকতা ও ব্যাংকিং আইনের পরিপন্থি কাজ যা গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘ ৩১ বছর পর তার জন্ম তারিখ সংশোধনের কি রহস্য তা তদন্ত করে দেখা দরকার। টাকা দিয়ে চাকরির আবেদন পত্রে তার জন্ম তারিখ ইতোমধ্যে ঠিক করেছেন। তবে সব রেকর্ড কাটাতে পারেন নি। একজনকে বড় অঙ্কে ঘুষ দিয়ে একটি ডুপ্লিকেট সনদ সংগ্রহ করেছেন। অন্য সব রেকর্ড আগের মতোই আছে। অগ্রণী ব্যাংকের চাকরিতে ১ জানুয়ারি ১৯৫৬ আছে। তার এইচ এস সি পরীক্ষার (১৯৭৩) সার্টিফিকেটও জাল হয়েছে বলে জানা গেছে যা ঢাকা বোর্ডে যাচাই করা দরকার।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মাহফুজ খুলনা শাখার প্রশাসনে পোস্টিং নেয়ার পর ক্ষমতার জোরে ঢাকার মিরপুরে ৪ বছর আগে নির্মিত বাড়ির একটি ফাটের নামে এককালীন ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ নেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ ওই পুরো বাড়িটি পূর্বেই এইচবিএফসিতে মর্টগেজ করা ছিল। তিনি আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখা থেকে অনিয়মিতভাবে ঋণ নিয়েছেন। তবে এটার মর্টগেজ করান নাই। কারণ একই ফাট দুই অফিসে মর্টগেজ দেয়া সম্ভব নয়। মর্টগেজ না থাকায় বর্তমানে তাকে দেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ২৭ লাখ টাকা অরক্ষিত (জামানতবিহীন) অবস্থায় আছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিসের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কে এম আজিম উদ্দিন তদন্ত করেন। তিনি তদন্ত রিপোর্ট ২০০২ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রধান কার্যালয়ে জমা দেন। এটাও তার ব্যক্তিগত নথিতে সংযুক্ত রয়েছে।
এদিকে ২০০৩ সালের ১০ মার্চ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির অভিযোগ সম্বলিত একটি চিঠি তৎকালিন গভর্নরের কাছে পাঠিয়েছিল দুর্নীতি দমন ব্যুরোর ব্যাংক শাখা। এই চিঠিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের ৪৩৯ নম্বর ডায়রি হিসেবে নথিভুক্ত আছে। আর মাহফুজুর রহমানের ব্যক্তিগত রেকর্ডের ৫৩৯ নম্বর পৃষ্ঠা হিসেবে নথিভুক্ত আছে। চিঠিটি গ্রহণ করেছিলেন তখনকার ডেপুটি গভর্নর-২ নজরুল হুদা। এই চিঠিতেও উপরের অভিযোগগুলো উল্লেখ ছিল। অর্থমন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একই অভিযোগ সম্বলিত দুটি চিঠি যায় এই বছরের ৪ জানুয়ারি ও ২০০৪ সালের ২৫ জুলাই।
জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-২। বিএনপি পন্থি হিসেবে পরিচিত। পূর্বে জিয়া পরিষদের সদস্য ছিলেন। জামায়াত পন্থি কর্মকর্তাদের ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছেন। এখন একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগার সেজেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা সহিদার রহমানকে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত সিবিএ নেতা মঞ্জুর সহ অন্য নেতাদের বাঁচানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ মঞ্জুরই তাকে ডেপুটি গভর্নর হতে সাহায্য করেছিল। তাই মঞ্জুরের ঋণ শোধ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধীক কর্মকর্তা। মাহফুজুর রহমানকে নির্বাহী পরিচালক বানানোর পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রধানমন্ত্রী অফিসে পাঠানো একটি চিঠিতে এসব অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দাসগুপ্ত অসীম কুমার
চলতি বছরের আগস্ট মাসে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হয়েছেন। পূর্বে কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ‘গুড’ থেকে আপগ্রেড করে ‘এক্সিলেন্ট’ করে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০০০ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত হন। তার এজেন্ট নম্বর ০০১-০০৩৪৯৭। তিনি ভারতে ৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তখন তার বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাও হয়। তখন তিনি ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্যোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে দেড় কেটি টাকা ঘুষ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এস কে সুর চৌধুরী
চলতি বছরের আগস্টে নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। ‘র’ এর এজেন্ট প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী অফিস থেকে সিলেটে শাস্তিমূলক বদিল হন ও স্টান্ড রিলিজ হন। তার ব্যক্তিগত নথিতে এর উল্লেখ আছে। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি এখনো ‘র’ এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



