অর্থনৈতিক রিপোর্টার
চলতি অর্থবছরে লেনদেন ভারসাম্যে (বিওপি) চাপ বাড়বে বলে মনে করে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ)। এছাড়া বিভিন্ন কারণে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের সামান্য ওপরে এবং গড় মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ হবার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সেমিনার কক্ষে আইএমএফ-এর প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেভিড কাওয়েন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। প্রতিনিধি দলটি গতকাল বাংলাদেশে ১০ দিনের সফর শেষ করে। আইএমএফ বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার (৭ হাজার কোটি টাকা) বিনা সুদে ঋণ দেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আইএমএফ প্রতিনিধি দল জ্বালানী, খাদ্য, বিদ্যুৎ খাত এবং সুতার আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে কাঁচামালের বাড়তি দাম, সরকার ও বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের ব্যয় বৃদ্ধি এবং বিদেশে শ্রম রপ্তানি কমার কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়াকে বিওপি চাপ বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আইএমএফ বাংলাদেশের বাজেট সহায়তা, উচ্চ প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রতিনিধি দলের প্রধান জানান। তবে এ সহায়তার শর্ত হিসেবে তিনি আর্থিক খাত ও মুদ্রা নীতির পুনর্বিন্যাস এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণের বিষয় উল্লেখ করেন। কোন সুদ ছাড়াই তিন বছরের জন্য এ ঋণ সহায়তা পাবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি তৈরি পোশাক শিল্পে মধ্যমেয়াদী রপ্তানী আয় বাড়াতে পারে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করতে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে পারে তবে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের সামান্য বেশি হবে। তবে এক্ষেত্রে আমদানি প্রবৃদ্ধি ও রেমিটেন্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসলে প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। এছাড়া ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে গড় মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ হবে।
শেয়ার বাজার নিয়ে সাংবাদিকরা আইএমএফ-এর মতামত জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। ###
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



