তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের
ুদ্র ঋণের সুদের হার ও সার্ভিস চার্জ নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। নয়া নীতিমালা প্রণয়ণ করেছে ুদ্র ঋন দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্যবেক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটারী অথরিটি। নতুন নীতিমালায় ুদ্র ঋণের সুদের হার সবোর্চ্চ ২৭ শতাংশ। এছাড়া ক্রমান্বয়ে সুদের হার কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুদহার কমালে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ প্রনোদনা দেয়া হবে।
সুদের হার ও তহবিল ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটারী অথরিটি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে। এখন থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। তবে, আগামি বছরের ৩০ জুনের আগে এসকল নির্দেশনা পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ণ করা বাধ্যতামূলক।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ি, ঋণ নেয়ার সময় ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঋণের আবেদন পত্র, গ্রাহক ভর্তি ফি, পাস বই ইস্যূ ইত্যাদি বাবদ সর্বোচ্চ ১৫ টাকার বেশি ফি আদায় করা যাবেনা। এছাড়া ুদ্রঋণকে জামানত বিহীন বলে নীতিমালায় উল্লেখ্য করে বলা হয়, এ ঋণ নেয়ার সময় কোন ধরনের জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা করার প্রয়োজন নেই। তবে, ুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প এ্যাক্ট অনুযায়ি ৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা নেয়া যেতে পারে।
ঋণগ্রহীতার নেয়ার দিন থেকে কমপক্ষে ১৫ দিন পরে প্রথম কিস্তি নিতে পারবে। ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণগ্রহীতার ব্যবসা বা কাজের ধরন অনুযায়ি এরচেয়ে দীর্ঘতর বিরতিকাল নির্ধারণ করতে পারবে।
নিয়ম অনুযায়ি এক বছর সময়ের মেয়াদে দেয়া সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কিস্তি সংখ্যা হবে ৫০ সপ্তাহ। তবে, কিস্তি দেয়ার কোন ধরনের সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কিস্তি দেয়ার জমা দেয়ার সময় বকেয়া কিস্তিসহ একসঙ্গে দুই কিস্তি জমা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঋণগ্রহিতা ঋণ নেয়ার সময় ঋণের অর্থ থেকে বাধ্যতামূলক সঞ্চয় বা বীমা অথবা অন্য কোন ধরনের অর্থ কেটে রাখা বা আদায় করা।
তবে, সপ্তাহ ভিত্তিক বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহিতাকে ন্যূনতম ৬ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আমানাতের বিপরীতে সুদের হার পূর্বে ঘোষনা করতে হবে এবং কোনভাবেই ঘোষিত সুদের হারের চেয়ে কম সুদ গ্রাহককে দিতে পারবে না।
নতুন নীতিমালায় ুদ্রঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। তবে, এসুদের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দেয়া হয়। সুদের হার ঋণগ্রহিতাদের ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ভিত্তিতে হিসাব করতে হবে। এধরনের হিসাবের হার সকলকে জানানোর উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ঘোষনা করতে হবে।
ুদ্রঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে যেসকল প্রতিষ্ঠান দক্ষতার প্রমান রাখবে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ প্রনোদনা সুবিধা প্রদান করবে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটারী অথরিটি।
ুদ্রঋণ প্রদানকরী প্রতিষ্ঠানগুলোর ুদ্রঋণের সুদের হার ও মোট তহবিল ব্যয় বিবেচনা করে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তা হল- ‘ক’ ক্যাটাগরি-ুদ্রঋণ প্রদানকারী যে সব প্রতিষ্ঠানের সুদের হার তাদের তহবিল ব্যয়ের অপেক্ষা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি। ‘খ’ ক্যাটাগরি- ুদ্রঋণ প্রদানকারী যে সব প্রতিষ্ঠানের সুদের হার তাদের তহবিল ব্যয়ের অপেক্ষা ১০ শতাংশের উর্ধ্বে তবে, সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। ‘গ’ ক্যাটাগরি- ুদ্রঋণ প্রদানকারী যে সব প্রতিষ্ঠানের সুদের হার তাদের তহবিল ব্যয়ের অপেক্ষা ১৫ শতাংশের বেশি। ###
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



