সময় ১৯০৫ । ভারতবর্ষ ইংরেজ শাসনের অধীন ।
গোটা ভারতবর্ষের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা তখন লর্ড কার্জন , তিনিই বঙ্গভঙ্গের ঘোষনা দিয়াছেন । পূর্ববঙ্গের রাজধানী তখন ঢাকা । সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয় । গোটা ভারতের হিন্দু সমাজ ফুঁসে ওঠে । বাংলা ভাগ করা যাবে না । ঢাকায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে - এটিও তারা মেনে নিতে পারছিলেন না । পূর্ব বাংলা চাষার দেশ , বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে তারা কি করবে ??
হিন্দু-মুসলিম বিরোধ তখন বাড়ছে । বিরোধ মেটাতে অনেকেই এগিয়ে আসছেন । সেই অনেকের মাঝে একজন হলেন ঠাকুর বাড়ির এক কবি , নাম রবীন্দ্রনাথ । তিনি রাখি বন্ধন অনুষ্ঠান করলেন । হিন্দু-মুসলিম , সবাই সবার হাতে রাখি বেঁধে দেবে , কার মাঝে কোনো হিংসা-দ্বেষ থাকবে না ।
"কিন্তু আজও ঐখানে মসজিদ ভাঙ্গে ।"
এবারের স্থানটা রাওয়ালপিন্ডি জেনারেল হাসপাতাল । ২৭ ডিসেম্বর ২০০৭ ।
বেনজির ভুট্টর নিথর দেহ ; পুড়ছে পাকিস্তান । জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তখনো ক্ষমতায় । কৃতিত্ব আল কায়দার ।
" রোম যখন পুড়ছিলো ; নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো ।"
আর ঢাকা বিমান বন্দরের সেই দিনটি ছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ ।
বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তি বুকে জড়িয়ে স্বাগত জানালেন জাতির পিতাকে । অবিশ্বাস্য দ্রূততায় দুরে সড়ে গেলেন মহান নেতা তাজুদ্দিন আহমেদ । আর ৭৫-এ ক্ষমতায় বসলেন সেই ব্যক্তিটি; তিনিই খন্দকার মোশতাক আহমেদ ।
তাই এদেশে , " ইতিহাসের সতীত্ব নষ্ট হলে রাজনীতিবীদগন আদৃত হন ।"
ভারতের ধর্ম-নিরপেক্ষতা, পাকিস্তানের গণতন্ত্র আর বাংলাদেশের আইনের শাসন - এই তিন আমাদের নিরানন্দ জীবনে আনন্দের খোরাক ।
চারদিকে অমানিশা । আর......
চোখ বুজলেই নাকি অন্ধকার !!!
আমি তো বরং তখনই আলোর দেখা পাই......
" চোখের আলোয় দেখেছিলাম,
চোখের বাহিরে ...................।"
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




