ট্রেন ভ্রমন সত্যি আনন্দদায়ক। প্রতি বছর ঈদ আসলেই টিকিট এর জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায় কমলাপুর রেলওয়েতে। সেই সাথে প্রতিদিন টিভি চ্যানেল গুলর কভারেজ দেখা যায়। বিগত সময় গুলর তুলনাই ট্রেন সার্ভিস কিন্তু উন্নত হইনি। সেই তুলনাই বাস সার্ভিস অনেক ভালো হয়েছে। আমার জানামতে চট্টগ্রাম রুট এর সুবর্না এক্সপ্রেস, রাজশাহী রুট এর সিল্ক সিটি বেশ ভালো ট্রেন। তাদের আসন বাবস্থা সুসজ্জিত। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি সিলেট এত সুন্দর একটা পর্যটন নগরী হওয়া সত্ত্বেও এই রুট এর ট্রেন সার্ভিস উন্নত হইনি। যদি এই রুট এর পারাবত ট্রেন টাকে ভালো বলা হই তবে এর আসন সজ্জা এখন ঢাকা সিটির লোকাল বাস এর মত।৩ বছর আগে ভ্রমন করেছিলাম। অনেক আসা নিয়ে টিকিট কেটে ছিলাম শোভন চেয়ার এ। কিন্তু ট্রেন এ উঠে খুব হতাশ হলাম। সিট গুল এতটা চাপান যেন পা টা ঠিকমত রাখা যায় না। তার উপর তারা পানির বোতল রাখার গোল স্ট্যান্ড, আর খাবার রাখার জন্য ভাজ করা টেবিল দিয়েছে।একজন মানুষ একবার সিট এ বসলে বেশ কসরত করে বের হতে হয়। আর কেউ যদি সিট এ একবার হেলান দিয়ে বসে তবে ত আর কথাই নেই সেই মানুষ টাকে অনুরোধ করে বের হতে হয়। জুন মাস না ছিল কোন উৎসব তারপর এত মানুষের ভীর, অনেকেই টিকিট না কেটে উঠে বসে আছে। আগের মত সেই টিটি অ নেই যে টিকিট চেক করবে। পুড়োটা ট্রেন একেই অবস্থা। যে যার ইচ্ছা মত ট্রেন এ উঠে বসে আছে, মুখের উপর দাড়িয়ে আছে, আর হকার এর ত কোন অভাব নেই। কিছুক্ষণ পর পর সুস্থ সবল মানুষ এসে ভিক্ষা চাইছে অথচ তারা কাজ করে খেতে পারে। এসব দেখে খুব বিব্রত বোধ করেছি। তাহলে আমাদের এত কষ্ট করে টিকিট কাটার প্রয়োজন টা কি?
আর ট্রেন এর সময় নিয়ে না হয় নাই কথা বললাম দুপুর ২ টার ট্রেন বিকেল ৪ টায় গিয়ে পৌঁছেছিল।
আমি ফেরার টিকিট ও কেটেছিলাম এসব দেখে সাথে সাথে ৪৫% ক্ষতিতে টিকিট বেক করেছিলাম। যেখানে ৩০% কাটার কথা ছিল সেখানে ৪৫% কেটেছে ।আমি আর এ নিয়ে কথা বাড়াই নাই।
এত কষ্ট করে এই পথে যারা ট্রেন ভ্রমন করতে চান করতে পারেন। তবে এদিকের ট্রেন এর উন্নয়নে অবশ্যই করতিপক্ষের নজর দেয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




