গতকাল সকালে বউ বলল, এই শীতের ছুটিতে চলো পাহাড় দেখতে সিলেটে যাই !
আমি : পাহাড় দেখে কি হবে ?
বউ : ভালোলাগবে...
আমি : শুধুই ভালোলাগা, তাহলে আসো আমরা গল্প করি।আমার সাথে গল্প করলেও তোমার ভালো লাগবে।
বউ : তোমার সাথে গল্প করার ভালোলাগা আর পাহাড় দেখার ভালো লাগা আলাদা, পাহাড় হচ্ছে প্রকিতির বিস্ময় ! পাহাড় দেখে হৃদয়ে শান্তি আসবে।
আমি : আমার হৃদয়ও পাহাড়ের মতোই বিশাল, তুমি আমার হৃদয়কে অনুভব করার চেষ্টা কর, তাহলে বেশি শান্তি পাবে।
(একটু বিরক্ত হয়ে)
বউ : তাইলে চলো, সুন্দরবন যাই !
আমি : সেখানে আবার কি ?
বউ : জঙ্গল হচ্ছে প্রকিতির আদি রূপ, তোমার ঘর করতে করতে আমার মন অস্থির হয়ে গেছে। কিছুদিন বনে-জঙ্গলে থেকে মনের অস্থিরতা দূর করব।
আমি : মনের অস্থিরতা দূর করতে হলে মেডিটেশন কর। জঙ্গলে যাওয়ার দরকার কি ?
(একটু রাগ করে)
বউ : আচ্ছা বেশ, তাহলে চলো আবারও সাগর দেখতে যাই ! সাগরের বিশালতা আর গভীরতা দেখে আমাদের প্রাণ সজীব হয়ে উঠবে ।এই চার দেয়ালের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে ।
আমি : তুমি আমার চোখের দিকে তাকাও । আমার চোখের গভীরতা আর বিশালতার মাঝে যদি তুমি শান্তি না পাও তুচ্ছ সাগর তোমাকে কি শান্তি দিবে ?
বউ : ও' আল্লারে.. এমন লোকের সাথে সংসার করতেসি যার মধ্যে পাহাড়, জঙ্গল, সাগর সবই বলে আছে। এতো বড় কপাল নিয়ে বাংলাদেশের আর কোনো মেয়ে মনেহয় জন্মায় নাই ! এত বড় ভাগ্য নিয়া তাইলে আর কি করব, রান্না ঘরে গিয়ে ঢেরশ ভাজি করি !
আমি : যাক, অবশেষে বুঝতে পারস ! এখন আসো এই ছুটির দিনে ঢেরস ভাজি আর কাচকলার তরকারী দিয়ে ভাত খেয়ে, অনন্ত জলিলের ন্বিশ্সার্থ ভালবাসা দেখি। মনের যত ক্লান্তি, বিষন্নতা আর হতাশা আছে সব দূর হয়ে যাবে। এই জন্যই কবি বলেছেন, দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দু-পা ফেলিয়া...... ( চলবে )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪