‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে আল্লামা শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের ডাকা লংমার্চে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে চরমোনাই পীর এ ঘোষণা দেন।
চরমোনাই পীর বলেন, “আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেফতার না করা হলে ৬ এপ্রিল আল্লামা শফী আহুত লংমার্চে অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।”
এছাড়া মিয়ানমারে মুসলিম ‘নিধন’ বন্ধের দাবিতে আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকাস্থ জাতিসংঘের কার্যালয়ে স্মারকলিপি, ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
তিনি বলেন, “দেশের টুপি-দাড়িওয়ালা সবাই জামায়াত-শিবির না। জামায়াত-শিবিরের নামে টুপি-দাড়ির অসম্মান করা চলবে না।”
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, “তথাকথিত জিহাদি বইয়ের নাম করে নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।”
‘নাস্তিক’ ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, “জাতীয় সংসদে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের প্রতিহতের আইন করতে হবে।” অন্যথায় তৌহিদি জনতা ইসলামের প্রতি কটূক্তিকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জুমার নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। তবে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকেই সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার লোক এ সমাবেশে যোগ দেন।
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর দুশমন নাস্তিক মুরতাদদের শাস্তির আইনি ব্যবস্থা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, সুশাসন-ন্যায় বিচার ও সন্ত্রাস-দুর্নীতির মূলোৎপাটনসহ দেশে স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মূল্য সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঈমান ও দেশ বাঁচাতে এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দলীয় ফোরামে পল্টন মোড়ে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হলেও পল্টন থানা সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তবে শেষ মুহূর্তে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ।