উমর ফারুক নামের এক ভাইয়ের ওয়ালে পেলাম ছবিটি! থমকে গেলাম! এমন না যে এগুলো খুব নতুন কিছু! এখনো রিকশায় বসে কাজের মানুষকে পায়ের কাছে বসিয়ে নিতে দেখি! তবুও কষ্ট হয়! কতোটা খেতে পারতো এই ছোট্ট মেয়েটি? ওইটুকুন পেটে কতো হাজার টাকার খাবার আটতো? একটি শিশুকে পাশে বসিয়ে খাওয়াতে লজ্জা হতো? তার কোলে নিজের বাচ্চাকে দিতে লজ্জা হয় না? তাকে দিয়ে ঘরের সব কাজ করাতে লজ্জা হয় না? দামী রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে না খাইয়ে বসিয়ে রাখতে লজ্জা হয় না? হায়রে বড়লোক! তোদের চেয়ে রাস্তার ফকিরও অনেক বড় মনের হয়! তারা খেতে বসলে ফুটপাতের নেড়ি কুকুরটাকে দু'মুঠো দিয়ে খায়! ছিঃ! কতোটা নীচ আর ছোট মন আমাদের! দু'মুঠো খাবার আর ক'টা টাকা বেতনের জন্য কোন দূরের গ্রাম থেকে শিশুটি কাজের জন্য এসেছে! সংসারের ঘানি টানতে না পারা বাবা মা কতো বেদনায় এমন ফুলের মতো মেয়েটিকে কাজে পাঠিয়েছে! কী দুঃখ শিশুটির মুখ জুড়ে! হয়তো মনে পড়ছিলো ওর মায়ের কথা! মা কতো আদরে সামান্য পান্তাভাত ও মুখে তুলে খাওয়াতো! আর কী ভাবছিলো শিশুটি! গালি দিচ্ছিলো না এই নিষ্ঠুর সমাজকে!? ঘৃণা ছিলো কতোটা ওর ছোট্ট মনে!?
কী সীমাহীন লজ্জা'র এই ছবিটি! দু'চোখ বেয়ে পানি গড়াচ্ছে লিখতে গিয়ে? কেমন করে পারি আমরা!? কেমন করে!?
ওরা যদি কখনো আমাদের মুখে থুতু দেয় খুব কী দোষ দেয়া যায়!? আমরা মানুষ নামের প্রাণী থেকে কবে সেরা জীব মানুষ হবো! আদৌ হবো কী!?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮