শনিবার সরকারী অফিস সহ কিছু কিছু বেসরকারী অফিস এমনিতেই ছুটি থাকে। কিন্তু গত শনিবার ১৫ আগষ্ট রাজধানী ঢাকা ছিলো প্রায়ই ফাঁকা।কারন ৩ দিন সরকারী ছুটি থাকার কারনে ঢাকা শহরের অনেক মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলো, তাই রাস্তা ঘাটও চিলো তুলনামুলকভাবে অনেক ফাঁকা। এমনই দিনে আমি আর আমার স্ত্রী গেছি মৌচাক মার্কেটে। সামান্য কেনাকাটা করে বাসায় ফিরতেই বাধল বিপত্তি। আমি যাবো মৌচাক থেকে রামপুরা বনশ্রী প্রজেক্ট। কোন রিক্সাওয়ালাই যেতে রাজি হয়না, সে যেখানকার কথাই বলা হোক না কেন। যদিও কেউ যেতে রাজি হচ্ছে, তার ভাড়া শুনলে মনে হবে সারাদিনের ভাড়া যেন একজনের কাছেই উসূল করতে চায় সে। কেউ চায় ৫০ টাকা আবার কেউ চায় ৬০ টাকা, কিন্তু মৌচাক থেকে বনশ্রীর বাড়া বড়জোর ৩০ টাকা। হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি এসে গেল- যে রিক্সাওয়ালা সব চাইতে বেমী ভাড়া চাইলো আমি কোন কথা না বাড়িয়ে তার রিক্সাতেই উঠে বসলাম। আমার বউ তো হতবাক! সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে আমি কোন ঝামেলা চাই না। আমি বললাম কোন ঝামেলাই হবে না, তুমি শুধু চুপ থাকো। যথারীতি আমরা রিক্সা করে বাড়িতে পৌছলাম। রিক্সা থেকে নেমে রিক্সাওয়ালাকে ভাড়া দিলাম ২৫টাকা। রিক্সাওয়ালা কোন প্রতিবাদ না করে শুধু বলল ভাই আর ৫ টা টাকা দেন। আমি বললাম ৫ টাকা কেন তোমার ভাড়া ৫০ টাকা তুমি তো আরও ২৫টাকা পাবে। আমি বললাম তুমি ৫০টাকাই পাবে, তবে তার আগে তোমাকে ৫০টাকা ভাড়ার হিসাবটা মিলায়া দিতে হবে, আর যদি না পারো তাহলে মানুষকে হয়রানি করার জন্য তোমাকে আজ উত্তম মাধ্যম দেয়া হবে। বেচারা কাউকে সাহায্যের জন্য ডাকতেও পারলো না, কারন ও এতই বেশী ভাড়া চেয়েছিলো যে সেকথা কাউকে বলতেও পারলো না
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




