মিলি খুব তড়িঘড়ি করে রেডি হচ্ছে দেখে মা জানতে চাইলেন:
-:"কি রে মা!কোথায় যাবে?তোমার না আগামী কাল প্রজেক্ট শো আছে"
-:"তেমন কোথাও না মা,একটু রাতুলদের বাসায় যাবো,দ্রুতই চলে আসবো।আজ ওদের বাসায় আমরা সব বন্ধুরা একসাথে হচ্ছি।"
:-তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু,আমার একা একা ভাল লাগে না।তার উপর রাত গেলেই নয়া বছর।চারিদিকে শুধু পটকাবাজি চলতেছে।
-:আচ্ছা মা তুমি টেনশান ফ্রি থাক আর দেখ আমি ঠিক সময়মত চলে আসবো।
.
-কথাগুলো বলতে বলতে গেটের দিকে দৌঁড় দিল মিলি।বেশি তাড়া করতে গিয়ে ঠান্ডার কাপড়টিও ফেলে চলে গেছে।
মা এটা দেখে পিছন পিছন কাপড় নিয়ে গেইটের বাহিরে চলে এলেন।দেখলেন মিলি রোডের অপারে চলে যাচ্ছে উনিও তাকে ধরতে যেই রোড পাছ করতে যাবেন ঠিক তখনই পিছন থেকে একটি ট্রাক এসে নিমিষেই শেষ করে ফেলে মিলি'র মা ফাতেমা বেগমকে।
.
পিছন দিকে নারী কন্ঠের চিত্কার শোনে ফিরে তাকায় মিলি।দেখে তার আম্মুর শাড়ির মত শাড়ি পরিহিত এক মহিলার পুরো মাথাটি থেতলে গেছে আর লাল রক্তে ছেঁয়ে গেছে পুরো হাইওয়ে।
.
মিলি রক্ত দেখলে এমনেই ভয় পায় তার উপর আবার রোড এক্সিডেন্ট!ভয়ে ভয়ে যত লাশটির কাছে আসতেছে তত ওর হৃদযন্ত্রের দংশন বাড়ছে, অজানা এক সঙ্কা কাজ করছে তার ভিতর কিন্তু হিসাব মিলাতে পারছে না এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে॥মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে এত কিছু ঘটতে পারে না।
.
এতক্ষণে সাধারণ মানুষের ভীড় জমে গেছে।নানা জন নানা কথা বলছে।ভীড় ঠেলে মিলি যখন কাছে আসে তখন দেখে তার লাল জ্যাকেটটি বুকের সাথে আগলে রেখে রাস্তার উপর শুয়ে আছেন গর্ভধারিনী মা......